[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

দাবি আদায়ে চাপ বাড়ালো প্রাথমিক শিক্ষকরা, সরকারের প্রতিক্রিয়া কী?

প্রকাশঃ
অ+ অ-

১১তম গ্রেডের দাবিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের সমাবেশ | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন  

দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণসহ তিন দফা দাবিতে আবারও আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। ‘বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’ জানায়, ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দাবি মেনে নেওয়া না হলে ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আমরণ অনশন শুরু করা হবে।

অন্যদিকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর ও মন্ত্রণালয় দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছে। সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ও পদোন্নতির বিষয়ে যৌক্তিক প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। তবে জাতীয় বেতন কমিশন কত দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান জানান, 'অধিদফতর থেকে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় পে-কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে প্রেরণ করেছে। সম্ভবত আগামী সপ্তাহে শিক্ষকদের সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা হবে।' 

বর্তমানে দেশের ৬৫ হাজার ৫৬৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদ ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২১৬টি। শিক্ষকেরা কর্মরত আছেন ৩ লাখ ৫২ হাজার ২০৮ জন, শূন্য পদ ১৭ হাজার ৮। বর্তমানে সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। অন্য সমমানের কর্মকর্তা বা শিক্ষকেরা ১০ম গ্রেডে বেতন পান। এজন্য তারা ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবি তুলেছেন।

২০০৬ সালের আগস্ট পর্যন্ত প্রধান শিক্ষকের পরবর্তী ধাপে চাকরি করতেন সহকারী শিক্ষকরা। ২৯ আগস্ট দুই ধাপের বেতন বৈষম্য সৃষ্টি হলে আন্দোলন শুরু হয়। ২০১৭-১৮ সালে চলতি দায়িত্বে পদোন্নতি দেওয়ায় কিছুটা সমস্যা সমাধান হলেও স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ২০২৪ সালে কিছু উপজেলায় পদোন্নতি দিলেও ৩২ হাজার প্রধান শিক্ষকের পদ এখনও শূন্য।

প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আবুল কাসেম বলেন, 'সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে পদোন্নতি এবং ১০ ও ১৬ বছরের উচ্চতর গ্রেড প্রদানের দাবি সরকারের কাছে জানিয়েছি। প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়ন হলেও সহকারী শিক্ষকদের বেতন উন্নীত হয়নি। দ্রুত পদক্ষেপ না হলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।' 

‘বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’ তাদের তিন দফা দাবি তুলে ধরেছে—
১. সহকারী শিক্ষকদের এন্ট্রি পদে ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ।
২. প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে পদোন্নতির মাধ্যমে পদ পূরণ।
৩. ১০ ও ১৬ বছরের উচ্চতর গ্রেড প্রদানের ক্ষেত্রে উন্নীত স্কেলকে উচ্চতর গ্রেড হিসেবে গণনা করা হবে না।

শিক্ষকরা জানিয়েছেন, ২০১৪ সালের ৯ মার্চ প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে তিন ধাপের বেতন বৈষম্য শুরু হয়। ২০২০ সালে কিছুটা সমাধান হলেও প্রধান শিক্ষকের পরবর্তী ধাপের বেতন বৈষম্য আজও রয়ে গেছে। বর্তমানে প্রধান শিক্ষকরা দশম গ্রেডে, আর সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন।

শিক্ষকরা আরও বলেছেন, 'জাতীয় বেতন কমিশনের সিদ্ধান্তের জন্য অনিশ্চয়তা আছে। যদি সরকার দ্রুত ব্যবস্থা না নেন, আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।' 

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন