জাতীয় নির্বাচন ঘিরে প্রস্তুত সেনাবাহিনী
প্রকাশঃ
![]() |
ব্রিফিংয়ে সেনাসদরের মিলিটারি অপারেশনস পরিদপ্তরের কর্নেল স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম। সোমবার ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেস–এ | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সেনাবাহিনীর একটা প্রস্তুতি অবশ্যই রয়েছে। নির্বাচন কমিশন থেকে যে দায়িত্ব দেওয়া হবে, সে অনুযায়ী সর্বোচ্চ পেশাদারত্বের সঙ্গে সেনাবাহিনী কাজ করবে।
সোমবার সেনাসদরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানানো হয়। ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেস এ-তে অনুষ্ঠিত এই ব্রিফিংয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন সেনাসদরের মিলিটারি অপারেশনস পরিদপ্তরের কর্নেল স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম।
জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে কর্নেল শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা জেনেছি নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে সম্পৃক্ত করা হবে। তবে নির্বাচন কমিশন থেকে এখন পর্যন্ত আমরা কোনো আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা পাইনি। হয়তো অচিরেই আমরা নির্দেশনা পাব এবং সে অনুযায়ী পরিকল্পনা করব। যাতে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।’
ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু পরিবেশে গণতন্ত্র এবং নির্বাচনের চর্চা হবে বলে প্রত্যাশার কথা জানিয়ে শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করছে, আমরা তাদের মঙ্গল কামনা করি।’ তিনি জানান, ডাকসু নির্বাচনের সঙ্গে সেনাবাহিনীর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এর আগেও সংবাদমাধ্যমে এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে। তবু কিছু স্বার্থান্বেষী মহল বিভিন্ন মাধ্যমে কিছু ‘প্রোপাগান্ডা’ ছড়ানোর চেষ্টা করছে। তবে এগুলো করে তারা খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না।
কর্নেল শফিকুল ইসলাম বলেন, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে। ৮০ শতাংশের বেশি হারানো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো যে ২০ শতাংশ অস্ত্র পাওয়া যায়নি, সেগুলো যত দ্রুত সম্ভব সময়ের মধ্যে উদ্ধারে অভিযান চলমান আছে। এসব কার্যক্রম একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে সহায়তা করবে বলে আশা করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, যদি কোনো দলের জন্য এই মিছিলগুলো করার নিষেধাজ্ঞা থেকে থাকে, তাহলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অবশ্যই তা খতিয়ে দেখবে এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
‘মব’ নিয়ে ‘জিরো টলারেন্স’
মব বা উচ্ছৃঙ্খল জনতার সংঘবদ্ধ আক্রমণ নিয়ে এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘মবের ক্ষেত্রে আমাদের জিরো টলারেন্স। যেখানে যখন মব হয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। কয়েকটি জায়গায় যেতে দেরি হয়েছে, সেখানে তথ্যদাতার কাছ থেকে তথ্য পেতে বিলম্ব হয়েছে।’
কর্নেল শফিকুল ইসলাম বলেন, যেকোনো ঘটনা ঘটার পরে সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সেখানে মোতায়েন করা হয়। তারপর সেনাবাহিনীকে যখন বলা হয়, ততক্ষণে কিছুটা কালক্ষেপণ হয়ে যায়। তারপরও নিকটস্থ ক্যাম্প থেকে টহল দল পাঠালেও কিছুক্ষণ বিলম্ব হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো ঘটনা যদি ঘটে যায়, সেটার দায়ভার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিতে পারে না।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কর্নেল শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এক বছরের বেশি সময় ধরে ধৈর্য ও অত্যন্ত পরিশ্রমের সঙ্গে দেশের সরকার এবং জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আইনশৃঙ্খলার উন্নতি করা কেবল সেনাবাহিনীর কাজ নয়। সেনাবাহিনীকে যে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, তাতে গ্রেপ্তার, আটক ও হস্তান্তর করা যায়। আইনি প্রক্রিয়ায় তো কাউকে সাজা দেওয়া যায় না। এ জন্য সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। ইতিমধ্যে সেটা সবাই শুরু করেছে।’
সামনের দিনগুলোতে আইনশৃঙ্খলা আরও ভালো হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
রাজবাড়ীতে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার দরবারের ঘটনা–সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী তৎপর আছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে কর্নেল শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমেই এ দেশ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করি এবং অন্তর থেকে শ্রদ্ধা করি। এই শ্রদ্ধা ও সম্মান আগেও যেমন করতাম, এখনো করি এবং ভবিষ্যতেও করব। কোনো মব বা কোনো কিছু দিয়ে আমাদের মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিযুদ্ধকে ছোট করার সুযোগ নেই। মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমানের বাড়ির সামনে যখন মব সৃষ্টি হয়েছিল, তখন খবর পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউনিট সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।’
গুমের ঘটনা তদন্ত প্রসঙ্গ
গুম–সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে কর্নেল শফিক বলেন, ‘অনুসন্ধানের জন্য কমিশনে যাদের ডাকা হয়েছে, সবাই কমিশনের সঙ্গে কথা বলেছে, সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে। এখনো সহযোগিতা করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে কোনো সহযোগিতা দরকার হলে সেনাবাহিনী সেটাও করে যাবে। এর বাইরে কিছু শুনে থাকলে সেটা গুজব।’
সেনাবাহিনী নিয়ে অবসরপ্রাপ্ত কিছু কর্মকর্তার বিভিন্ন বক্তব্য প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে কর্নেল শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সামাজিক মাধ্যমে কে কতটুকু বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করছে, সেটার বস্তুনিষ্ঠতা বিচারের অনুরোধ করছি।’
সোমবার সেনাসদরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানানো হয়। ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেস এ-তে অনুষ্ঠিত এই ব্রিফিংয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন সেনাসদরের মিলিটারি অপারেশনস পরিদপ্তরের কর্নেল স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম।
জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে কর্নেল শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা জেনেছি নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে সম্পৃক্ত করা হবে। তবে নির্বাচন কমিশন থেকে এখন পর্যন্ত আমরা কোনো আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা পাইনি। হয়তো অচিরেই আমরা নির্দেশনা পাব এবং সে অনুযায়ী পরিকল্পনা করব। যাতে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।’
ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু পরিবেশে গণতন্ত্র এবং নির্বাচনের চর্চা হবে বলে প্রত্যাশার কথা জানিয়ে শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করছে, আমরা তাদের মঙ্গল কামনা করি।’ তিনি জানান, ডাকসু নির্বাচনের সঙ্গে সেনাবাহিনীর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এর আগেও সংবাদমাধ্যমে এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে। তবু কিছু স্বার্থান্বেষী মহল বিভিন্ন মাধ্যমে কিছু ‘প্রোপাগান্ডা’ ছড়ানোর চেষ্টা করছে। তবে এগুলো করে তারা খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না।
কর্নেল শফিকুল ইসলাম বলেন, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে। ৮০ শতাংশের বেশি হারানো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো যে ২০ শতাংশ অস্ত্র পাওয়া যায়নি, সেগুলো যত দ্রুত সম্ভব সময়ের মধ্যে উদ্ধারে অভিযান চলমান আছে। এসব কার্যক্রম একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে সহায়তা করবে বলে আশা করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, যদি কোনো দলের জন্য এই মিছিলগুলো করার নিষেধাজ্ঞা থেকে থাকে, তাহলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অবশ্যই তা খতিয়ে দেখবে এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
‘মব’ নিয়ে ‘জিরো টলারেন্স’
মব বা উচ্ছৃঙ্খল জনতার সংঘবদ্ধ আক্রমণ নিয়ে এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘মবের ক্ষেত্রে আমাদের জিরো টলারেন্স। যেখানে যখন মব হয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। কয়েকটি জায়গায় যেতে দেরি হয়েছে, সেখানে তথ্যদাতার কাছ থেকে তথ্য পেতে বিলম্ব হয়েছে।’
কর্নেল শফিকুল ইসলাম বলেন, যেকোনো ঘটনা ঘটার পরে সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সেখানে মোতায়েন করা হয়। তারপর সেনাবাহিনীকে যখন বলা হয়, ততক্ষণে কিছুটা কালক্ষেপণ হয়ে যায়। তারপরও নিকটস্থ ক্যাম্প থেকে টহল দল পাঠালেও কিছুক্ষণ বিলম্ব হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো ঘটনা যদি ঘটে যায়, সেটার দায়ভার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিতে পারে না।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কর্নেল শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এক বছরের বেশি সময় ধরে ধৈর্য ও অত্যন্ত পরিশ্রমের সঙ্গে দেশের সরকার এবং জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আইনশৃঙ্খলার উন্নতি করা কেবল সেনাবাহিনীর কাজ নয়। সেনাবাহিনীকে যে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, তাতে গ্রেপ্তার, আটক ও হস্তান্তর করা যায়। আইনি প্রক্রিয়ায় তো কাউকে সাজা দেওয়া যায় না। এ জন্য সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। ইতিমধ্যে সেটা সবাই শুরু করেছে।’
সামনের দিনগুলোতে আইনশৃঙ্খলা আরও ভালো হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
রাজবাড়ীতে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার দরবারের ঘটনা–সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী তৎপর আছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে কর্নেল শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমেই এ দেশ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করি এবং অন্তর থেকে শ্রদ্ধা করি। এই শ্রদ্ধা ও সম্মান আগেও যেমন করতাম, এখনো করি এবং ভবিষ্যতেও করব। কোনো মব বা কোনো কিছু দিয়ে আমাদের মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিযুদ্ধকে ছোট করার সুযোগ নেই। মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমানের বাড়ির সামনে যখন মব সৃষ্টি হয়েছিল, তখন খবর পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউনিট সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।’
গুমের ঘটনা তদন্ত প্রসঙ্গ
গুম–সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে কর্নেল শফিক বলেন, ‘অনুসন্ধানের জন্য কমিশনে যাদের ডাকা হয়েছে, সবাই কমিশনের সঙ্গে কথা বলেছে, সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে। এখনো সহযোগিতা করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে কোনো সহযোগিতা দরকার হলে সেনাবাহিনী সেটাও করে যাবে। এর বাইরে কিছু শুনে থাকলে সেটা গুজব।’
সেনাবাহিনী নিয়ে অবসরপ্রাপ্ত কিছু কর্মকর্তার বিভিন্ন বক্তব্য প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে কর্নেল শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সামাজিক মাধ্যমে কে কতটুকু বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করছে, সেটার বস্তুনিষ্ঠতা বিচারের অনুরোধ করছি।’
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন