চাকসু নির্বাচনে অংশ নেবে না বাগছাস
![]() |
চাকসু ভবন | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস)। ফলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে কোনো প্যানেল থাকছে না।
প্যানেল না দেওয়া ও সংগঠন হিসেবে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার বিষয়টি আজ মঙ্গলবার নিশ্চিত করেছেন বাগছাস বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্যসচিব আল মাসনূন। তিনি মুঠোফোনে বলেন, বাগছাসের পক্ষ থেকে কোনো প্যানেল দেওয়া হচ্ছে না। সংগঠন হিসেবেও নির্বাচনে আসবে না বাগছাস। তবে ব্যক্তিগত উদ্যাগে স্বতন্ত্রভাবে যে কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারে।
নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে মাসনূন বলেন, আজ সন্ধ্যার মধ্যে বিবৃতি দিয়ে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কারণ জানানো হবে।
তবে আজ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করার শেষ দিনে বাগছাসের অন্তত পাঁচজন নেতা স্বতন্ত্রভাবে বিভিন্ন পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। তাঁদের একজন সংগঠনের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব আশরাফ চৌধুরী। তিনি কেন্দ্রীয় সংসদের ক্যারিয়ার উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে লড়বেন।
জানতে চাইলে আশরাফ চৌধুরী বলেন, ‘আমি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করব। অনেক আগে থেকেই ক্যারিয়ার-সংশ্লিষ্ট নানা কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত আছি। এ কারণেই পদটি বেছে নিয়েছি। ইতিমধ্যে আমিসহ পাঁচজন মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। তবে সংগঠন নির্বাচনে আসছে না। প্যানেলও দিচ্ছে না।’
গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদকে অনেকে জাতীয় নাগরিক পার্টির ছাত্রসংগঠন মনে করে থাকেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে প্যানেল ঘোষণা করেছিল বাগছাস। নাম ছিল শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম।
অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বাগছাস-সমর্থিত প্যানেলের নাম ছিল ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’। এ প্যানেলকে সমর্থন দিয়েছিল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ দুই নির্বাচনেই প্যানেলগুলো ভালো ফল আনতে পারেনি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাগছাসের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বড় দুই বিশ্ববিদ্যালয় ভালো ফল করতে না পারার প্রভাব চাকসু নির্বাচনেও পড়েছে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
সম্প্রতি স্থানীয় গ্রামবাসীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ওই সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে প্রক্টরিয়াল বডি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া প্রক্টরের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। তাঁর পদত্যাগসহ সাত দাবিতে অনশন করেন ৯ শিক্ষার্থী। পরে উপাচার্য মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতারের আশ্বাসে অনশন ভাঙেন শিক্ষার্থীদের।
বাগছাসের এক নেতা বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাগছাস নির্বাচনে প্যানেল না দেওয়ার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর আগামী ১২ অক্টোবর চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবার মোট ভোটার ২৭ হাজার ৬৩৭ জন। গত রোববার থেকে শুরু হয়েছে মনোনয়নপত্র বিতরণ। আজ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করার শেষ দিন।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, মনোনয়নপত্র আগামীকাল বুধবার পর্যন্ত জমা দেওয়া যাবে। যাচাই-বাছাই হবে ১৮ সেপ্টেম্বর। প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকা প্রকাশিত হবে ২১ সেপ্টেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৩ সেপ্টেম্বর। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হবে ২৫ সেপ্টেম্বর।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন