[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক আজাদ ওএসডি

প্রকাশঃ
অ+ অ-
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খানকে সরিয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

আগেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত ৬ অক্টোবর মাউশির মহাপরিচালক পদে নিয়োগ দিতে আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয় মন্ত্রণালয়। তখনই আজাদ খানকে সরানোর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। পরদিন, ৭ অক্টোবর, তিনি নিজে থেকেই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে আবেদন করেন। এখন তাঁকে মাউশিতে ওএসডি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এই পদটি শিক্ষা ক্যাডারের সর্বোচ্চ পদ।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, মুহাম্মদ আজাদ খানের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের নীতিনির্ধারকেরা সন্তুষ্ট ছিলেন না। এ কারণেই তাঁকে সরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ পদে যেন তদবির করে অভিযুক্ত বা অনুপযুক্ত কেউ নিয়োগ না পান, সে জন্য সাক্ষাৎকার ও যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে নিয়োগ দিতে আবেদন আহ্বান করা হয়।

গত বছরের ডিসেম্বরে মাউশির মহাপরিচালক হন অধ্যাপক এ বি এম রেজাউল করীম। তিনি অবসরে যাওয়ার পর চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি এ পদে নিয়োগ পান রসায়নের অধ্যাপক এহতেসাম উল হক। তার আগে তিনি পটুয়াখালী সরকারি কলেজে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু নিয়োগের পর তাঁকে প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষা ভবন ঘেরাও করে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট নামের একটি সংগঠন। দাবির মুখে নিয়োগের মাত্র ২০ দিনের মাথায় তাঁকে সরিয়ে ওএসডি করা হয়।

এরপর জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খানকে মাউশির নতুন মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) করা হয়। তিনি গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। 

এদিকে মাউশির মহাপরিচালক পদে নিয়োগ দিতে ৬ অক্টোবর প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে শিক্ষা উপদেষ্টা (অধ্যাপক সি আর আবরার), শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব, জনপ্রশাসন সচিব এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিবকে (কলেজ-১)।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন শাখার সাবেক পরিচালক অধ্যাপক মো. আবেদ নোমানীর (অবসরোত্তর ছুটিতে) পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. কায়সারউজ্জামান এই নোটিশ পাঠান। বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার না করা হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। 

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন