[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

বগুড়া-২: মান্না নাকি অন্য কেউ?-তারেকের বৈঠকে প্রার্থী বিষয়ক আলোচনা

প্রকাশঃ
অ+ অ-
বিএনপির লোগো

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়ার সাতটি আসনে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে ঢাকার নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বৈঠকের একপর্যায়ে আলোচনায় আসে বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেওয়া নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার বিষয়। বৈঠকে উপস্থিত বগুড়া জেলা বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, বৈঠকের শুরুতে তারেক রহমান বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমানের জন্মভূমি বগুড়া বিএনপির দুর্গ এবং দলের তীর্থস্থান। সেখানকার নেতারা জিয়া পরিবারের ঘরের মানুষ। এজন্য ঘরের মানুষদের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলার জন্য এই বৈঠক আয়োজন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বগুড়া বিএনপির মডেল জেলা। তাই আগামী নির্বাচনে দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষায় বগুড়াকে উদাহরণ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

তারেক রহমান বলেন, প্রতিটি আসনে যাদের গ্রহণযোগ্যতা বেশি, তাঁদেরই বৈঠকে ডাকা হয়েছে। প্রতিটি আসনে মনোনয়ন চান একাধিক নেতা। কিন্তু অধিক যোগ্যতার ভিত্তিতে দলের মনোনয়ন একজনকে দেওয়া হবে। ধানের শীষের মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, মনোনয়ন না পেলে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। পৌরসভা, সিটি করপোরেশন, জেলা ও উপজেলা পরিষদসহ স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে যোগ্য ব্যক্তিদের প্রার্থী করা হবে এবং দলীয়ভাবে মূল্যায়ন করা হবে। মনোনয়ন না পেলেও সবাইকে ধানের শীষকে জেতানোর জন্য কাজ করতে হবে। কোনো বিশৃঙ্খলা করা চলবে না।

তারেক রহমান আরও বলেন, মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীরাও ধানের শীষের পক্ষে একযোগে কাজ করে বগুড়াকে উদাহরণ হিসেবে গড়ে তুলবে। বগুড়ার এই উদাহরণ অনুসরণ করে অন্য জেলাতেও মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীরা ধানের শীষকে জেতাতে একযোগে কাজ করবেন।

বৈঠকের একপর্যায়ে বগুড়ার সাতটি আসনভিত্তিক মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সংক্ষিপ্ত কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়। এ সময় বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী সমিতির বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি আবদুল বাছেদ বলেন, বগুড়া-২ বিএনপির শক্ত দুর্গ। সেখানকার ভোটাররা ধানের শীষকে ভালোবাসেন। এ আসনে যাঁকেই প্রার্থী করা হোক, তাঁর হাতে যেন ধানের শীষ প্রতীক তুলে দেওয়া হয়।

এ সময় বগুড়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেছিলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান ও তারেক রহমানের পৈতৃক ভূমি বগুড়া। বিএনপির প্রার্থীর হাতে তো ধানের শীষই থাকবে। এটা আলোচনায় তোলার কী আছে?

এই প্রশ্নের উত্তরে তারেক রহমান বলেন, বগুড়া-২ আসনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। অ্যাডভোকেট বাছেদ হয়তো এ কারণেই বলছেন, ওই আসনে যাঁকেই প্রার্থী করা হোক, তাঁর হাতে ধানের শীষ প্রতীক দেওয়া উচিত।

বৈঠকে উপস্থিত বিএনপির নেতারা জানান, বগুড়া-২ আসনটি নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নাকে ছেড়ে দেওয়া হবে কি না, তা বৈঠকে স্পষ্ট করেননি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

গতকালের আলোচনায় অংশ নেওয়া নেতাদের মধ্যে ছিলেন বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসন থেকে দলের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী রফিকুল ইসলাম, সোনাতলা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ কে এম আহসানুল তৈয়ব জাকির ও সারিয়াকান্দি সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান হিরু মণ্ডল। বগুড়া-২ ( শিবগঞ্জ) আসন থেকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী সমিতির জেলা সভাপতি আবদুল বাছেদ ও জেলা বিএনপির নেতা এম আর ইসলাম স্বাধীন। বগুড়া-৩ ( দুপচাঁচিয়া ও আদমদীঘি) আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ফজলুল বারী তালুকদার, বগুড়া শহর বিএনপির সভাপতি হামিদুল হক চৌধুরী এবং আদমদীঘি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল মহিত তালুকদার।

এ ছাড়া বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসন থেকে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন। বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসন থেকে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বগুড়া জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক গোলাম মো. সিরাজ, ধুনট উপজেলা বিএনপির সভাপতি তৌহিদুল আলম মামুন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফজলুর রহমান (খোকন) এবং শেরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম।

বগুড়া-৬ (সদর) আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম (বাদশা), জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মাহবুবর রহমান, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন এবং আলী আজগর তালুকদার। বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গাবতলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোরশেদ মিলটন এবং সাবেক সংসদ সদস্য ও দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান তালুকদার।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন