[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

পুকুরের ওপর আনন্দময় দুর্গোৎসব

প্রকাশঃ
অ+ অ-

রঙিন কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয়েছে তিনতলাবিশিষ্ট মন্দিরটি। রোববার জয়পুরহাট সদর উপজেলার ভাদসা ইউনিয়নের মধ্যপালি গ্রামে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন  

জয়পুরহাট সদর উপজেলার ভাদসা ইউনিয়নের মধ্যপালি গ্রামে পুকুরের ওপর নির্মিত অস্থায়ী মন্দিরে এবারও দুর্গোৎসবের আয়োজন হয়েছে। সন্ধ্যার আগ থেকেই পুকুরপাড়ে জমায়েত হতে থাকে কৌতূহলী মানুষ। দর্শনার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে পুকুরের মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা তিনতলা মন্দিরটি।

স্থানীয় ডেকোরেটরের সহায়তায় নির্মিত এ মন্দিরে পূজারিরা উপস্থিত ছিলেন ভিড় করে, দর্শনার্থীরা মুগ্ধ হয়ে ঘুরে দেখেন, আর আলোঝলমল সাজসজ্জা পুরো পুকুরপাড়কে উৎসবমেলায় পরিণত করেছে। স্থানীয়রা জানান, নয় বছর ধরে এই ধরনের আয়োজন নিয়মিত হয়ে আসছে।

আয়োজকরা বলেন, প্রথম দিকে এখানে তেমন দর্শনার্থী আসতেন না। তখন গ্রামের রাজমিস্ত্রি শ্রী চঞ্চল মণ্ডল মাথায় নিয়ে পুকুরের ওপর দুর্গোৎসব আয়োজনের পরিকল্পনা করেন। নয় বছর আগে একতলা মন্দির নির্মাণের পর দর্শক ও পূজারীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। পরের বছর দুইতলা, এরপর তিনতলা অস্থায়ী মন্দির তৈরি করা হয়। এবার পুকুরের আকার ছোট হওয়ায় পাশের আরেকটি পুকুরে বড় মন্দির নির্মাণ করা হয়েছে।

ডেকোরেটরের শ্রমিকরা তিন মাস ধরে মন্দির তৈরি করেছেন। আয়োজকদের মতে, এতে খরচ হয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা।

গত রোববার ষষ্ঠীপূজার দিন বিকেলে মন্দিরের চারপাশে দর্শনার্থীর ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ভক্তরা বাঁশ-কাঠের তৈরি সরু পাটাতনের মাধ্যমে মন্দিরের মূল অংশে উঠে পূজা করেছেন এবং একই পথ ধরে বাইরে ফিরে গেছেন। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্বে ছিলেন, পাশাপাশি পুলিশ ও আনসারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

দর্শনার্থীরা মন্দির দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। ইমরান হোসেন বলেন, ‘দারুণ আয়োজন। তিনতলার মন্দিরটি সত্যিই ব্যতিক্রমী, দেখে মুগ্ধ হয়েছি।’ তবে কেউ কেউ মন্দিরটিকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করেছেন।

ঝুঁকির বিষয়ে জানতে চাইলে মধ্যপালি গ্রামের সর্বজনীন মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন কুমার মণ্ডল বলেন, ‘একসঙ্গে মন্দিরের ওপর ৬০ জন উঠলেও কোনো সমস্যা হয়নি। আমরা নয় বছর ধরে ডেকোরেটরের সহায়তায় পুকুরের ওপর মন্দিরে দুর্গোৎসব আয়োজন করছি। এবার আরও আকর্ষণীয় করা হয়েছে।’

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন