খাগড়াছড়িতে থমথমে পরিস্থিতি, অবরোধ অব্যাহত
![]() |
| খাগড়াছড়ির গুইমারায় ধর্ষণ ও সহিংসতার পর থমথমে পরিস্থিতি, নিয়ন্ত্রণে বিজিবির টহল। সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় গুইমারা বাজার থেকে তোলা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
পাহাড়ি কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনার পর বিক্ষোভ ও সহিংসতা ঘিরে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে এখনো টানটান পরিস্থিতি বিরাজ করছে। জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারসহ আট দফা দাবিতে তিন পার্বত্য জেলায় চলছে জুম্ম ছাত্র জনতার ডাকা অনির্দিষ্টকালের অবরোধ। প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারাও কার্যকর রয়েছে।
অবরোধের কারণে খাগড়াছড়িতে দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ। সোমবার সকাল আটটার দিকে পৌর শহরে দেখা যায়, সড়কে কেবল দু-একটি অটোরিকশা চলছে। দোকানপাট বন্ধ। মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। একসঙ্গে একাধিক মানুষ জড়ো হলে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
জুম্ম ছাত্র জনতার সূত্রে জানা গেছে, রোববার গুইমারা উপজেলায় সহিংসতায় তিন পাহাড়ির মৃত্যুর ঘটনায় সোমবার আবারও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হবে। সংগঠনের অন্যতম মুখপাত্র দ্বীপায়ন ত্রিপুরা বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে অবরোধ পালনের আহ্বান জানিয়েছি।’
সকালে গুইমারা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সড়কে সেনা, বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। আজ সাপ্তাহিক হাট বসার কথা থাকলেও পরিস্থিতির কারণে বাজার বসেনি। দোকানপাটও বন্ধ। টমটম ও মোটরসাইকেল ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন চলাচল করছে না। বাজারে মানুষের উপস্থিতি ছিল খুবই কম।
গতকাল রোববার গুইমারায় গুলিতে তিনজন নিহত হন। এ ছাড়া সেখানে সেনাবাহিনী ও পুলিশের অন্তত ২০ সদস্য আহত হন বলে জানা গেছে।
গুইমারা থানার ওসি এনামুল হক চৌধুরী বলেন, 'সকালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনা, বিজিবি ও পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে। অবরোধকারীদের সক্রিয় হওয়ার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।'
গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে এক কিশোরী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়। রাত ১১টার দিকে তাঁকে অচেতন অবস্থায় খেত থেকে উদ্ধার করেন স্বজনেরা। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁকে আদালতের আদেশে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন