[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

মালিক-শ্রমিক দ্বন্দ্বে স্থবির দূরপাল্লার বাস চলাচল, ভোগান্তিতে হাজারো যাত্রী

প্রকাশঃ
অ+ অ-

রাজশাহীসহ তিন জেলা থেকে চতুর্থ দিনের মতো দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। সোমবার সকালে শিরোইল বাস টার্মিনাল এলাকায় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন  

রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নাটোর থেকে টানা চার দিন ধরে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে সাধারণ যাত্রীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।

গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে হঠাৎ করেই বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেয় বাস মালিক সমিতি। তারপর থেকে কোনো দূরপাল্লার বাস রাস্তায় নামেনি। এ অবস্থায় আজ সোমবার ঢাকার গাবতলীতে বাস মালিক ও শ্রমিকদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। পরিবহন নেতাদের আশা, বৈঠকে সমাধান মিলতে পারে।

চার দিন ধরে বাস বন্ধ থাকায় ভোগান্তির শেষ নেই সাধারণ যাত্রীদের। অনেকেই জরুরি প্রয়োজনে ভেঙে ভেঙে বিভিন্ন যানবাহনে গন্তব্যে যাচ্ছেন। কেউ আবার বেশি ভাড়া দিয়ে প্রাইভেট কার বা স্থানীয় বাসে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।

আজ সকালেও রাজশাহীর শিরোইল এলাকায় ঢাকাগামী বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীদের অপেক্ষা করতে দেখা যায়। পবার দামকুড়া এলাকার আবদুর রহিম সকাল পৌনে ১০টার দিকে ঢাকায় যাওয়ার জন্য বাসস্ট্যান্ডে আসেন। কিন্তু বাস না পেয়ে তিনি স্থানীয় একটি বাসে ৬০০ টাকা দিয়ে টিকিট কাটেন। তিনি বলেন,
‘আগেই জানতাম বাস চলছে না। তবু আসলাম, কারণ ঢাকায় যাওয়া জরুরি। এখন ৬০০ টাকা দিয়ে যেতে হচ্ছে, অথচ এই ভাড়া সাধারণত ৪০০–৫০০ টাকার মধ্যে।’

অন্যদিকে, আবদুল হালিম নামের এক যাত্রী অনলাইনে দূরপাল্লার বাসের টিকিট কিনেছিলেন। আজ সকালে এসে দেখেন কাউন্টার বন্ধ, বাসও নেই। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন,
‘অনলাইনে টিকিট বিক্রি হলে মনে হয় বাস চলবে। কিন্তু এসে দেখি সব বন্ধ। এটা যাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণা। আমি আইনি ব্যবস্থা নেব।’

বাসমালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলতি মাসেই একাধিকবার মালিক-শ্রমিক দ্বন্দ্বে বাস চলাচল বন্ধ হয়েছে। ৭ সেপ্টেম্বর বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে শ্রমিকেরা তিন জেলার বাস চালানো বন্ধ করেন। মালিকদের আশ্বাসে দুই দিন পর বাস চলাচল শুরু হলেও প্রত্যাশিত হারে বেতন না বাড়ায় ২২ সেপ্টেম্বর আবার কর্মবিরতি শুরু হয়।

২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শুধু একতা ট্রান্সপোর্ট চললেও পরে বেতন আংশিক বাড়ানো হয়। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর না হওয়ায় নতুন করে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার রাতে আবারও বাস বন্ধের ঘোষণা আসে।

উত্তরবঙ্গ বাস মালিক সমিতির মহাসচিব নজরুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল ঢাকায় মালিকদের এক বৈঠক হয়েছে। আজ আবারও সভা হবে, সেখানে রাজশাহী অঞ্চলের মালিকেরাও থাকবেন। সভার পর বোঝা যাবে বাস চলবে কি না।’

রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘২৩ সেপ্টেম্বর ঢাকায় এক বৈঠকে বেতন বাড়ানোর চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু সেই চুক্তি মানেননি মালিকেরা, উল্টো বাস বন্ধ করে দিয়েছেন। এখন যে ভোগান্তি হচ্ছে, সেটি শ্রমিকদের কারণে নয়, মালিকদের কারণে। আজকের বৈঠকে আমরা আলোচনায় রাজি আছি, তবে সেটি অবশ্যই শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা করে হতে হবে।’

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন