[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

ছাত্রীকে আপত্তিকর খুদে বার্তা পাঠানোর অভিযোগে শিক্ষকের অপসারণ দাবি

প্রকাশঃ
অ+ অ-
নারী শিক্ষার্থীর সঙ্গে আপত্তিকর কথোপকথের অভিযোগে নওগাঁর এক কলেজ শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন। রোববার দুপুরে নওগাঁ শহরে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

ছাত্রীকে আপত্তিকর খুদে বার্তা পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে নওগাঁর এক কলেজশিক্ষকের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি এ–সংক্রান্ত স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ছাড়া ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগও।

আজ রোববার এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে ওই শিক্ষকের অপসারণের দাবি উঠেছে। ‘কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থী ও জুলাই যোদ্ধা, আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্য’–এর ব্যানারে নওগাঁ শহরে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন নওগাঁ জেলা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি মিজানুর রহমান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক ছাত্রপ্রতিনিধি আরমান হোসেন, শিক্ষার্থী সাদমান সাকিব, জুলাই আন্দোলনে শহীদ ফাহমিদের মা কাজী লুলুন মাখমিম (শিল্পী), ছাত্রদলের নেতা জুনায়েদ হোসেন প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা ছাত্রীকে আপত্তিকর খুদে বার্তা পাঠানোর কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘শিক্ষকের এমন অনৈতিক আচরণ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ছাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা ছাড়াও ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তিনি কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্বে আছেন। ভর্তিসহ বিভিন্ন অজুহাতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি নেওয়া হয়। এসবের প্রতিবাদ করতে গেলে গুন্ডা বাহিনী দিয়ে শিক্ষার্থীদের মারধর করেন ওই শিক্ষক। কলেজে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে এই অধ্যক্ষকে দ্রুত বহিষ্কার করা উচিত।’

আরমান হোসেন নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ওই শিক্ষক ছাত্রীদের কাছে মুঠোফোনে আপত্তিকর ছবি চেয়েছেন। এমন শিক্ষকের কাছে ছাত্রীরা নিরাপদ নন। শুধু ছাত্রীদের সঙ্গে আপত্তিকর আচরণ নয়, তাঁর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ আছে। এ ধরনের শিক্ষককে তাঁরা চান না।

জেলা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, ‘কলেজের উন্নয়নের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি নেওয়া হয়। অথচ কলেজে কোনো দৃশ্যমান উন্নয়ন নেই। অধ্যক্ষ কলেজে মাস্তান বাহিনী পুষে রেখেছেন। প্রায়ই কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটছে। দিনের পর দিন মাস্তান বাহিনীর দৌরাত্ম্যে কোনো শিক্ষার্থী অধ্যক্ষের অন্যায় আচরণের প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।’

এসব অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে ওই শিক্ষকের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন