[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

ময়মনসিংহে গারো স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

প্রকাশঃ
অ+ অ-
ধর্ষণ | প্রতীকী ছবি

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে গারো স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রধান আসামি ও তাঁর এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলার ধারা আশ্রমপাড়া এলাকা থেকে প্রধান অভিযুক্ত আবুল বাশারকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে জুগলি ইউনিয়নের নয়াপাগা গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার হন তাঁর সহযোগী মিলন মিয়া (২১)।

গ্রেপ্তার আবুল ও মিলন উপজেলার জুগলি ইউনিয়নের নয়াপাগা গ্রামের বাসিন্দা; পেশায় অটোরিকশাচালক। গতকাল রাতে মূল আবুল বাশার (২৫) ও মিলন মিয়ার বিরুদ্ধে হালুয়াঘাট থানায় মামলা করেন ওই ছাত্রীর মা। 

পুলিশ, স্থানীয় বাসিন্দা ওই কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরী (১৫) নবম শ্রেণিতে পড়ে। গত সোমবার দুপুরে মিলন মিয়ার (২১) সঙ্গে সে একটি পার্কে বেড়াতে যায়। বিকেলের দিকে সেখান থেকে বাড়ি পৌঁছে দিতে কিশোরীটিকে বাশারের অটোরিকশায় তুলে দেন মিলন। এ সময় বাশার হালুয়াঘাট উপজেলা শহরে পূজামণ্ডপ দেখানোর কথা বলে মেয়েটিকে নিয়ে ঘুরতে থাকেন। একপর্যায়ে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে স্কুলছাত্রীটিকে ধর্ষণ করেন। এরপর রাত ১১টার দিকে গামারীতলা এলাকায় তাকে নামিয়ে দিয়ে অটোরিকশাচালক চলে যান। পরে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে তাকে বাড়িতে নিয়ে যান।

খবর পেয়ে পুলিশ গতকাল রাতেই আবুল বাশারের (২৫) বাড়িতে অভিযান চালায়। তবে তাঁকে পাওয়া যায়নি। ওই সময় অটোরিকশাটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

হালুয়াঘাট থানার ওসি হাফিজুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারের পর মিলন জানিয়াছেন, মেয়েটি তাঁর বন্ধু। আজ মিলনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্যদিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আবুলকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হবে।

এদিকে হালুয়াঘাটে গারো ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী ছাত্র ও যুব সংগঠনগুলো। আজ বেলা তিনটায় ঢাকা শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সদস্য সাবেক যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) অলিক মৃ।

আজ সকালে নিজের ফেসবুকে পেজে পোস্ট দিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ওই ঘটনার নিন্দা ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মেয়েটি জীবনের সবচেয়ে বড় ক্ষতি ও বিপর্যয়ের সম্মুখীন। মেয়েটির মা বিএনপি পরিবারের সদস্য ও গত ৩ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মিছিলেও অন্য গারো নারীদের সঙ্গে অংশ নিয়েছেন। অবশ্যই এই ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হতে হবে। 

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন