চাঁপাইনবাবগঞ্জে কলেজে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমছে
প্রকাশঃ
| শিক্ষার্থী | প্রতীকী ছবি |
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন কলেজে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিতে উপস্থিতি কমছে। শিক্ষক ও অভিভাবকেরা বিষয়টি খেয়াল করেছেন। শিক্ষার্থীরাও এই সমস্যা মানছেন, তবে তাদের কারণ আলাদা। কিছু কলেজ ঘুরে দেখা গেছে, একজন থেকে পাঁচজন শিক্ষার্থী থাকলেও শিক্ষক পাঠদান করছেন।
জানা গেছে, জেলায় সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে মোট ৩৪টি কলেজ আছে। এর মধ্যে ৭টি সরকারি ও ২৭টি বেসরকারি।
সরেজমিনে জানা গেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা শুরুতে উৎসাহ নিয়ে ক্লাসে আসে। কিন্তু ছয় মাসের মধ্যে তাদের উপস্থিতি কমে যায়। অভিভাবকেরা বলছেন, শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার চেয়ে অন্য কিছু নিয়ে বেশি সময় দিচ্ছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের আলাবক্স মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ, শাহ নায়ামতউল্লাহ কলেজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ, নামোশংকরবাড়ী কলেজ ও বিনোদপুর ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
শিক্ষার্থীরা জানাচ্ছেন, তারা প্রতিদিন দুই-তিন ঘণ্টা পড়াশোনা করেন। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অন্যান্য কাজে সাত-আট ঘণ্টা সময় চলে যায়।
কলেজশিক্ষার্থী মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘কলেজে ভর্তি হওয়ার পর খুব কমই ক্লাসে যাওয়া হয়। পরীক্ষার সময় কলেজে গিয়ে নোট নেওয়া হয়। প্রথম বর্ষে ভালো ফল করলেও কাজের চিন্তায় নিয়মিত পড়াশোনা করা যাচ্ছে না।’
অভিভাবক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবু বাশির বলেন, ‘পরীক্ষার ফল মোটামুটি ভালো হলেও শিক্ষার্থীদের জ্ঞানচর্চা কমে গেছে। অনলাইন গেম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তাদের মূল শিক্ষার চেয়ে বেশি প্রভাব ফেলছে। এভাবে চললে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মানসিক ও শিক্ষাগত বিকাশ বাধাগ্রস্ত হবে।’
অভিভাবক শওকতারা বেগম বলেন, ‘সন্তানকে পড়াশোনায় মনোযোগী করতে বাড়তি কোচিং দিয়েছি, তবু আগ্রহ বাড়ছে না। সদ্য এসএসসি পাস করা আমার ছেলে রাত ৮–৯টা পর্যন্ত বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটায়। মনে হয়, আমরা সন্তানদের ঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারছি না।’
প্রভাষক মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা এখন ক্লাস ও পড়াশোনায় আগ্রহ হারাচ্ছে, যা দেশের জন্য বিপদের বিষয়। ৫০ জনের ক্লাসেও উপস্থিত থাকে মাত্র ৩–৭ জন। এতে শিক্ষকরাও আগ্রহ হারাচ্ছেন। আগে ক্লাস না হলে শিক্ষার্থীরা মন খারাপ করত, এখন ক্লাস হলেই মন খারাপ হয়।’
আদিনা ফজলুর হক সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. মাযহারুল ইসলাম বলেন, ‘দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্তি বেড়েছে। তবে আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখি। তাই আমাদের কলেজে উপস্থিতি এখনো ভালো। কেউ ক্লাসে না এলে আমরা অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ করি এবং শিক্ষার্থীকে বোঝাই যেন নিয়মিত ক্লাসে আসে। শিক্ষক ও অভিভাবক দায়িত্বশীল হলে শিক্ষার্থীরাও পড়াশোনায় মনোযোগী হবে।’
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহা. আবদুর রশিদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতি কমে যাচ্ছে—এটি উদ্বেগজনক বিষয়। আমরা সমস্যা সমাধানে কাজ করছি এবং শিক্ষক-অভিভাবকদের সঙ্গে একযোগে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাসে আনতে চেষ্টা করছি।’
সরেজমিনে জানা গেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা শুরুতে উৎসাহ নিয়ে ক্লাসে আসে। কিন্তু ছয় মাসের মধ্যে তাদের উপস্থিতি কমে যায়। অভিভাবকেরা বলছেন, শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার চেয়ে অন্য কিছু নিয়ে বেশি সময় দিচ্ছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের আলাবক্স মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ, শাহ নায়ামতউল্লাহ কলেজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ, নামোশংকরবাড়ী কলেজ ও বিনোদপুর ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
শিক্ষার্থীরা জানাচ্ছেন, তারা প্রতিদিন দুই-তিন ঘণ্টা পড়াশোনা করেন। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অন্যান্য কাজে সাত-আট ঘণ্টা সময় চলে যায়।
কলেজশিক্ষার্থী মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘কলেজে ভর্তি হওয়ার পর খুব কমই ক্লাসে যাওয়া হয়। পরীক্ষার সময় কলেজে গিয়ে নোট নেওয়া হয়। প্রথম বর্ষে ভালো ফল করলেও কাজের চিন্তায় নিয়মিত পড়াশোনা করা যাচ্ছে না।’
অভিভাবক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবু বাশির বলেন, ‘পরীক্ষার ফল মোটামুটি ভালো হলেও শিক্ষার্থীদের জ্ঞানচর্চা কমে গেছে। অনলাইন গেম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তাদের মূল শিক্ষার চেয়ে বেশি প্রভাব ফেলছে। এভাবে চললে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মানসিক ও শিক্ষাগত বিকাশ বাধাগ্রস্ত হবে।’
অভিভাবক শওকতারা বেগম বলেন, ‘সন্তানকে পড়াশোনায় মনোযোগী করতে বাড়তি কোচিং দিয়েছি, তবু আগ্রহ বাড়ছে না। সদ্য এসএসসি পাস করা আমার ছেলে রাত ৮–৯টা পর্যন্ত বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটায়। মনে হয়, আমরা সন্তানদের ঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারছি না।’
প্রভাষক মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা এখন ক্লাস ও পড়াশোনায় আগ্রহ হারাচ্ছে, যা দেশের জন্য বিপদের বিষয়। ৫০ জনের ক্লাসেও উপস্থিত থাকে মাত্র ৩–৭ জন। এতে শিক্ষকরাও আগ্রহ হারাচ্ছেন। আগে ক্লাস না হলে শিক্ষার্থীরা মন খারাপ করত, এখন ক্লাস হলেই মন খারাপ হয়।’
আদিনা ফজলুর হক সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. মাযহারুল ইসলাম বলেন, ‘দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্তি বেড়েছে। তবে আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখি। তাই আমাদের কলেজে উপস্থিতি এখনো ভালো। কেউ ক্লাসে না এলে আমরা অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ করি এবং শিক্ষার্থীকে বোঝাই যেন নিয়মিত ক্লাসে আসে। শিক্ষক ও অভিভাবক দায়িত্বশীল হলে শিক্ষার্থীরাও পড়াশোনায় মনোযোগী হবে।’
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহা. আবদুর রশিদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতি কমে যাচ্ছে—এটি উদ্বেগজনক বিষয়। আমরা সমস্যা সমাধানে কাজ করছি এবং শিক্ষক-অভিভাবকদের সঙ্গে একযোগে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাসে আনতে চেষ্টা করছি।’
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন