{getBlock} $results={3} $label={ছবি} $type={headermagazine}

স্কুলে সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের দাবি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: আসক

প্রকাশঃ
অ+ অ-
আইন ও সালিশ কেন্দ্র

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীতশিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বাতিলের দাবি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। মানবাধিকার সংগঠনটি বলছে, সংগীতশিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের মতো দাবি গ্রহণযোগ্য নয়।

আজ বুধবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছে আসক। বিবৃতিতে বলা হয়, সংগীতশিক্ষক নিয়োগ বাতিলের দাবি জাতীয় সংস্কৃতিকে দুর্বল করার অপচেষ্টা। শিশুদের সার্বিক মানসিক বিকাশের জন্য ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক শিক্ষা ও চর্চার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘কিছু গোষ্ঠী সংগীতশিক্ষক নিয়োগ বাতিলের দাবিকে সামনে রেখে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শিল্প-সংস্কৃতিকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। এ ধরনের প্রচেষ্টা কেবল অযৌক্তিকই নয়, বরং সমাজকে একপেশে করে তোলার ঝুঁকি তৈরি করছে, যার সুদূরপ্রসারী নেতিবাচক ফলাফল আমাদের জাতীয় ঐক্য ও সংস্কৃতির ভিত্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।’

আসক বলেছে, বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষকের প্রয়োজনীয়তা থাকতে পারে, সেটি আলাদা নীতিগত আলোচনার বিষয়ও হতে পারে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি উত্থাপন করা যেতে পারে। তবে কোনো অবস্থাতেই সেই দাবিকে অজুহাত করে শিল্প-সংস্কৃতির চর্চা ব্যাহত করা অথবা সংগীতশিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের মতো দাবি গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের প্রচেষ্টা কেবল সাংস্কৃতিক বিকাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে না, বরং সামাজিক সম্প্রীতি ও বহুত্ববাদী চেতনার ওপর আঘাত হানে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সংবিধান প্রত্যেক নাগরিককে নিজস্ব সংস্কৃতিচর্চা ও শিল্প-সাহিত্যে অংশগ্রহণের অধিকার দিয়েছে। বাংলাদেশ একটি রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের দেশ, যেখানে ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, সামাজিক আন্দোলন এবং সব গণতান্ত্রিক সংগ্রামে সংগীত ও শিল্পসংস্কৃতি ছিল অবিচ্ছেদ্য অংশ।

আসক মনে করে, সংগীতশিক্ষা শুধু বিনোদনের বিষয় নয়, এটি মানসিক বিকাশ, নৈতিক শিক্ষা, সৃজনশীলতা ও সহনশীলতা বৃদ্ধির অন্যতম মাধ্যম। এই ঐতিহ্যকে রক্ষা ও বিকশিত করা রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব এবং সামাজিক সম্প্রীতির অপরিহার্য শর্ত।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন