{getBlock} $results={3} $label={ছবি} $type={headermagazine}

নুরাল পাগলার দরবারে হামলায় হত্যা মামলা, গ্রেপ্তার চারজনসহ মসজিদের ইমাম

প্রকাশঃ
অ+ অ-

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরাল পাগলার বাড়ি ও দরবারে গত শুক্রবার হামলা–ভাঙচুর–অগ্নিসংযোগ করা হয় ফাইল ছবি

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরাল পাগলার দরবারে হামলার ঘটনায় নিহত রাসেল মোল্লার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে তাঁর বাবা আজাদ মোল্লা বাদী হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। ওই মামলায় পুলিশ গতকাল রাতে অভিযান চালিয়ে মসজিদের ইমামসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁরা হলেন গোয়ালন্দ পৌরসভার আলম চৌধুরীপাড়ার বিল্লাল মন্ডলের ছেলে অভি মন্ডল ওরফে রঞ্জু (২৯) ও মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বড় ঠাকুরকান্দি গ্রামের মো. বাহাউদ্দীনের ছেলে আবদুল লতিফ (৩৫)। লতিফ গোয়ালন্দ পৌরসভার বায়তুল মোকাদ্দাস জামে মসজিদের ইমাম।

ওই ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে করা মামলায় গতকাল রাতে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের গনি শিকদার পাড়ার মজিবর শেখের ছেলে আসলাম শেখ (২৮) ও গোয়ালন্দ পৌরসভার কাজী পাড়ার জয়নাল শেখের ছেলে শহিদুল ইসলাম ওরফে বুদ্দু (৪৫)। ওই মামলায় মোট গ্রেপ্তার হয়েছেন ১৬ জন। গত শুক্রবার রাতে গোয়ালন্দ ঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে মামলাটি করেন।

রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) শরীফ আল রাজীব আজ মঙ্গলবার সকালে বলেন, ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে অপু কাজী নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাঁর জবানবন্দির তথ্য অনুসারে কবর থেকে লাশ তুলে পোড়ানোর ঘটনায় মসজিদের ইমাম আবদুল লতিফসহ কয়েকজনের জড়িত থাকার বিষয়টি জানা যায়। গতকাল রাতে হত্যা মামলা দায়েরের পর মানিকগঞ্জ জেলা সদর থেকে আবদুল লতিফসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দফায় দফায় নুরাল পাগলার দরবারে হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা শরিয়ত পরিপন্থীভাবে দাফনের অভিযোগ তুলে নুরাল পাগলার লাশ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেন। উপজেলা ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটির পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে একদল লোকের এই হামলায় ১০–১২ জন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত অর্ধশত ব্যক্তি আহত হন। পুলিশের দুটি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। হামলায় আহত হয়ে মারা যান রাসেল মোল্লা। তাঁর বাড়ি গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের পূর্ব তেনাপচা ঝুটুমিস্ত্রি পাড়া গ্রামে। তাঁর চাচা সহিদ মোল্লা নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার দরবারের অন্যতম খাদেম। 

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন