[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

খাগড়াছড়িতে মারমা কিশোরীকে ‘ধর্ষণের আলামত মেলেনি’: চিকিৎসক

প্রকাশঃ
অ+ অ-

খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জনের কার্যালয় | ফাইল ছবি

খাগড়াছড়িতে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠা কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষার প্রতিবেদন জেলা সিভিল সার্জনের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ধর্ষণের কোনো আলামত নেই। প্রতিবেদন মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে খাগড়াছড়ি সিভিল সার্জন ছাবের আহম্মেদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের মতে, প্রতিবেদনে ধর্ষণের পরীক্ষা করা ১০টি সূচকের সবকটিতে স্বাভাবিক লেখা রয়েছে। প্রতিবেদনে থাকা তথ্য আদালতকে দেওয়া হয়েছে।

খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ জয়া চাকমা জানান, 'হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন, নাহিদা আকতারসহ আমরা তিনজন মেডিকেল বোর্ডে ছিলেন। প্রতিবেদনের বিস্তারিত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানাবেন।' 

জেলা সিভিল সার্জন ছাবের আহম্মেদ বলেন, 'ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর মেডিকেল বোর্ডের দেওয়া প্রতিবেদনে কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তারপরও বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। সত্য-মিথ্যা আদালত যাচাই করবে। প্রতিবেদন মঙ্গলবার রাতেই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশ সুপারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।' 

জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আরেফিন জুয়েল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রতিবেদন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জুম্ম ছাত্র-জনতার মুখপাত্র কৃপায়ন ত্রিপুরা বলেন, 'এটি সরকারের একটি মনগড়া প্রতিবেদন। পার্বত্য চট্টগ্রামে এত দ্রুত প্রতিবেদন দেওয়া কখনো হয়েছে কি না, তা আমরা জানি না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুক্তভোগী কিশোরীর ছবি ছড়িয়ে দেওয়াও অপরাধ। আমরা চাই সুষ্ঠু বিচার হোক।' 

গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাত ৯টায় প্রাইভেট পড়া শেষ করে ফেরার পথে পাহাড়ি এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। রাত ১১টায় স্বজনেরা তাকে অচেতন অবস্থায় একটি খেত থেকে উদ্ধার করেন। রাতেই খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন বুধবার সে হাসপাতাল ছাড়ে। এ ঘটনায় শয়ন শীল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর জুম্ম ছাত্র-জনতা গত শনিবার খাগড়াছড়িতে অবরোধ ডাকে। পরদিন তিন পার্বত্য জেলায়ও অবরোধের ডাক দেওয়া হয়। অবরোধ চলাকালীন গত রোববার খাগড়াছড়ির গুইমারা রামেসু বাজারে বিক্ষোভ ও সহিংসতা ঘটে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার সময় তিনজন মারা যান। তারা সবাই পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর সদস্য। সেনাবাহিনীর মেজরসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। রামেসু বাজারে প্রায় অর্ধশত বসতবাড়ি এবং ৪০টির মতো দোকানে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন