[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

নবাবগঞ্জের বাড়ি থেকে সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি শামসুদ্দোহা গ্রেপ্তার

প্রকাশঃ
অ+ অ-

সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক শামসুদ্দোহা খন্দকার | ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার নবাবগঞ্জে পানালিয়া ওয়ান্ডেরালা গ্রিনপার্ক থেকে সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (এআইজিপি) শামসুদ্দোহা খন্দকারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বেলা ১১টায় পুলিশ তাঁকে আটক করে, পরে চেক জালিয়াতির দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান জানান, সাবেক এআইজিপির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। সেই অনুযায়ী তাঁকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

নবাবগঞ্জ থানার সূত্রে জানা যায়, শামসুদ্দোহা গত শনিবার পানালিয়ার নিজ বাড়িতে মদ্যপ অবস্থায় বসবাসরত কর্মীদের হুমকি দেন। রাত ১১টায় এক নারী গৃহকর্মী ৯৯৯-এ কল করে পুলিশকে বিষয়টি জানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন, তিনি মদ্যপ অবস্থায় কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন। এরপর নবাবগঞ্জ থানার পুলিশ রাতভর সেখানে অবস্থান করে।

পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি খন্দকার শামসুদ্দোহাকে ঢাকার নবাবগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার বেলা ১১টায় পানালিয়া ওয়ান্ডেরালা গ্রিনপার্কে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন  

পুলিশ সূত্র জানায়, সাবেক এআইজিপি চার নারী গৃহকর্মীসহ কয়েকজনকে বেতন না দিয়ে আটক রাখেন। নিজের লাইসেন্সকৃত অস্ত্র দিয়ে গুলি করার হুমকি দেন। পরে পুলিশ দেখেন, তিনি কক্ষের দরজা আটকে ভেতরে অবস্থান করছেন। রাতভর পুলিশের একাধিক টিম তাঁকে গ্রেপ্তারে কাজ করে।

রোববার সকালে শামসুদ্দোহা ঘুম থেকে ওঠেন। পুলিশ তাঁর বের হওয়ার অনুরোধ করলে তিনি সাড়ে ১০টায় বাড়ির বাইরে আসেন। বেলা ১১টায় তাঁকে পুলিশ আটক করে ঢাকার দিকে নিয়ে যায়। এরপর কিছু সময়ের জন্য কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় রাখা হয়। সেখানে তিনি পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষে বেলা সোয়া একটায় আদালতে নেওয়ার জন্য রওনা হন।

শামসুদ্দোহা পুলিশ বাহিনীতে ১৯৮৬ সালে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগ দেন। ২০১১ সালে অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে পদোন্নতি পান। একই বছর সরকার তাঁকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়। দায়িত্বকালীন সময়ে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ ওঠে। ২০১৫ সালে তাঁকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হয়। ২০১৬ সালের ৩ মার্চ তিনি পুলিশ বাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

তাঁর এবং স্ত্রীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগও রয়েছে। ২০১৮ সালে দুদক অনুসন্ধান শুরু করে। অনুসন্ধানে দেখা যায়, স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে প্রায় ৪১ কোটি টাকার অপরাধলব্ধ আয় রয়েছে। শামসুদ্দোহার নিজস্ব সম্পদ ২১ কোটি ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা। এছাড়া ২ কোটি ৮৭ লাখ ৩ হাজার ৩৮৩ টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগও রয়েছে। এ বিষয়ে মামলার বিচার চলছে।

নবাবগঞ্জ থানার ওসি মমিনুল ইসলাম বলেন, সাবেক এআইজিপির বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির দুটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। এছাড়া পাঁচটি মামলায় তিনি জামিনে রয়েছেন।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন