[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

ঈশ্বরদীতে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ

প্রকাশঃ
অ+ অ-

ধর্ষণ | প্রতীকী ছবি

পাবনার ঈশ্বরদীতে চকলেট খাওয়ানোর কথা বলে এক স্কুলছাত্রকে (৮) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ছাত্রের বাবা বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের বড়ইচরা স্কুলপাড়া গ্রামে নির্জন একটি লিচুর বাগানে এ ঘটনা ঘটে বলে এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে। এতে ওই গ্রামের আব্দুর রহিম (৬০) নামের এক অটোচালককে আসামি করা হয়েছে।

এজাহারে বলা হয়, গ্রামের প্রতিবেশী আব্দুর রহিম বেশ কিছুদিন ধরে সুযোগ পেলেই নানান অছিলায় তাঁর শিশুপুত্রকে কাছে টেনে আদর করত। এরই মধ্যে ২৬ সেপ্টেম্বর বেলা আনুমানিক আড়াইটার দিকে তাঁর শিশুপুত্র বাড়ির নিকটবর্তী একটি দোকানে ডিম কিনতে যায়।

এ সুযোগে আব্দুর রহিম তাঁর ছেলেকে চকলেট খাওয়ানোর কথা বলে অদূরে নির্জন একটি লিচুর বাগানে নিয়ে যায় এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ (বলাৎকার) করে পালিয়ে যায়। পরে শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে গিয়ে পরিবারের কাছে সবকিছু বলে দেয়।

পরিবারের সদস্যরা তাকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেয়। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতেই ঈশ্বরদী থানায় লিখিত এজাহার জমা দেওয়া হয়।

বিষয়টি সম্পর্কে আজ দুপুরে মোবাইল ফোনে শিশুটির বাবা জানান, ঘটনার পর থেকে তাঁর শিশুপুত্র মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। কারও সঙ্গে সে খুব একটা কথা বলছে না। বাড়ির বাইরে খেলতেও যাচ্ছে না। তিনি অভিযোগ করেন, এজাহার জমা দেওয়ার একদিন পরেও অভিযুক্ত আব্দুর রহিমকে আইনের আওতায় আনা হয়নি। বরং এজাহার তুলে না নিলে ‘দেখে নেওয়ার হুমকি-ধমকি’ দেওয়া হচ্ছে। এতে তিনি আতঙ্কের মধ্যে আছেন।

এ বিষয়ে আব্দুর রহিমের বক্তব্য জানতে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাঁকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।

ঈশ্বরদী থানার ওসি আব্দুন নূর জানান, এ-সংক্রান্ত একটি অভিযোগ তিনি হাতে পেয়েছেন। তদন্তের জন্য শুক্রবার রাতেই থানার এক কর্মকর্তাকে নিযুক্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পরপরই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন