[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

ইংরেজিতে কম পাসে যশোর বোর্ডে ‘ফল বিপর্যয়’

প্রকাশঃ
অ+ অ-
যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসির ফলাফল প্রকাশের সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য দেন চেয়ারম্যান মোছাম্মৎ আসমা বেগম | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

এবারের উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষায় যশোর শিক্ষা বোর্ডে ইংরেজি বিষয়ে ফল বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বোর্ডের মোট পাসের হার ও জিপিএ–৫ প্রাপ্তিতে।

২৪টি বিষয়ের মধ্যে ইংরেজিতে পাসের হার সবচেয়ে কম। এ বিষয়ে যশোর বোর্ডের পাসের হার ৫৪ দশমিক ৮২। ফলে এবার বোর্ডের মোট পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৫০ দশমিক ২০ শতাংশ। জিপিএ–৫ পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৯৫ শিক্ষার্থী। এ বছর পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ১ লাখ ১২ হাজার ৫৭৪ জন।

গত বছর একই বোর্ডে ১ লাখ ২২ হাজার ৫১১ শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে সব বিষয়ে কৃতকার্য হয়েছেন ৬৪ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং জিপিএ–৫ পেয়েছিলেন ৯ হাজার ৭৪৯ জন।

যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মোসাম্মৎ আসমা বেগম বলেন, 'আমরা এটাকে ফল বিপর্যয় বলতে চাই না। এটাই অরিজিনাল ফলাফল। শিক্ষার্থীরা তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী ফল পেয়েছে। তবে আমরা সন্তুষ্ট নই। আশা করেছিলাম শিক্ষার্থীরা আরও ভালো ফল করবে, কিন্তু ইংরেজিতে তারা ভালো করতে পারেনি। যার প্রভাব পুরো বোর্ডের ফলাফলে পড়েছে।' 

যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক শংকর দত্ত প্রথম আলোকে বলেন, 'শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে ফ্রি হ্যান্ড রাইটিংয়ের দক্ষতা কম। মুখস্ত বিদ্যায় শিক্ষকরা সন্তুষ্ট হন না, তাই শিক্ষার্থীরা নম্বর কম পাচ্ছেন। তারা নিজেরাই ইংরেজি লেখা বা সৃজনশীলতায় দুর্বল। ইংরেজিতে ফল বিপর্যয়ের দায় শুধু শিক্ষার্থীর নয়, সমগ্র শিক্ষাব্যবস্থার। স্কুল থেকে কলেজ পর্যন্ত মৌলিক ভিত্তি শক্ত হচ্ছে না।'

ইংরেজিতে এত খারাপ ফল হওয়ার কারণ জানতে চাইলে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আবদুল মতিন বলেন, 'স্কুল-কলেজে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ ঠিকমতো হচ্ছে না। এর ফলে অন্য বিষয় পড়ানো শিক্ষকরাও ইংরেজি পড়ান, ফলে শিক্ষার্থীরা ইংরেজিতে দুর্বল থাকছে।'

ইংরেজির পাশাপাশি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরাও পদার্থ, রসায়ন ও উচ্চতর গণিতে ভালো ফল দিতে পারেননি। এজন্য জিপিএ–৫ প্রাপ্তির সংখ্যা কমে গেছে। এ বছর পদার্থে ৮১ দশমিক ৭০, রসায়নে ৮৫ দশমিক ১৩ এবং উচ্চতর গণিতে ৭৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছেন।

মো. আবদুল মতিন আরও বলেন, 'শিক্ষকেরা কোচিং সেন্টারে ব্যস্ত থাকেন। আমরা জেলা প্রশাসকদের চিঠি দেব এসব কোচিং বন্ধ করার জন্য। এছাড়া জেলায় জেলায় সেমিনারের মাধ্যমে শিক্ষক ও অভিভাবকদের এ বিষয়ে সচেতন করা হবে।'

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন