[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

ঈশ্বরদীতে জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপক নিখোঁজ, সঙ্গে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা

প্রকাশঃ
অ+ অ-

পাকশী জনতা ব্যাংক শাখার ব্যবস্থাপক খালেদ সাইফুল্লাহ | ছবি: সংগৃহীত

পাবনার ঈশ্বরদীতে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা নিয়ে জনতা ব্যাংকের পাকশী শাখার ব্যবস্থাপক তিন দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজ ওই ব্যবস্থাপকের নাম খালেদ সাইফুল্লাহ। এ ঘটনায় ব্যাংকের ঈশ্বরদী করপোরেট শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. মোহছানাতুল হক ঈশ্বরদী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

জিডি থেকে জানা গেছে, গত রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাকশী শাখার ব্যবস্থাপক খালেদ সাইফুল্লাহ ঈশ্বরদী করপোরেট শাখায় আসেন। আগের দিন শনিবার তিনি টেলিফোনে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার প্রয়োজনের কথা জানান। শাখায় নগদ সংকট থাকায় ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকা দেওয়া সম্ভব বলে জানানো হয়। এরপর তিনি বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে জনতা ব্যাংকের দাশুড়িয়া বাজার শাখা থেকে ৩০ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। এরপর আবার ১১টা ৩৫ মিনিটে ঈশ্বরদী করপোরেট শাখায় এসে ১ কোটি টাকা নগদ অর্থ গ্রহণ করেন। টাকা গ্রহণের সময় আনসার সদস্য মাহবুব তার সঙ্গে ছিলেন।

যোগাযোগ করা হলে ঈশ্বরদী করপোরেট শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. মোহছানাতুল হক জানান, প্রয়োজনীয় ভাউচার ও রেজিস্টারে স্বাক্ষর করার পর বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে খালেদ সাইফুল্লাহ এবং আনসার সদস্য মাহবুব টাকা নিয়ে পাকশী শাখার উদ্দেশ্যে প্রাইভেট কারে রওনা দেন। গাড়ির চালক ছিলেন মো. ইসমাইল হোসেন। এরপর তিনি শাখায় পৌঁছে টাকা জমা দেওয়ার কথা জানান। কিন্তু কিছুক্ষণ পর থেকেই তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পাকশী শাখার সহকারী ব্যবস্থাপকের সঙ্গে ফোনে কথা বলে জানা যায়, খালেদ সাইফুল্লাহ তখনো শাখায় পৌঁছাননি। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।

জনতা ব্যাংকের দাশুড়িয়া শাখার ব্যবস্থাপক শাহিনুর রহমান বলেন, খালেদ সাইফুল্লাহ ব্যাংকের নিয়ম মেনে দাশুড়িয়া শাখা থেকে টাকা নিয়েছেন। নিখোঁজ ব্যবস্থাপকের সঙ্গে থাকা আনসার সদস্য মাহবুব জানান, ব্যাংক থেকে টাকা তুলে ঈশ্বরদী ব্র্যাক ব্যাংকের সামনে এসে তাঁকে গাড়ি থেকে নামতে বলা হয়। এরপর তিনি গাড়ি থেকে নেমে গেলে, টাকা নিয়ে খালেদ সাইফুল্লাহ চলে যান।

নিখোঁজ খালেদ সাইফুল্লাহর স্ত্রী দিলরুবা বেগম বলেন, প্রতিদিনের মতো রোববার সকালে তাঁর স্বামী বাসা থেকে বেরিয়ে ব্যাংকে যান। বিকেলে ঈশ্বরদী করপোরেট শাখার কর্মকর্তারা বাসায় এসে তাঁর নিখোঁজ হওয়ার খবর জানান। এর পর থেকে তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তিনি স্বেচ্ছায় কোথাও গেছেন, নাকি কেউ তাঁকে গুম করেছেন-তা তাঁরা নিশ্চিত নন।

জানতে চাইলে জনতা ব্যাংক পিএলসি রাজশাহী অঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) জাহাঙ্গীর হোসেন জোয়ার্দ্দার বলেন, ঘটনাটি জানার পর বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। 

ঈশ্বরদী থানার ওসি আ স ম আবদুন নূর বলেন, ‘ঘটনায় থানায় একটি জিডি হয়েছে। আমরা নিখোঁজ ব্যাংক ব্যবস্থাপককে খুঁজে বেড়ানোর চেষ্টা করছি। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টি তদন্ত করছে।’

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন