[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

বান্দরবানে সারা দিন হরতালের মাইকিং করে বিকেলে প্রত্যাহার ঘোষণা নাগরিক পরিষদের

প্রকাশঃ
অ+ অ-

পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কাজী মুজিবর রহমান সংবাদ সম্মেলনে হরতাল প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

বান্দরবানে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ সোমবার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা দিয়েছিল। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কাজী মুজিবর রহমান ৯ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন করে আট দফা দাবিতে এই হরতালের ঘোষণা দিয়েছিলেন। হরতাল কর্মসূচি সফল করতে রোববার জেলা শহরে সারাদিন মাইকিং করা হয়।

বিকেলে সংগঠনের পক্ষ থেকে হরতাল প্রত্যাহারের ঘোষণা আসলেও এটি মাইকিং করে জানানো হয়নি, ফলে অনেক মানুষ বিভ্রান্তির মধ্যে পড়েছেন।

সারা দিন জেলা শহরে হরতালের সমর্থনে মাইকিং করে বলা হয়, আগামীকাল হরতালের সময় গাড়ি চলবে না, দোকানপাট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে বিকেলে কাজী মুজিবর রহমান হরতাল প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, জেলা প্রশাসন তাঁদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তাই হরতাল প্রত্যাহার করা হয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আবু তালেব জানিয়েছেন, পর্যটন মৌসুমে হরতাল না দেওয়ার জন্য আহ্বানকারীদের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ডাকা হয়েছিল। তাঁদের দাবিগুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর আশ্বাস দিলে তারা হরতাল প্রত্যাহার করতে রাজি হন।

নাগরিক পরিষদের আট দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—১৯০০ সালের পার্বত্য শাসন বিধি বাতিল, স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে রাজার সনদ নেওয়ার বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়া, বাজারের ফান্ডের জায়গা ৯৯ বছরের জন্য লিজ দেওয়া এবং সেনা ক্যাম্প বাড়ানোর বিষয়।

সংগঠন হরতাল কর্মসূচি দিলেও এ নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। পরিষদের স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলকাছ আল মামুন ভূঁইয়া বলেন, নাগরিক পরিষদের নামে বান্দরবানে হরতাল কারা আহ্বান করেছেন, তা তাদের জানা নেই। তিনি অভিযোগ করেন, কাজী মুজিবর রহমান আওয়ামী লীগের নেতা ছিলেন এবং স্বৈরাচারী কায়দায় নাগরিক পরিষদকে ব্যবহার করার চেষ্টা করছেন।

কাজী মুজিবর রহমান দাবি করেছেন, জেলা কমিটির ডাকা হরতাল সম্পর্কে চিঠি ও মুঠোফোনের মাধ্যমে সবাইকে জানানো হয়েছিল।

সংগঠনে তাঁর কর্মকাণ্ড নিয়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব আলমগীর কবির বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে কাজী মুজিবর রহমানের নানা কর্মকাণ্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। নাগরিক পরিষদের সবাই এ নিয়ে বিব্রত অবস্থায় রয়েছেন। তাই কমিটি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ মাসের যেকোনো সময় নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হবে।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন