রাকসুতে ভিপি–এজিএস শিবিরের মোস্তাকুর–সালমান, জিএস সাবেক সমন্বয়ক আম্মার
রাকসুতে ২০ পদে শিবির জয়ী, একটিতে ছাত্রদল, দুটিতে অন্যরা
![]() |
| চূড়ান্ত ফল ঘোষণার সময় মোস্তাকুর রহমান (মাঝে), সালাউদ্দিন আম্মার (বাঁয়ে) ও এস এম সালমান সাব্বির (ডানে) বিজয় চিহ্ন দেখান। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ভিপি ও এজিএসসহ ২৩টি পদের মধ্যে ২০টিতেই জয় পেয়েছে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’। বাকি তিন পদে জয় পেয়েছে অন্যরা।
এই তিন পদের মধ্যে জিএস পদে ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের সালাহউদ্দিন আম্মার, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ছাত্রদল সমর্থিত নর্গিস খাতুন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী তোফায়েল আহমেদ তোফা বিজয়ী হয়েছেন।
আজ শুক্রবার সকাল নয়টার দিকে রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে এই ফলাফল ঘোষণা করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়। মোট ভোট পড়েছে ৬৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
শিবির সমর্থিত প্যানেলের মোস্তাকুর রহমান (জাহিদ) ভিপি পদে ১২ হাজার ৬৮৭ ভোটে জয়ী হয়েছেন। এজিএস পদে শিবির সমর্থিত প্যানেলের এস এম সালমান সাব্বির ৬ হাজার ৯৭৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
এ ছাড়া সহকারী ক্রীড়া ও খেলাধুলা সম্পাদক পদে আবু সাঈদ মুহাম্মাদ নুন (সামি), সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক পদে জায়িদ হাসান জোহা, সহকারী সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মো. রাকিবুল ইসলাম, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক পদে সাইয়িদা হাফছা, সহকারী মহিলাবিষয়ক সম্পাদক পদে সামিয়া জাহান, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদে বি এম নাজমুছ সাকিব, সহকারী তথ্য ও গবেষণা পদে সিফাত আবু সালেহ, মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে মো. মুজাহিদুল ইসলাম, সহকারী মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে আসাদুল্লাহ গালিব, সহকারী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে মুজাহিদুল ইসলাম সাঈম, বিতর্ক ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক পদে ইমরান লস্কর, সহকারী বিতর্ক ও সাহিত্য সম্পাদক পদে মো. নয়ন হোসেন, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে আবদুল্লাহ আল মাসুদ, সহকারী পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ পদে মাসুমা ইসরাত মুমু শিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাহী সদস্য পদের চারটিতেই জয়ী হয়েছেন শিবিরের মো. দীপ মাহবুব, সুজন চন্দ্র, মো. ইমজিয়াউল হক কামালি ও এ বি এম খালেদ।
বিজিতদের পরামর্শ নিয়ে ক্যাম্পাস গড়ে তুলব: শিবিরের নবনির্বাচিত ভিপি মোস্তাকুর
![]() |
| সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন নবনির্বাচিত ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ। আজ শুক্রবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনের সামনে। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
নির্বাচনে এক পদে অনেক যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন বলেছেন রাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ। বিজিতদের পরামর্শ, সহযোগিতা নিয়েই ক্যাম্পাস গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেছেন তিনি।
মোস্তাকুর রহমান জাহিদ ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল থেকে ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন।
ফলাফল ঘোষণা শেষে আজ শুক্রবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে ভিপি এ কথা বলেন।
নবনির্বাচিত রাকসু ভিপি বলেন, তাঁরা শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেট অনুযায়ী কাজ করবেন। যারা জয়ী হতে পারেনি তাদের সংখ্যা বেশি। তারাও সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে বলে তিনি আশা করেন।
সবার প্রতি ধন্যবাদ ও সহযোগিতা জানান মোস্তাকুর রহমান।
![]() |
| রাকসু নির্বাচনে বিজয়ী ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ (মাঝে) জি এস সালাউদ্দিন আম্বার (ডানে) এজিএস সালমান সাব্বির (বাঁয়ে)। কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনের সামনে আজ শুক্রবার তোলা। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
যে সম্মান নিয়ে ঢুকছি, সেই সম্মান নিয়ে বের হতে চাই: জিএস আম্মার
![]() |
| ফলাফল ঘোষণার পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তন থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নবনির্বাচিত জিএস সালাউদ্দিন আম্মার। আজ শুক্রবার সকালে। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর নবনির্বাচিত জিএস সালাউদ্দিন আম্মার বলেছেন, 'আমার ম্যান্ডেট শিক্ষার্থীরা ৷ শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেটের বাইরে আমি এক মুহূর্ত থাকব না, ইনশাআল্লাহ৷’
ফলাফল ঘোষণার পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তন থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আম্মার৷ এ সময় আম্মারের মা তাঁর সঙ্গেই ছিলেন৷
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার 'আধিপত্যবিরোধী ঐক্য' প্যানেল থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৷ নির্বাচিত হওয়ার পর সবার দোয়া চেয়েছেন তিনি ৷
সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়ায় আম্মার বলেন, আজ থেকে এক বছর পরে দায়িত্ব পালন শেষে আপনারা আমাকে জিজ্ঞাসা করবেন যে কেমন লাগছে৷ যদি দায়িত্বটা সঠিকভাবে পালন করতে পারি, তাহলে হয়তো এভাবে সম্মানের সঙ্গে আপনাদের কাছে এসে বলতে পারব যে আমি এই এই দায়িত্বপালন করেছিলাম৷ আর যদি দায়িত্ব পালন না করতে পারি...৷ আল্লাহ এটা না করুক৷ যে সম্মান নিয়ে আজকে ঢুকছি, সেই সম্মানটা নিয়ে বের হতে চাই৷’
এ সময় পাশেই থাকা আম্মারের মায়ের কাছেও অনুভূতি জানতে চান সাংবাদিকেরা৷ তিনি বলেন, 'ছোটবেলা থেকে যে আদর্শ ও শিক্ষা দিয়ে তাঁকে মানুষ করেছি, আমি চাই যে সে সেই আদর্শ ও শিক্ষাটা পূর্ণ করে শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেট অনুযায়ী সামনে কাজ করবে৷'
চূড়ান্ত ফল ঘোষণার পর উচ্ছ্বাস আর স্লোগান
![]() |
| চূড়ান্ত ফল ঘোষণার পর ছাত্রশিবিরের ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ (মাঝে), জিএস সালাউদ্দিন আম্মার (বাঁয়ে) ও এজিএস এস এম সালমান সাব্বির (ডানে) উচ্ছ্বাসপ্রকাশ করেন। আজ শুক্রবার সকালে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণার পর শুরু হয়েছে উল্লাস আর স্লোগান।
আনুষ্ঠানিক ফলাফলে রাকসুর ভিপি পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত 'সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট' প্যানেলের মোস্তাকুর রহমান জাহিদ, জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের সালাউদ্দিন আম্মার ও এজিএস পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের এস এম সালমান সাব্বিরের নাম ঘোষণা করা হয়। এর আগে অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে তাঁদের জয়ী ঘোষণা করা হয়।
আজ শুক্রবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে এ ফলাফল ঘোষণা শুরু করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম। রাকসুতে ২৩ পদের মধ্যে ২০টিতেই জিতেছে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল।
এ সময় নির্বাচিত প্রার্থীদের অনেকে কাঁদতে থাকেন। সমর্থকেরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে নানা স্লোগান দেন।
আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণার সময় ধাপে ধাপে সমর্থকেরা ‘নোমানীর রক্ত, বৃথা যেতে দেব না, বৃথা যেতে দেইনি, নোমানীর রক্ত’, ‘আসলামের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’, ‘বিচার বিচার বিচার চাই, শাহবাগীদের বিচার চাই’, ‘ইনকিলাব ইনকিলাব, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’, ‘ওয়ান-টু-থ্রি- ফোর, পোষ্য কোটা নো মোর’, ফ্রম দ্যা রিভার, টু দ্যা সি, প্যালেস্টাইন উইলবি ফ্রি’, ‘বিচার বিচার বিচার চাই, খুনি হাসিনার বিচার চাই’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।
ভিপি–এজিএস পদে শিবিরের মোস্তাকুর–সালমান, জিএসে সাবেক সমন্বয়ক আম্মার জয়ী
![]() |
| রাকসু নির্বাচনে চূড়ান্ত ফল ঘোষণার সময় প্রার্থী ও সমর্থকদের উল্লাস। আজ শুক্রবার সকালে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে অনানুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণায় নির্বাচিত হয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান (জাহিদ)। তিনি ভোট পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৮৭টি।
![]() |
| রাকসু নির্বাচনে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার সময় প্রার্থী ও সমর্থকেরা উল্লাসে মেতে উঠেন। আজ শুক্রবার সকাল পৌনে ৯টায় কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তন ভবনে। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
একই পদে নিকটতম ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দীন (আবীর) ভোট পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৯৭টি।
![]() |
| রাকসু নির্বাচনে চূড়ান্ত ফল ঘোষণার সময় প্রার্থী ও সমর্থকদের উল্লাস। আজ শুক্রবার সকালে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
এদিকে জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের সালাউদ্দিন আম্মার বড় ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ১১ হাজার ৪৯৭টি। তাঁর নিকটতম শিবিরের প্যানেলের জিএস প্রার্থী ফজলে রাব্বি মো. ফাহিম রেজা পেয়েছেন ৫ হাজার ৭২৭ ভোট। আম্মার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক। ফাহিম রেজাও সাবেক সমন্বয়ক।
শীর্ষ তিন পদের তৃতীয় পদ এজিএসে (সহ-সাধারণ সম্পাদক) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে শিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী এস এম সালমান সাব্বির নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ৬ হাজার ৯৭৫টি। তাঁর নিকটতম ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের জাহিন বিশ্বাস (এষা) পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৫১ভোট।
আজ শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক সেতাউর রহমান অনানুষ্ঠানিক ঘোষণা করেন। এখন চূড়ান্ত ঘোষণা চলছে।
নির্বাচনে ১০টি প্যানেলসহ রাকসুর ২৩ পদে ২৪৭ জন, হল সংসদে ১৫ পদে ১৭টি হলে ৫৯৭ প্রার্থী এবং সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ৫ পদে ৫৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। রাকসুতে ভিপি পদে ১৮ জন, জিএস পদে ১৩ জন ও এজিএস পদে ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৮ হাজার ৯০১। এর মধ্যে ছাত্রী ভোটার ১১ হাজার ৩০৫ জন ও ছাত্র ভোটার ১৭ হাজার ৫৯৬ জন। নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৬৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এর মধ্যে ছয়টি নারী হলে ভোট পড়ার হার ৬৩ দশমিক ২৪ শতাংশ।
জিয়াউর রহমান হলে ভিপি-এজিএস পদে শিবির এগিয়ে, জিএস পদে আম্মার
শহীদ জিয়াউর রহমান হলে ভিপি (সহসভাপতি) ও এজিএস পদে ছাত্রশিবির–সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের প্রার্থীরা এগিয়ে আছেন।
এই প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ সর্বোচ্চ ৮৯৩ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল–সমর্থিত 'ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম' প্যানেলের প্রার্থী শেখ নূর উদ্দীন আবীর পেয়েছেন ২৩০ ভোট।
জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের প্রার্থী সালাহউদ্দিন আম্মার পেয়েছেন ৮৫৯ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রশিবির–সমর্থিত প্যানেলের ফজলে মো. ফাহিম রেজা পেয়েছেন ৩৮৫ ভোট।
এজিএস (সহসাধারণ সম্পাদক) পদে ছাত্রশিবির–সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী এস এম সালমান পেয়েছেন ৪৯৫ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল–সমর্থিত প্যানেলের জাহিন বিশ্বাস এষা পেয়েছেন ৪৫২ ভোট।
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় ১৬তম হল হিসেবে শহীদ জিয়াউর রহমান হলের ফলাফল ঘোষণা করা হয় কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে। হল সংসদের ফলাফল ঘোষণা করেন হলটির প্রাধ্যক্ষ। কেন্দ্রীয় সংসদের ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক সেতাউর রহমান।
সোহরাওয়ার্দী হলে ভিপি পদে শিবির, জিএসে আম্মার, এজিএসে ছাত্রদল এগিয়ে
![]() |
| কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ফল ঘোষণার সময় কড়া নিরাপত্তা । আজ শুক্রবার সকালে। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলেও ভিপি (সহসভাপতি) পদে ছাত্রশিবির–সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ সর্বোচ্চ ৮৯৯ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল–সমর্থিত 'ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম' প্যানেলের প্রার্থী শেখ নূর উদ্দীন আবীর পেয়েছেন ৩০০ ভোট।
জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের প্রার্থী সালাহউদ্দিন আম্মার পেয়েছেন ৮৭৩ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রশিবির–সমর্থিত প্যানেলের ফজলে মো. ফাহিম রেজা পেয়েছেন ৩৮০ ভোট।
এজিএস (সহসাধারণ সম্পাদক) পদে ছাত্রদল–সমর্থিত প্যানেলের জাহিন বিশ্বাস এষা ভোটপ্রাপ্তিতে এগিয়ে আছেন। তিনি পেয়েছেন ৫১৭ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রশিবির–সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী এস এম সালমান পেয়েছেন ৪৯৫ ভোট। এর আগের ঘোষিত হলগুলোর সবকটিতেই সালমান এগিয়ে ছিল।
আজ শুক্রবার সকাল ৭টায় ১৫তম হল হিসেবে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের ফলাফল ঘোষণা করা হয় কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে। হল সংসদের ফলাফল ঘোষণা করেন হলের প্রাধ্যক্ষ ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তা অধ্যাপক শাহ হোসাইন আহমদ মেহদী। কেন্দ্রীয় সংসদের ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক সেতাউর রহমান।
ভিপি পদে জয়ের পথে শিবির, জিএসে সাবেক সমন্বয়ক আম্মার
![]() |
| রাকসু, হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। বড় পর্দায় তা সরাসরি দেখতে মিলনায়তনের বাইরে অপেক্ষা করছেন শিক্ষার্থীরা। কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তন; রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ১৭ অক্টোবর ২০২৫। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ভিপি (সহসভাপতি) পদে জয়ের পথে ছাত্রশিবির–সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ আর জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে বিপুল ব্যবধানে জিততে যাচ্ছেন ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের সালাউদ্দিন আম্মার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি হলের মধ্যে ১৪ হলের ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেছে, ভিপি পদে ছাত্রদল–সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের প্রার্থী শেখ নূর উদ্দীন আবীরের চেয়ে ৭ হাজার ৪৯৪ ভোটে এগিয়ে আছেন শিবিরের প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান। ১৪টি হলে তাঁর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ১০ হাজার ১৫৯। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ নূর উদ্দীন পেয়েছেন ২ হাজার ৬৬৫ ভোট। মোস্তাকুর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের বর্তমান সভাপতি।
জিএস পদে ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের সালাউদ্দিন আম্মার বড় ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন। তিনি ১৪ হলে ভোট পেয়েছেন ৯ হাজার ৬৬টি। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রশিবির–সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী ফজলে রাব্বি মো. ফাহিম রেজা পেয়েছেন ৪ হাজার ৬৮৪ ভোট। আম্মার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক। ফাহিম রেজাও সাবেক সমন্বয়ক।
শীর্ষ তিন পদের তৃতীয় পদ এজিএসে (সহ-সাধারণ সম্পাদক) কিছুটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে ছাত্রশিবির–সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী এস এম সালমানের সঙ্গে ছাত্রদল–সমর্থিত প্যানেলের জাহিন বিশ্বাস এষার সঙ্গে। ১৪ হলে সালমান পেয়েছেন ৫ হাজার ৫৮৩ ভোট আর জাহিন বিশ্বাস পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৯৩ ভোট।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯টি ভবনের ১৭টি কেন্দ্রে ১৭ হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দেন। দিনভর পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যে বিকেলে ভোটগ্রহণ শেষ হয়। পরে এর সাড়ে ৪ ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ভোট গণনা শুরু হয়।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে নারী হল দিয়ে ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়। নির্বাচন কমিশন বলে আসছে, তারা ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টার মধ্যে ফলাফল পুরোপুরি ঘোষণা করতে পারবে। তবে প্রাথমিকভাবে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের তিনটি, হল সংসদের তিনটি ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধির ৫টি পদের ফলাফল ঘোষণা করা হচ্ছে।
নির্বাচনে ১০টি প্যানেলসহ রাকসুর ২৩ পদে ২৪৭ জন, হল সংসদে ১৫ পদে ১৭টি হলে ৫৯৭ প্রার্থী এবং সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ৫ পদে ৫৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। রাকসুতে ভিপি পদে ১৮ জন, জিএস পদে ১৩ জন ও এজিএস পদে ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৮ হাজার ৯০১। এর মধ্যে ছাত্রী ভোটার ১১ হাজার ৩০৫ জন আর ছাত্র ভোটার ১৭ হাজার ৫৯৬ জন। নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৬৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এর মধ্যে ছয়টি নারী হলে ভোট পড়ার হার ৬৩ দশমিক ২৪ শতাংশ।
মতিহার হলে ভিপি–এজিএসে শিবির, জিএসে আম্মার এগিয়ে
![]() |
| বড় স্ক্রিনে দেখানো হচ্ছে ফলাফল। আজ শুক্রবার ভোর পৌনে ৬টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
মতিহার হলেও ভিপি (সহসভাপতি) পদে ছাত্রশিবির–সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ সর্বোচ্চ ৮৩৮ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল–সমর্থিত 'ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম' প্যানেলের প্রার্থী শেখ নূর উদ্দীন আবীর পেয়েছেন ২৪৮ ভোট।
জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের প্রার্থী সালাহউদ্দিন আম্মার পেয়েছেন ৮১৩ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রশিবির–সমর্থিত প্যানেলের ফজলে মো. ফাহিম রেজা পেয়েছেন ৩৭৩ ভোট।
এজিএস (সহসাধারণ সম্পাদক) পদে ছাত্রশিবির–সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী এস এম সালমান পেয়েছেন ৫০০ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল–সমর্থিত প্যানেলের জাহিন বিশ্বাস এষা পেয়েছেন ৪৭৪ ভোট।
আজ শুক্রবার ভোর পৌনে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে মতিহার হলের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। হল সংসদের ফলাফল ঘোষণা করেন হলের প্রাধ্যক্ষ ও প্রিজাইডিং অফিসার অধ্যাপক সামিউল ইসলাম সরকার। কেন্দ্রীয় সংসদের ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক সেতাউর রহমান।
শহীদ হবিবুর হলেও ভিপি–এজিএসে এগিয়ে শিবির, জিএসে আম্মার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের শহীদ হবিবুর রহমান হলের ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এই হলে ভিপি (সহসভাপতি) পদে ছাত্রশিবির–সমর্থিত প্যানেলের মোস্তাকুর রহমান জাহিদ ১ হাজার ১৬০ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন। একই প্যানেলের এজিএস (সহসাধারণ সম্পাদক) প্রার্থী এস এম সালমান ৫৯৯ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন। অন্যান্য হলের মতো এই হলেও জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের সালাহউদ্দিন আম্মার বেশ ব্যবধানে এগিয়ে আছেন। তিনি পেয়েছেন ১ হাজার ১২ ভোট।
এই তিন পদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল–সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দীন আবীর পেয়েছেন ২৮৮ ভোট। ছাত্রশিবির– সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী ফজলে মো. ফাহিম রেজা পেয়েছেন ৪৭৩ ভোট এবং এজিএস পদে নিকটতম ছাত্রদল–সমর্থিত প্যানেলের জাহিন বিশ্বাস এষা পেয়েছেন ৫১৩ ভোট।
আজ শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়। হল সংসদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোতাহের হোসেন। পরে রাকসু ও সিনেটের ফল ঘোষণা করেন প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক সেতাউর রহমান।
এখন পর্যন্ত ঘোষিত ১২টি হলের ফলাফলের সবকটিতেই ভিপি ও এজিএস পদে এগিয়ে আছে ছাত্রশিবির-সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল। জিএস পদে এগিয়ে আছেন ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের জিএস প্রার্থী সালাহউদ্দিন আম্মার।
শহীদ শামসুজ্জোহা হলে ভিপি–এজিএসে শিবির, জিএসে আম্মার এগিয়ে
শহীদ শামসুজ্জোহা হলে ভিপি (সহসভাপতি) পদে ছাত্রশিবির–সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ সর্বোচ্চ ৬৫০ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল–সমর্থিত 'ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম' প্যানেলের প্রার্থী শেখ নূর উদ্দীন আবীর পেয়েছেন ১৭০ ভোট।
জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের প্রার্থী সালাহউদ্দিন আম্মার পেয়েছেন ৬০০ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রশিবির–সমর্থিত প্যানেলের ফজলে মো. ফাহিম রেজা পেয়েছেন ২৮৩ ভোট।
এজিএস (সহসাধারণ সম্পাদক) পদে ছাত্রশিবির–সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী এস এম সালমান পেয়েছেন ৩৮৪ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল–সমর্থিত প্যানেলের জাহিন বিশ্বাস এষা পেয়েছেন ৩১৭ ভোট।
আজ শুক্রবার ভোররাত চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে শহীদ শামসুজ্জোহা হলের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। হল সংসদের ফলাফল ঘোষণা করেন হলের প্রাধ্যক্ষ ও প্রিজাইডিং অফিসার অধ্যাপক আল আমিন সরকার। কেন্দ্রীয় সংসদের ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক সেতাউর রহমান।
১০ হলের ফলাফলে ভিপি-এজিএস পদে এগিয়ে শিবির, জিএসে আম্মার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের ১০টি হলে ভিপি (সহসভাপতি) ও এজিএস (সহসাধারণ সম্পাদক) পদে এগিয়ে আছেন ছাত্রশিবির-সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের প্রার্থীরা। অন্যদিকে জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে বড় ব্যবধানে এগিয়ে আছেন ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের প্রার্থী সালাহউদ্দিন আম্মার। তবে ছাত্রদল সমর্থিত 'ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম' প্যানেলের প্রার্থীরা হলগুলোতে খুব বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারেননি।
এখন পর্যন্ত অনানুষ্ঠানিকভাবে মেয়েদের ছয়টি এবং ছাত্রদের চারটিসহ মোট ১০টি হলে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।
এসব হলে ভিপি পদে ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ ৬ হাজার ৬১৫ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন। একই প্যানেলের এজিএস প্রার্থী এস এম সালমান ৩ হাজার ৫৯৩ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন। এদিকে জিএস পদে ১০টি হলের ফলাফলে বড় ব্যবধানে এগিয়ে আছেন ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের জিএস প্রার্থী সালাহউদ্দিন আম্মার। তিনি পেয়েছেন ৫ হাজার ৮০৭ ভোট।
এই তিন পদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দীন আবীর পেয়েছেন ১ হাজার ৭৬৫ ভোট, ছাত্রশিবির–সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী ফজলে মো. ফাহিম রেজা পেয়েছেন ৩ হাজার ২০৫ ভোট এবং এজিএস পদে নিকটতম ছাত্রদল–সমর্থিত প্যানেলের জাহিন বিশ্বাস এষা পেয়েছেন ২ হাজার ৮৭৭ ভোট।
আজ শুক্রবার ভোর পৌনে চারটার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ১০ম হল হিসেবে সৈয়দ আমীর আলী হলের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
সংশ্লিষ্ট হলগুলোর প্রাধ্যক্ষরা হল সংসদ নির্বাচনের ফলাফল এবং রাকসু ও সিনেট নির্বাচনের ফল ঘোষণা করছেন প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা।
এর আগে রাত সাড়ে ১০টায় মন্নুজান হলের মাধ্যমে ফল ঘোষণা শুরু হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে বেগম রোকেয়া, তাপসী রাবেয়া, বেগম খালেদা জিয়া ও রহমতুন্নেসা হলের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
এরপর ছাত্রদের চারটি হলের ফল ঘোষণা করা হয়। হলগুলো হলো শেরে বাংলা ফজলুল হক হল, শাহ মখদুম হল, নবাব আব্দুল লতিফ হল ও সৈয়দ আমীর আলী হল।
লতিফ হলে ভিপি–এজিএসে এগিয়ে শিবির, জিএসে আম্মার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের নবাব আব্দুল লতিফ হলের ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যান্য হলগুলোর মতো এই হলেও ভিপি (সহসভাপতি) ও এজিএস (সহসাধারণ সম্পাদক) পদে এগিয়ে আছে ছাত্রশিবির- সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল। জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে এগিয়ে আছেন ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের প্রার্থী সালাহউদ্দিন আম্মার।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, ছাত্রশিবির-সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ পেয়েছেন ৫১৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের প্রার্থী শেখ নূর উদ্দীন আবীর পেয়েছেন ১৩৭ ভোট।
জিএস পদে ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের জিএস প্রার্থী সালাহউদ্দিন আম্মার ভোট পেয়েছেন ৪৮৪ টি। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী ফজলে রাব্বি মো. ফাহিম রেজা পেয়েছেন ১৮৪ ভোট।
এজিএস পদে এগিয়ে আছেন ছাত্রশিবির–সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী এস এম সালমান। তিনি পেয়েছেন ২৭৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের প্রার্থী জাহিন বিশ্বাস এষা পেয়েছেন ২৪৯ ভোট।
শাখ মখদুম হলেও ভিপি–এজিএসে শিবির, জিএসে আম্মার এগিয়ে
শাখ মখদুম হলে ভিপি (সহসভাপতি) পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ সর্বোচ্চ ৭৩২ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত 'ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম' প্যানেলের প্রার্থী শেখ নূর উদ্দীন আবীর পেয়েছেন ১৭৩ ভোট।
জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের প্রার্থী সালাহউদ্দিন আম্মার পেয়েছেন ৬৭০ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শিবির–সমর্থিত প্যানেলের ফজলে মো. ফাহিম রেজা পেয়েছেন ২৯৭ ভোট।
এজিএস (সহসাধারণ সম্পাদক) পদে শিবির–সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী এস এম সালমান পেয়েছেন ৩৮৭ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল–সমর্থিত প্যানেলের জাহিন বিশ্বাস এষা পেয়েছেন ৩৬৮ ভোট।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে শাহ মখদুম হলের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। হল সংসদের ফলাফল ঘোষণা করেন অধ্যাপক সৈয়দ সারওয়ার জাহান। কেন্দ্রীয় সংসদের ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক সেতাউর রহমান।
শেরে বাংলা ফজলুল হক হলে ভিপি–এজিএস পদে এগিয়ে শিবির
শেরে বাংলা ফজলুল হক হলে ভিপি (সহসভাপতি) পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ সর্বোচ্চ ৪৮৯ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত 'ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম' প্যানেলের প্রার্থী শেখ নূর উদ্দীন আবীর পেয়েছেন ৯৭ ভোট।
জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের প্রার্থী সালাহউদ্দিন আম্মার পেয়েছেন ৪১৯ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শিবির সমর্থিত প্যানেলের ফজলে মো. ফাহিম রেজা পেয়েছেন ২৩৩ ভোট।
এজিএস (সহসাধারণ সম্পাদক) পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী এস এম সালমান পেয়েছেন ২৮২ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের জাহিন বিশ্বাস এষা পেয়েছেন ২১২ ভোট।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে শেরে বাংলা হলের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক সেতাউর রহমান।
মেয়েদের হলগুলোতে ভিপি-এজিএস পদে শিবির, জিএসে এগিয়ে আম্মার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে মেয়েদের ছয়টি হলে ভিপি (সহসভাপতি) ও এজিএস (সহসাধারণ সম্পাদক) পদে এগিয়ে আছেন ছাত্রশিবির- সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের প্রার্থীরা। জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে বিপুল ব্যবধানে এগিয়ে আছেন ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের প্রার্থী সালাহউদ্দিন আম্মার। ছাত্রদল–সমর্থিত 'ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম' প্যানেলের প্রার্থীরা ছাত্রী হলগুলোতে তেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারেননি।
এখন পর্যন্ত অনানুষ্ঠানিকভাবে মেয়েদের ছয়টি হলের সবগুলোর ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এসব হলে ভিপি পদে ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ ৪ হাজার ২৫৭ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন। একই প্যানেলের এজিএস প্রার্থী এস এম সালমান ২ হাজার ২৯৯ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন।
এদিকে জিএস পদে ছয়টি হলের ফলাফলে বড় ব্যবধানে এগিয়ে আছেন ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের জিএস প্রার্থী সালাহউদ্দিন আম্মার। তিনি পেয়েছেন ৩ হাজার ৬৮৬ ভোট।
এই তিন পদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল–সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দীন আবীর পেয়েছেন ১ হাজার ২০৬ ভোট, ছাত্রশিবির–সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী ফজলে মো. ফাহিম রেজা পেয়েছেন ২ হাজার ২৪৯ ভোট এবং এজিএস পদে নিকটতম ছাত্রদল–সমর্থিত প্যানেলের জাহিন বিশ্বাস এষা পেয়েছেন ১ হাজার ৭০৭ ভোট।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ষষ্ঠ হল হিসেবে জুলাই-৩৬ হলের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
এই হলের হল সংসদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন হলটির প্রাধ্যক্ষ লাবলী নাহার। পরে রাকসু ও সিনেট নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. নুরুল মোমেন। এ ছাড়া অন্য হলগুলোর কেন্দ্রীয় সংসদের ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক সেতাউর রহমান।
এর আগে রাত সাড়ে ১০টায় মন্নুজান হলের মাধ্যমে ফল ঘোষণা শুরু হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে বেগম রোকেয়া, তাপসী রাবেয়া, বেগম খালেদা জিয়া ও রহমতুন্নেসা হলের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
জুলাই-৩৬ হলের ফলাফলে ভিপি ও এজিএস পদে এগিয়ে শিবির, জিএসে এগিয়ে আম্মার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে জুলাই-৩৬ হলের ভোটের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেছে, ভিপি ও এজিএস পদে এগিয়ে আছেন শিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা। অন্যদিকে জিএস পদে এগিয়ে আছেন ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের প্রার্থী সালাহউদ্দিন আম্মার।
এই হলে ভিপি পদে ছাত্রশিবির- সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ পেয়েছেন ৯৪৫ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম প্যানেলের প্রার্থী শেখ নূর উদ্দীন আবীর পেয়েছেন ৩০০ ভোট।
জিএস পদে সালাহউদ্দিন আম্মার পেয়েছেন ৮৩৫ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শিবির সমর্থিত প্যানেলের ফজলে মো. ফাহিম রেজা পেয়েছেন ৫১০ ভোট।
অন্যদিকে এজিএস পদে এস এম সালমান ৫২৪ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন। নিকটতম ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের জাহিন বিশ্বাস এষা পেয়েছেন ৩৭৩ ভোট।
আজ বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ষষ্ঠ হল হিসেবে জুলাই-৩৬ হলের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
এই হলের হল সংসদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন হলটির প্রাধ্যক্ষ লাবলী নাহার। পরে রাকসু ও সিনেট নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মো. নুরুল মোমেন।
এর আগে রাত সাড়ে ১০টায় মন্নুজান হলের মাধ্যমে ফল ঘোষণা শুরু হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে বেগম রোকেয়া, তাপসী রাবেয়া, বেগম খালেদা জিয়া ও রহমতুন্নেসা হলের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
পাঁচ হলের ফল ঘোষণা: ভিপি ও এজিএস পদে এগিয়ে শিবির, জিএস পদে এগিয়ে আম্মার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের পাঁচটি হলের ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। পাঁচটি হলে ছাত্রশিবির- সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ ৩ হাজার ৩১২ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন। একই প্যানেলের এজিএস প্রার্থী এস এম সালমান ১ হাজার ৭৭১ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন।
এদিকে জিএস পদে পাঁচটি হলের ফলাফলে বড় ব্যবধানে এগিয়ে আছেন ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের জিএস প্রার্থী সালাহউদ্দিন আম্মার। তিনি পেয়েছেন ২ হাজার ৮৩১ ভোট।
এই তিন পদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম প্যানেলের ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দীন আবীর পেয়েছেন ৯০৬ ভোট, শিবির সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী ফজলে মো. ফাহিম রেজা পেয়েছেন ১ হাজার ৭৪১ ভোট এবং এজিএস পদে নিকটতম ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের জাহিন বিশ্বাস এষা পেয়েছেন ১ হাজার ৩৩৪ ভোট।
আজ রাত সোয়া ১টার দিকে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে পঞ্চম হল হিসেবে রহমতুন্নেছা হলের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এই হলের হল সংসদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন হলটির প্রাধ্যক্ষ ইসমত আরা বেগম। পরে রাকসু ও সিনেট নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক সেতাউর রহমান।
ঘোষিত পঞ্চম রহমতুন্নেছা হলের ফলাফল অনুযায়ী, রাকসুর ছাত্রশিবির- সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ পেয়েছেন ৬৩০ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দীন আবীর পেয়েছেন ১৮৬ ভোট।
এই কেন্দ্রে রাকসুর জিএস পদে ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের জিএস প্রার্থী সালাহউদ্দিন আম্মার ভোট পেয়েছেন ৫৮৯ টি। তাঁর কাছাকাছি প্রতিদ্বন্দ্বী শিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী ফাহিম রেজা পেয়েছেন ৩২০ ভোট।
এজিএস পদে এগিয়ে আছেন শিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী এস এম সালমান সাব্বির। তিনি পেয়েছেন ৩৪৯ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের প্রার্থী জাহিন বিশ্বাস এষা পেয়েছেন ২৮৯ ভোট।
এর আগে রাত সাড়ে ১০টায় মন্নুজান হলের মাধ্যমে ফল ঘোষণা শুরু হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে বেগম রোকেয়া, তাপসী রাবেয়া ও বেগম খালেদা জিয়া হলের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
ভোট গণনা ও ফল ঘোষণা ঘিরে উৎসবমুখর ক্যাম্পাস
![]() |
| শহীদ মিনারে উৎসবে মেতেছেন শিক্ষার্থীরা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ১৭ অক্টোবর। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
রাকসু নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে গণনার পাশাপাশি ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়েছে। রাত পৌনে একটা পর্যন্ত চারটি হলের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে ভিপি-এজিএস পদে এগিয়ে আছেন ছাত্রশিবিরের প্যানেলের প্রার্থীরা। 'আধিপত্যবিরোধী ঐক্য' প্যানেল থেকে জিএস পদের প্রার্থী এগিয়ে আছেন।
ভোটগণনার প্রক্রিয়া ও ফল ঘোষণা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে হলেও মিলনায়তনের বাইরে ও শহীদ মিনারে দুইটি বড় স্ক্রিনে তা সরাসরি দেখানো হচ্ছে। শহীদ মিনারের মাঠে স্ক্রিনের সামনে শত শত শিক্ষার্থী অবস্থান করছেন। সেখানে তাঁরা হৈ-হুল্লোড় করছেন। ছোট ছোট দলে বসে কেউ কেউ গানও ধরেছেন।
এখানে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি প্রার্থীরাও রয়েছেন। দুই শিক্ষার্থী মোসা. আমিনা ও নিশাত জাহানের সঙ্গে কথা হলো। তাঁরা বললেন, সবমিলে দারুণ অনুভূতি। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হয়েছে। ফলাফলও উৎসবমুখর পরিবেশে হচ্ছে।
খালেদা জিয়া হলের ফল ঘোষণা: ছাত্রশিবির-সমর্থিত ভিপি ও এজিএস প্রার্থী এগিয়ে
রাকসু নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়া হলের ফলাফলে ছাত্রশিবির- সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ পেয়েছেন ৪৮৫ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দীন আবীর পেয়েছেন ১৩৭ ভোট।
এই হলে জিএস পদে ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের জিএস প্রার্থী সালাহউদ্দিন আম্মার ভোট পেয়েছেন ৩৫২ টি। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী শিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী ফাহিম রেজা পেয়েছেন ২৯৫ ভোট।
এজিএস পদে এগিয়ে আছেন শিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী এস এম সালমান সাব্বির। তিনি পেয়েছেন ২৭৮ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের প্রার্থী জাহিন বিশ্বাস এষা পেয়েছেন ১৭১ ভোট।
আজ রাত সাড়ে ১২টার পরে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে এই ফল ঘোষণা করেন প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক সেতাউর রহমান।
এর আগে মন্নুজান, বেগম রোকেয়া ও তাপসী রাবেয়া হলের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এই হলগুলোতেও ভিপি ও এজিএস-এ ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী এগিয়ে এবং জিএস পদে ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের প্রার্থী এগিয়ে আছেন।
মন্নুজান ও রোকেয়া হলের পর তাপসী রাবেয়া হলেও ভিপি ও এজিএস পদে এগিয়ে শিবির, জিএসে আম্মার
![]() |
| রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্ত্বরে মেগাস্ক্রিনে ভোট গণনা ও ফল ঘোষণা দেখছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
রাকসু নির্বাচনের তাপসী রাবেয়া হলের ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এই হলেও ভিপি ও এজিএস পদে ছাত্রশিবির- সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের প্রার্থীরা এগিয়ে আছেন। জিএস পদে এগিয়ে আছেন ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের প্রার্থী সালাহউদ্দিন আম্মার।
এর আগে মন্নুজান ও রোকেয়া হলের ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত ঘোষিত তিন হলেই ছাত্রশিবির–সমর্থিত প্যানেলের ভিপি ও এজিএস প্রার্থী এগিয়ে আছেন।
আজ রাত সোয়া ১২টার দিকে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে এ ফলাফল ঘোষণা করে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক সেতাউর রহমান।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ পেয়েছেন ৪৭৩ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দীন আবীর পেয়েছেন ১৩৬ ভোট।
জিএস পদে ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের জিএস প্রার্থী সালাহউদ্দিন আম্মার ৪০৮ ভোট পেয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী শিবির–সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী ফজলে রাব্বি মো. ফাহিম রেজা পেয়েছেন ২৫৪ ভোট।
এজিএস পদে এগিয়ে আছেন ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী এস এম সালমান সাব্বির। তিনি পেয়েছেন ২৪৫ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থী জাহিন বিশ্বাস এষা পেয়েছেন ১৯৭ ভোট।
রোকেয়া হলেও ভিপি ও এজিএস পদে এগিয়ে শিবির, জিএসে আম্মার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের রোকেয়া হলের ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে ভিপি ও এজিএস পদে এগিয়ে আছে ছাত্রশিবির-সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল। জিএস পদে এগিয়ে আছেন ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের সালাহউদ্দিন আম্মার।
বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ পেয়েছেন ৭৫২ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দীন আবীর পেয়েছেন ২১১ ভোট।
এই কেন্দ্রে রাকসুর জিএস পদে সালাহউদ্দিন আম্মার ভোট পেয়েছেন ৬৬১টি। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী ফজলে রাব্বি মো. ফাহিম রেজা পেয়েছেন ৩৭৭ ভোট।
এজিএস পদে শিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী এস এম সালমান সাব্বির পেয়েছেন ৩৪৬ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী জাহিন বিশ্বাস এষা পেয়েছেন ২৯৯ ভোট।
মন্নুজান হলে ভিপি পদে এগিয়ে শিবির
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের মন্নুজান হলের ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে ভিপি ও এজিএস পদে এগিয়ে আছে ছাত্রশিবির- সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’প্যানেল। জিএস পদে এগিয়ে আছেন ‘আধিপত্য বিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের জিএস প্রার্থী সালাহউদ্দিন আম্মার।
আজ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, রাকসুর ছাত্রশিবির- সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ পেয়েছেন ৯৭২ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দীন আবীর পেয়েছেন ২৩৬ ভোট।
এই কেন্দ্রে রাকসুর জিএস পদে ‘আধিপত্য বিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের জিএস প্রার্থী সালাহউদ্দিন আম্মার ভোট পেয়েছেন ৮৪১টি। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী ফাহিম রেজা পেয়েছেন ৪৯৫ ভোট।
এজিএস পদে এগিয়ে আছেন শিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী এস এম সালমান সাব্বির। তিনি পেয়েছেন ৫৫৩ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের প্রার্থী জাহিন বিশ্বাস এষা পেয়েছেন ৩৭৮ ভোট।
ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার সাড়ে ৪ ঘণ্টা পর গণনা শুরু
![]() |
| কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে রাকসু নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু হয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ১৬ অক্টোবর। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ, হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে এ কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমে গণনা করা হচ্ছে মন্নুজান হলের ব্যালট। এর আগে পৌনে ৮টার দিকে হলটির পোলিং কর্মকর্তা ও এজেন্টদের সামনে ব্যালট বাক্স খোলা হয়।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা কামাল আকন্দ বলেন, তাঁরা আনুষ্ঠানিকভাবে রাকসুর ভোট গণনা শুরু করেছেন। প্রথমে তাঁরা মন্নুজান হলের ভোট গণনা করবেন। ধারাবাহিকভাবে একটি হলের পরে আরেকটি হলের ভোট গণনা করা হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মিলনায়তনের মঞ্চে ছয়টি ব্যালটের জন্য আলাদা আলাদা ছয়টি ওএমআর মেশিন বসানো হয়েছে। মঞ্চের সামনে সাজানো হয়েছে বিভিন্ন হলের ভোট বাক্স। এক একটি হলের ব্যালট বাক্স খোলা হচ্ছে সংশ্লিষ্ট হলের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, রিটার্নিং কর্মকর্তা, পোলিং কর্মকর্তা ও এজেন্টদের সামনে। এই পুরো প্রক্রিয়াটি মিলনায়তনে সামনে বড় পর্দায় দেখানো হচ্ছে। সেখানে দাঁড়িয়ে এই পুরো কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া মিলনায়তনের আসনে বসে পর্যবেক্ষণ করছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, অনুমতিপ্রাপ্ত ব্যাক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকর্মীরা।
এর আগে সকাল ৯টায় ভোট শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল ৪টায়। পরে সব ভোটকেন্দ্রের ব্যালট বাক্স কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে আনা হয়। নয়টি ভবনের ১৭টি কেন্দ্রে ৯৯০টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
রাকসু নির্বাচনে ভোট পড়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ; ছাত্রী হলে ৬৩ শতাংশ, ছাত্র হলে ৭৯ শতাংশ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ভোট পড়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার এফ নজরুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সন্ধ্যা ৭টার দিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মুঠোফোনে বলেন, রাকসু নির্বাচনে মোট ৬৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। এখন ভোট গণনা চলছে।
নির্বাচন উৎসবমুখর হয়েছে উল্লেখ করে রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষকেরা তাদের জানিয়েছেন, এত স্বচ্ছ নির্বাচন তাঁরা আগে কখনো দেখেননি।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রদের ১১টি হলে গড়ে ভোট পড়েছে ৭৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এর মধ্যে শেরে বাংলা ফজলুল হক হলে ভোট পড়েছে ৭৩ দশমিক ৯২ শতাংশ, শাহমখদুম হলে ৭৭ দশমিক ৭১ শতাংশ, নবাব আবদুল লতিফ হলে ৬৯ দশমিক ১৮ শতাংশ, সৈয়দ আমীর আলী হলে ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ, শহীদ শামসুজ্জোহা হলে ৭৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ, শহীদ হবিবুর রহমান হলে ৭১ দশমিক ৫৫ শতাংশ, মতিহার হলে ৭৩ দশমিক ২২ শতাংশ, মাদার বখ্শ হলে ৭১ দশমিক ২৫ শতাংশ, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে ৭৭ দশমিক ৬০ শতাংশ, শহীদ জিয়াউর রহমান হলে ৭১ দশমিক ৬৮ শতাংশ, বিজয় ২৪ হলে ৭৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ,
ছাত্রীদের ছয়টি হলে গড়ে ভোট পড়েছে ৬৩ দশমিক ২৪ শতাংশ৷ এর মধ্যে মন্নুজান হলে ৬৭ দশমিক ১১ শতাংশ,
রোকেয়া হলে ৫৯ দশমিক ৬০ শতাংশ, তাপসী রাবেয়া হলে ৬৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ, বেগম খালেদা জিয়া হলে ৬১ দশমিক ৪৯ শতাংশ, রহমতুন্নেসা হলে ৬০ দশমিক ৭০ শতাংশ, জুলাই ৩৬ হলে ৬৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
ভোটগ্রহণে কোনো অসংগতি চোখে পড়েনি, তবে ব্যবস্থাপনায় কিছু ত্রুটি ছিল: রাকসু নির্বাচন পর্যবেক্ষণ কমিটি
![]() |
| ব্রিফিংয়ে রাকসু নির্বাচন পর্যবেক্ষণ কমিটির সভাপতি ও অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এম রফিকুল ইসলাম। প্রশাসন ভবন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ৯ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছিলেন উপাচার্য সালেহ্ হাসান নকীব। নির্বাচন শেষে সন্ধ্যায় এক ব্রিফিংয়ে এই কমিটিতে থাকা শিক্ষকেরা বলেছেন, ভোটগ্রহণে কোনো অসংগতি চোখে পড়েনি। তবে ব্যবস্থাপনায় কিছু ত্রুটি ছিল৷
ভোটগ্রহণ শেষে আজ সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনে ব্রিফিংয়ে রাকসু নির্বাচন পর্যবেক্ষণ কমিটির সভাপতি ও অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এম রফিকুল ইসলাম এই মন্তব্য করেন। এ সময় এই কমিটির সদস্য সাবেক অধ্যাপক মো. শফিকুল আলম ও সৈয়দ জাবিদ হোসেন তাঁর পাশে ছিলেন। এই কমিটির মোট ৯ জন সদস্য আজ দিনভর রাকসু নির্বাচনের কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেন৷
ব্রিফিংয়ে অধ্যাপক এম রফিকুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তা, প্রার্থীদের এজেন্ট এবং ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেছি, ভোটগ্রহণ সম্পর্কে জানতে চেয়েছি। এ সম্পর্কিত একটা লিখিত প্রতিবেদন রেজিস্ট্রার বরাবর পাঠানো হয়েছে। সার্বিকভাবে বলা যায়, নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে।
নির্বাচন স্বতঃস্ফূর্ত ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে, তবে বেশ কিছু অভিযোগও ছিল : গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পর্ষদ
![]() |
| রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটের আমতলা চত্বরে সংবাদ সম্মেলন করে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর প্যানেল 'গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পর্ষদ'। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের কারণে রাকসু নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হলেও কিছু অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর প্যানেল 'গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পর্ষদ'।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটের আমতলা চত্বরে সংবাদ সম্মেলন করে পর্ষদের প্রার্থীরা এই অভিযোগ জানান।
পর্ষদের ভিপি পদপ্রার্থী ফুয়াদ রাতুল বলেন, গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পর্ষদের প্রতিনিধিরা সকাল থেকে ভোট কেন্দ্রগুলো পর্যবেক্ষণ করেছে। তাতে দেখা গেছে, রাকসু নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল। সেই জায়গা থেকে এই নির্বাচনকে অনেকটাই অংশগ্রহণমূলক বলা যায়।
তবে সারা দিনের পর্যবেক্ষণে কিছু অনিয়ম পাওয়া গেছে বলে জানান রাতুল। তিনি বলেন, রাকসু নির্বাচনের শুরু থেকেই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) ছিল না। কিছু প্যানেল শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপহার বিতরণ করছে, ভূরিভোজের আয়োজন করছে। কিন্তু এসব কাজের বিরুদ্ধে প্রশাসন তেমন কোনো উদ্যোগ নিতে পারেনি।
ফুয়াদ রাতুল বলেন, সকালে ছাত্রশিবিরের প্যানেল তাদের সর্বশেষ প্রচারপত্র বা টোকেন অবাধে বিলি করেছে। কিন্তু নির্বাচনের আচরণবিধি মেনে গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পর্ষদের প্রার্থীরা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নিজেদের টোকেন বিলি করতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয়েছে। শিবিরের মতো সব প্যানেলকে প্রচারণার সমান সুযোগ দেওয়া হয়নি। তবে ছাত্রদলের প্যানেল যথেষ্ট প্রচার-প্রচারণা করার সুযোগ পেয়েছে।
প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ভোট গণনায় যাতে কোনো বাধা-বিঘ্ন না ঘটে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে যেমন ভোট গণনা সম্পন্ন হয়। শিক্ষার্থীরাও যাতে কারচুপির বিরুদ্ধে সতর্ক থাকে।
রাকসু নির্বাচন ঘিরে নানা অভিযোগ করলেন ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী
| রাকসু নির্বাচন নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রদল। পরিবহন মার্কেট, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ১৬ অক্টোবর। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন ঘিরে নানা অভিযোগ করেছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের ভিপি (সহসভাপতি) ও সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী। তাঁদের অভিযোগ, নির্বাচন ঘিরে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির অস্ত্র মজুত করেছিল। ছাত্রশিবির সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের ভোট না দিতে হুমকি দিয়েছে৷ এ ছাড়া একটি কেন্দ্রে এক ঘণ্টা ভোট বন্ধ থাকার কথা উল্লেখ করে জাল ভোটের আশঙ্কাও জানিয়েছেন ছাত্রদলের প্রার্থীরা৷
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে ক্যাম্পাসের পরিবহন মার্কেটের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের প্রার্থীরা এসব অভিযোগ করেন৷
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দিন আবির বলেন, সকালে নির্বাচনের প্রথম দিকে সুষ্ঠু পরিবেশ ছিল৷ আমরা সেটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছি৷ কিন্তু পরক্ষণেই আমাদের ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের আনাগোনা বাড়তে থাকে৷ বিশেষ করে অভিযোগ এসেছে, স্টেশন বাজার, বিনোদপুর ফটক, চারুকলা ফটক এবং কাজলা ফটক দিয়ে লাল জার্সি পরা ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ লেখা অগণিত বহিরাগত লোক প্রবেশ করছে৷ বহিরাগতদের এভাবে তাদের প্যানেলের টি-শার্ট পরিয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার পাঁয়তারা চলছে৷
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ঘটকের বিপরীতে যে বেতারের মাঠ রয়েছে, সেখানে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী ও তাদের ক্যাডার বাহিনী অস্ত্র মজুদ রেখেছে উল্লেখ করে সাংবাদিকদের এর সত্যতা যাচাইয়ের আহ্বান জানান ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী৷
শহীদ জিয়াউর রহমান হল: ব্যালট পেপারে আগে থেকেই পোলিং অফিসারের স্বাক্ষর, বন্ধ ছিল ভোটগ্রহণ
শহীদ জিয়াউর রহমান হলের ভোট কেন্দ্রে কিছু ব্যালট পেপারে আগে থেকেই স্বাক্ষর করাকে কেন্দ্র করে প্রায় এক ঘন্টা ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল। যার কারণে নির্ধারিত সময়ের পরেও এই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জিয়া হল ভোট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মাহবুবার রহমান ভোট বন্ধ থাকার তথ্য নিশ্চিত করেন।
অধ্যাপক মাহবুবার রহমান মুঠোফোনে বলেন, বেলা দুইটার দিকে ২০-২৫ মিনিট ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল। এক ঘন্টা বন্ধ ছিল না। যার কারণে আমরা নির্ধারিত সময়ের পরেও ২০ মিনিট ভোট নিয়েছি।
কেন বন্ধ ছিল জানতে চাইলে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বলেন, ‘দ্রুত ব্যালট দেওয়ার সুবিধার্থে আমাদের একজন পোলিং অফিসার কিছু ব্যালটে আগেই স্বাক্ষর করে রেখেছিলেন। তবে সেটি নিয়ে একজন প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট আপত্তি জানায়। এ নিয়ে কিছু সময় ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল। যার কারণে আমরা ৪টার পরেও কিছু সময় ভোট গ্রহণ করেছি।’
এদিকে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী শেখ নুর উদ্দিন আবির এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, জিয়াউর রহমান হল কেন্দ্রে এক শ ব্যালট পেপারে আগে থেকেই একজন পোলিং অফিসার স্বাক্ষর করে রেখেছিলেন। যার কারণে প্রায় এক ঘণ্টার মতো ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল৷ আমরা অভিযোগ পেয়েছি, এই এক ঘন্টার মধ্যে তারা জাল ভোট করেছে৷ জাল ভোট হয়নি, এটা তারা প্রমাণ করতে পারেনি৷
রাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ, এখন ফলাফলের অপেক্ষা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ, হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় শুরু হওয়া এ ভোট বিকেল চারটায় আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়। এখন ভোট গণনা ও ফলাফলের অপেক্ষা।
দিনভর নির্বাচন ঘিরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছিল উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনা। তবে অমোচনীয় কালি ওঠে যাওয়া, ছাত্রদলের বিরুদ্ধে জামায়াত-শিবিরের নামে গুজব ছড়ানো, অন্যদিকে ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে কয়েকটি কেন্দ্রে ভোট বন্ধ রেখে কারচুপি ও ক্যাম্পাসে বহিরাগত ঢুকিয়ে প্রভাব বিস্তারসহ ভোটগ্রহণ নিয়ে কিছু অভিযোগ ছিল প্রার্থীদের।
এবারের নির্বাচন নয়টি ভবনের ১৭টি ভোটকেন্দ্রে ৯৯০টি বুথে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল চারটার পর আর কাউকে কেন্দ্রের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কেন্দ্রগুলোর ফটকে তালা দিয়ে দেওয়া হয়। তবে কেন্দ্রের ভেতরে যাঁরা লাইনে ছিলেন, তাঁদেরকে চারটার পরও ভোট দিতে দেখা গেছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ভোটগ্রহণ শেষে সব ব্যালট বাক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে নেওয়া হবে। সেখানে ভোট গণনা ও ফলাফল প্রকাশ করা হবে। সব প্রক্রিয়া মিলনায়তনের সামনে বড় পর্দায় দেখানো হবে।
৫ ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ: প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা
![]() |
| বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটকেন্দ্রে বেড়েছে ভোটারদের উপস্থিতি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বেগম খালেদা জিয়া হলে। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ, হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচন শুরুর সোয়া ৫ ঘণ্টায় গড়ে ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক সেতাউর রহমান। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে মুঠোফোনে তিনি এ তথ্য জানান।
অধ্যাপক সেতাউর রহমান বলেন, ‘দুপুর সোয়া ২টা পর্যন্ত বিভিন্ন হলগুলোতে গড়ে প্রায় ৫৫, ৬০, ৬২ এর রকম ভোট পড়েছে। সেই হিসেবে গড়ে প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে। এর মধ্যে কিছু কিছু হলে ভালো ভোট পড়েছে। যেমন সোহরাওয়ার্দী হলে পৌনে ২টার আগে ৫৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। সবকিছু সুন্দরভাবেই হচ্ছে।’
সকাল ৯টায় শুরু হওয়া ভোট বেলা সোয়া ১১টা পর্যন্ত গড়ে মোট ২৫ শতাংশ ভোট পড়েছিল।
রাকসুর ২৩টি পদে ২৪৭ জন, ১৭টি হলে ১৫টি করে পদে ৫৯৭ জন এবং সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ৫টি পদে ৫৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একজন ভোটার ৪৩টি পদে ভোট দিতে পারবেন। সময় পাবেন ১০ মিনিট।
রাকসুতে ভিপি পদে ১৮ জন, জিএস পদে ১৩ জন ও এজিএস (সহসাধারণ সম্পাদক) পদে ১৬ জন প্রার্থী লড়াই করছেন। নির্বাচনে মোট ভোটারসংখ্যা ২৮ হাজার ৯০১। এর মধ্যে ছাত্রী ভোটার ১১ হাজার ৩০৫ ও ছাত্র ভোটার ১৭ হাজার ৫৯৬ জন।
ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে অনলাইনে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ শিবিরের জিএস প্রার্থীর
![]() |
| রাকসুতে বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির-সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের সংবাদ সম্মেলন। বৃহস্পতিবার দুপুরে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
রাকসুতে ছাত্রশিবির-সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের’ সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী ফজলে রাব্বি মো. ফাহিম রেজা ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। ছাত্রদলের এই নেতার বিরুদ্ধে তিনি অনলাইনে জামায়াত-শিবিরের নামে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ করেছেন।
ফাহিম রেজা বলেন, ‘ক্যাম্পাসে ছাত্রদল, যুবদল আর বিএনপির বহিরাগতরা প্রবেশ করছে। অথচ জামায়াত-শিবির নাকি অস্ত্রের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে—ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (আমানউল্লাহ আমান) অনলাইনে এমন গুজব ছড়াচ্ছেন।’
আজ বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে ফাহিম রেজা এসব অভিযোগ করেন।
এর আগে রাকসুতে একটি কেন্দ্রের বুথের ভেতর ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেলের লিফলেট পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন ‘সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী তাসিন খান। সাংবাদিকদের কাছে তিনি এই অভিযোগ করেন।
এ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শিবিরের এই জিএস প্রার্থী বলেন, ‘বুথের ভেতর লিফলেট সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের কেউ রেখে আসেনি। এটি ভোটাররা রেখে আসতে পারে। তবে সেটি দেখার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। কেন্দ্রের ভেতরে থাকা কর্মকর্তাদেরও।’
সংবাদ সম্মেলনে শিবির-সমর্থিত প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ, সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থী সালমান সাব্বিরসহ অন্য প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
ফাহিম রেজা আরও অভিযোগ করেন, ‘ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নন। তিনি বলেছেন, জামায়াত নাকি অস্ত্রের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে, ক্যাম্পাসে ছাত্রশিবির বহিরাগতদের প্রবেশ করাচ্ছে। এ রকম অপপ্রচার ছাত্রদল চালাচ্ছে।’
রাকসুর নির্বাচন কমিশন ‘পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে’ অভিযোগ জানিয়ে ফাহিম রেজা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক গেটগুলোয় প্রবেশের ক্ষেত্রে শিথিলতা দেখানো হচ্ছে। প্রশাসন এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করছে। আমরা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছি। কিন্তু আমলে নেওয়া হচ্ছে না।
অমোচনীয় কালির ব্যবহার প্রসঙ্গে ফাহিম রেজা বলেন, ‘ভোটে অমোচনীয় কালি ব্যবহার করার কথা থাকলেও সেটি হয়নি। ভোট দিয়ে বের হয়ে এসেই কালি মুছে যাচ্ছে।’
ফাহিম রেজা বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেটের ওপর আস্থা রাখি। আমরা বিশ্বাস করি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে সৎ, যোগ্য ও দক্ষ ব্যক্তির হাতে দায়িত্ব তুলে দেবেন। আমরা নির্বাচনে থাকব, তবে কোনো অনিয়ম মেনে নেব না।’
বুথের ভেতর শিবিরের প্যানেলের লিফলেট পাওয়ার অভিযোগ ভিপি প্রার্থী তাসিনের
![]() |
| সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী তাসিন খান। আজ বৃহস্পতিবার রবীন্দ্র ভবনের সামনে। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
রাকসুতে একটি কেন্দ্রের বুথের ভেতর ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেলের লিফলেট পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন ‘সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী তাসিন খান। এ কারণে নির্বাচনে কারচুপির আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র ভবনের সামনে তাসিন খান এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি সৈয়দ ইসমাঈল হোসেন সিরাজী ভবনে ভোট দেন। এই কেন্দ্রে রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিচ্ছেন।
অভিযোগ জানিয়ে তাসিন খান বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রের বুথের ভেতর শিবির-সমর্থিত প্যানেলের লিফলেট পাওয়া গেছে। এটা অনাকাঙ্ক্ষিত। যারা ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে আছেন, তারাই এ বিষয়ে সহযোগিতা করছেন বলে ধরে নেওয়া যায়। কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার পরপর অমোচনীয় কালিও উঠে যাচ্ছে। ফলে যে কেউ কয়েকবার ভোট দিয়ে আসতে পারেন। সে জায়গা থেকে ভোট কারচুপির আশঙ্কা করা যায়।’
ভোটাররা যেখানে ব্যাগ নিয়ে যেতে পারছে না সেখানে কীভাবে বুথে লিফলেট পাওয়া যায় সে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
নির্বাচন কমিশন শুরু থেকেই ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ (সবার জন্য সমান সুযোগ) দিতে পারেনি বলে অভিযোগ করেন তাসিন খান। তিনি বলেন, ‘অজস্রবার আচরণবিধি লঙ্ঘন হলেও নির্বাচন কমিশন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। সকালে কোনো কোনো কেন্দ্রে প্রচারপত্র সরবরাহ করতেও দেখা গেছে।’
প্রথম দুই ঘণ্টায় ২৫ শতাংশ ভোট পড়েছে: প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা
![]() |
| বেগম খালেদা জিয়া হল প্রাঙ্গণে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী, ১৬ অক্টোবর। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
রাকসুতে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। বেলা সোয়া ১১টা পর্যন্ত ২৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক সেতাউর রহমান। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে মুঠোফোনে তিনি এ তথ্য জানান।
সেতাউর রহমান বলেন, ‘উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলছে। শিক্ষার্থীরা ভোট নিয়ে অত্যন্ত প্রফুল্ল। সব কেন্দ্র মিলিয়ে বেলা সোয়া ১১টা পর্যন্ত গড়ে ২৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।’
ভোটারদের আঙুলে দেওয়া অমোচনীয় কালি উঠে যাওয়ার বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন ভোটার ও প্রার্থী। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সেতাউর রহমান বলেন, ‘আমাদের চার স্তরের নিরাপত্তা আছে। কালি উঠে গেলেও দ্বিতীয়বার ভোট দেওয়ার সুযোগ নেই। কারণ পরবর্তী স্তরগুলোয় ছবি, ভোটার তালিকায় নাম ও সবশেষে সই নিয়ে তাঁকে (ভোটার) বুথে পাঠানো হচ্ছে।’
অমোচনীয় কালি মুছে যাচ্ছে, প্রশাসনের পদক্ষেপ নিতে হবে: শিবিরের জিএস প্রার্থী
![]() |
| ভোট দিতে সারিতে দাঁড়িয়ে আছেন ছাত্রশিবিরের জিএস প্রার্থী ফজলে রাব্বি মো. ফাহিম রেজা ( সাদা পাঞ্জাবি পরা)। আজ বৃহস্পতিবার ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ একাডেমিক ভবন ভোটকেন্দ্রে। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
রাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেল ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’-এর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী ফজলে রাব্বি মো. ফাহিম রেজা বলেছেন, ভোটে অমোচনীয় কালির কথাটি বারবার আসছে, এটা আসলে একটু পরেই মুছে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ একাডেমিক ভবন ভোটকেন্দ্রে ভোট দিয়ে ফজলে রাব্বি মো. ফাহিম রেজা সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
নির্বাচনের সার্বিক পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে ফাহিম রেজা বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা ফেস্টিভ মুডে, সুন্দর উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে ভোট দিচ্ছেন। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও তাঁরা ক্লান্ত বোধ করছে নান। সব মিলিয়ে একটা উৎসবমুখর পরিবেশ আমরা দেখছি।’
এই উৎসবমুখর পরিবেশ বজায় থাকবে এবং শিক্ষার্থীরা কোনো ধরনের অসুবিধা ছাড়াই তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে সৎ, দক্ষ ও যোগ্য নেতৃত্বকে বেছে নিতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন ফাহিম রেজা।
ছাত্রীরা লাইনে, ব্যাগ ঝুলছে গাছে
![]() |
| গাছে ব্যাগ ঝুলিয়ে রেখে ভোট দিচ্ছেন নারীরা। বেগম খালেদা জিয়া হল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ১৬ অক্টোবর। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে আজ বৃহস্পতিবার সকাল নয়টা থেকে। ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে ছাত্রীদের উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে।
বেগম খালেদা জিয়া হল কেন্দ্রের ভোট দিতে আসা ছাত্রীরা লাইনে দাঁড়ান। এ সময় পাশের গাছে তাঁরা ব্যাগ ঝুলিয়ে রাখেন। এভাবে গাছে গাছে ব্যাগ ঝুলতে দেখা গেছে।
শিবিরের বিরুদ্ধে ‘অস্ত্র বিলির’ অভিযোগ ছাত্রদলের, পুলিশ বলছে ‘গুজব’
![]() |
| বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী ভিডিও শেয়ার করেছেন তাঁর স্ক্রিনশট |
রাকসু নির্বাচনের দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রবেশ ফটকের কাছে ‘জামায়াত–শিবিরের লোকজন’ নিজেদের মধ্যে ‘অস্ত্র বিলি’ করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী।
বেলা সাড়ে ১১টায় ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, 'রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটের বিপরীতে প্রকাশ্যে নিজেদের মধ্যে অস্ত্র বিলি করছে জামায়াত–শিবিরের লোকজন।'
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাহী বলেন, 'ভোটগ্রহণের পর এ বিষয়ে মন্তব্য করব।'
তবে শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদ ফয়সাল বলেন, নির্বাচনের ‘সুষ্ঠু পরিবেশ’ নষ্ট করার জন্য এমন গুজব ছড়ানো হচ্ছে। তিনি বলেন, 'ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী যে ভিডিওটি পোস্ট করেছেন, সেখানে স্পষ্ট কাউকেই দেখা যাচ্ছে না। কে বা কারা রয়েছেন এবং কী করছেন তাও বোঝা যাচ্ছে না। মূলত গুজব ছড়ানোর অপচেষ্টা হচ্ছে।'
ফয়সাল অভিযোগ করেন, 'ছাত্রদল পরিকল্পিতভাবে ভয়ভীতি সৃষ্টি করে ভোটার উপস্থিতি কমানোর চেষ্টা করছে।'
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আরএমপির উপ কমিশনার গাজিউর রহমান বলেন, 'আমাদের নজরে একটি ভিডিও এসেছে, যা ফেসবুকে ছড়ানো হয়েছে। থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ওই এলাকায় গিয়েছে। ভিডিও পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে দেখা গেছে এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট এবং একটি গুজব হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।'
ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আভাস পেলে দেশের সামনে তুলে ধরব: ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী
![]() |
| সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ছাত্রদল-সমর্থিত ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দিন আবির। আজ সকালে, জগদীশ চন্দ্র বসু প্রশাসনিক ভবনের সামনে। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
রাকসুতে ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী শেখ নূর উদ্দিন আবির বলেন, ‘নির্বাচনের সার্বিক পরিবেশ এখন পর্যন্ত ভালো আছে। তবে ভোটারের আঙুলে দেওয়া অমোচনীয় কালি উঠে যাচ্ছে।’
আজ বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের একটি কেন্দ্রে ভোট দেন শেখ নূর উদ্দিন আবির। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তিনি এ কথা বলেন।
আবির আরও বলেন, ‘একটি অসংগতি আমাদের চোখে পড়েছে। আঙুলে অমোচনীয় কালির যে কথা বলা হয়েছিল, তা এখনই প্রায় উঠে গিয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলব। তবে আমরা যদি কোনো কারচুপির সন্ধান পাই বা কোনো ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আভাস পাই; অবশ্যই সেটি আপনাদের মাধ্যমে সারা দেশের সামনে তুলে ধরব।’
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফলাফল যাই আসুক সেটি মেনে নেওয়ার কথাও জানান ছাত্রদল-সমর্থিত এই ভিপি প্রার্থী। তিনি বলেন, ‘ভোট গণনা প্রক্রিয়া পর্যন্ত যদি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, ফলাফল যাই আসুক, আমরা মেনে নিব। তবে আমরা জয়ী হব, সেটা নিয়ে আশাবাদী। পর্যালোচনা করলেই জানতে পারবেন যে, আসলে আমাদের প্যানেলটা কতটা যোগ্য।’
কোনো অভিযোগ ছাড়া যেন নির্বাচন শেষ হয়: জিএস প্রার্থী আম্মার
![]() |
| রাকসুতে ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী সালাউদ্দিন আম্মার। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
রাকসুতে ভোট গ্রহণের দিনের সকালের পরিস্থিতি নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ‘আধিপত্য বিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী সালাউদ্দিন আম্মার। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত সার্বিক পরিবেশ খুবই ভালো মনে হচ্ছে। কোনো সমস্যার কথা শোনা যায়নি।’
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র ভবনের সামনে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘৩৫ বছর পর হওয়া রাকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া মানে ইতিহাসের সাক্ষী হওয়া। স্বচ্ছতা অনুসরণ করে সবকিছু করা হোক, সেটিই আশা থাকবে। কোনো অভিযোগ যাতে না থাকে। ডাকসু, জাকসু, চাকসু হয়ে গেছে। সেখানকার ঘাটতিগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে যেন এখানে কোনো অভিযোগ ছাড়াই নির্বাচন সম্পন্ন হয়।’
অমোচনীয় কালি না দেওয়ায় জাল ভোটের আশঙ্কা বামপন্থী ভিপি প্রার্থীর
![]() |
| রাকসুতে বামপন্থী প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী ফুয়াদুল ইসলাম ভূঁইয়া। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
রাকসুতে বামপন্থী প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী ফুয়াদুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেছেন, ভোটারদের চিহ্নিত করতে যে কালি ব্যবহার করা হচ্ছে, তা অমোচনীয় কালি নয়। এই সুযোগকে ব্যবহার করে জাল ভোট দেওয়ার প্রচেষ্টা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সত্যেন্দ্রনাথ বসু ভবনের মতিহার হল ভোট কেন্দ্রে ভোট দিয়ে ফুয়াদুল ইসলাম এ কথা বলেন।
ফুয়াদুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘এখন পর্যন্ত উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটগ্রহণ দেখতে পেয়েছি। দীর্ঘ সময় সময় লাইনে দাঁড়িয়ে শিক্ষার্থীরা ভোট দিচ্ছেন। একটা অংশগ্রহণমূলক পরিবেশ আমরা দেখতে পাচ্ছি। তবে ভোটারদের চিহ্নিত করতে যে কালি ব্যবহার করা হচ্ছে, সেই কালি অমোচনীয় নয়। আমরা আশঙ্কা করছি, এই সুযোগকে ব্যবহার করে জাল ভোট দেওয়ার প্রচেষ্টা হতে পারে।’
ফুয়াদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘দীর্ঘ ৩৫ বছর পর রাকসু হচ্ছে। প্রশাসনের দায়িত্ব ছিল নির্বাচনকে এতটা সুষ্ঠু করা, যেন কেউ প্রশ্ন করার সুযোগ না পায়। কিন্তু সেই কাজটি প্রশাসন ঠিক করে পালন করতে পারেনি।’
দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে: শিবিরের এজিএস প্রার্থী
![]() |
| সালমান সাব্বির। ফাইল ছবি |
রাকসু নির্বাচনে দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ভোট সুষ্ঠু হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেল ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’-এর সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থী সালমান সাব্বির।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সত্যেন্দ্রনাথ বসু বিজ্ঞান ভবনে শেরে বাংলা ফজলুল হক হলের ভোটকেন্দ্রে ভোট দিয়ে সালমান সাব্বির সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এই কেন্দ্রে ৯৯৩ জন শিক্ষার্থী ভোটার।
সালমান সাব্বির বলেন, সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁদের ভোট দিচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ আছে। এখন পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ ভালো।
ভোটারদের আঙুলে দেওয়া কালি মুছে যাচ্ছে উল্লেখ করে সালমান সাব্বির বলেন, ‘আমরা বরাবরই অমোচনীয় কালি ব্যবহারের কথা বলেছিলাম। আশা করছি নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন। দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সবমিলিয়ে ভোট এখন পর্যন্ত ভালো হচ্ছে। আমরা জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।’
ঘষাঘষি না করে শুকানোর সময় দেন, কালি উঠবে না: উপাচার্য
![]() |
| রাকসুর নির্বাচন পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সালেহ্ হাসান নকীব। আজ বৃহস্পতিবার জুবেরী ভবন কেন্দ্রে। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ভোটারদের আঙুলে দেওয়া অমোচনীয় কালি উঠে যাচ্ছে এমন অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সালেহ্ হাসান নকীব বলেছেন, 'আমি বলব, আপনি যদি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কালি লাগানো মাত্র ঘষাঘষি না করেন, একটু শোকানোর সময় দেন, কালি উঠবে না, ইনশাআল্লাহ।'
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার কিছু পর থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সকাল ১০টার দিকে জুবেরী ভবন কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে উপাচার্য এ কথা বলেছেন।
রাকসুতে দ্রুত ফলাফল দিয়ে উদাহরণ তৈরি করতে চান কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, নির্বাচনের ফল দিতে ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা লাগতে পারে। ছয়টি ওএমআর মেশিন সর্বোচ্চ পারফরমেন্সে চললে এ সময় লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনকে এই সময়টা দিতে হবে।
উপাচার্য বলেন, ভোট পুরোপুরি সুষ্ঠুভাবে চলছে। ভেতরে ও বাইরে বড় ডিসপ্লেতে সব কার্যক্রম উন্মুক্ত রাখা হয়েছে, সবাই দেখতে পারবেন কী হচ্ছে। রাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেতে চলেছে।
নির্বাচনের পরিবেশ এখন পর্যন্ত ভালো আছে উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো এখন পর্যন্ত তেমন কিছু শোনা যায়নি। শুধু গরমে শিক্ষার্থীরা একটু কষ্ট পাচ্ছেন।
ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত প্রশাসন যাতে সজাগ থাকে: ছাত্রদলের এজিএস প্রার্থী
![]() |
| রাকসুতে ছাত্রদলসমর্থিত প্যানেলের এজিএস প্রার্থী জাহিন বিশ্বাস এষা। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
রাকসুতে ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’-এর সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থী জাহিন বিশ্বাস এষা বলেছেন, নিরাপত্তাসহসব বিষয়ে এখন পর্যন্ত প্রশাসনের কার্যক্রম ঠিকঠাক আছে। ভোটের ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত প্রশাসন যাতে এভাবে অনড় ও সজাগ থাকে। যেকোনো অপ্রীতিকর অবস্থা তৈরি হলে প্রশাসন ও শিক্ষার্থীরা মিলে সেটি প্রতিহত করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র ভবনে ভোট দিয়ে জাহিন বিশ্বাস এষা সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এষা বিশ্ববিদ্যালয়ের রহমতুন্নেসা হলের শিক্ষার্থী।
ভোট দেওয়ার অভিজ্ঞতা জানিয়ে এষা বলেন, ‘জীবনে প্রথম ভোট দিয়েছি আজকে। আমাদের সকলের বলতে গেলে আজকে জীবনের প্রথম ভোট দেওয়া। উৎসবমুখর পরিবেশে ব্যাপারটা এনজয় করেছি। কীভাবে ভোট দিতে হবে সেই নির্দেশনা যদিও আগে পেয়েছি। ভেতরে যারা ছিলেন, আমাদের প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার, তাঁরা বিষয়টি বুঝিয়ে দিয়েছেন। আশা রাখছি, এভাবেই সার্বিক পরিস্থিতি, নিরাপত্তা বজায় রেখেই আমরা শেষ পর্যন্ত ভোট দিতে পারব।’
সকালে সাংবাদিকদের কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা, তোপের মুখে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা
রাকসুতে ভোটগ্রহণ শুরুর পর জুবেরী ভবনে স্থাপিত সৈয়দ আমীর আলী হলের কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা পান সাংবাদিকেরা। কেন্দ্রের ফটকে দায়িত্বরত পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় কথা বলেও ভেতরে ঢোকার অনুমতি মিলেনি। সকাল ৯টা ২০ মিনিটের দিকে ফটকে উপস্থিত হলে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ সাংবাদিকদের তোপের মুখে পড়েন।
এ সময় সাংবাদিকেরা প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাছে এর কারণ জানতে চান। এমনকি দায়িত্বরত সাংবাদিকেরা কেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন, রাকসুর নির্বাচন কমিশনের এমন নির্দেশনার লিখিত কপিও তাঁকে দেখানো হয়। সাংবাদিকেরা তাঁর কাছে জানতে চান, কেন তিনি কেন্দ্রে সাংবাদিকদের ঢুকতে দিচ্ছেন না? কেন্দ্রের ভেতরে যে অনিয়ম হচ্ছে না, তাঁর নিশ্চয়তা কী?
তোপের মুখে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হারুনুর রশীদ দুজন করে সাংবাদিককে কেন্দ্রে ঢোকার অনুমতি দেন। যদিও একই ভবনে স্থাপিত শাহ মখদুম হলের ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকেরা নিয়ম অনুযায়ী ঢুকতে পারছিলেন।
জুবেরী ভবনে দুটি হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিচ্ছেন। এ ভবনের পূর্ব হল রুমে সৈয়দ আমীর আলী হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিচ্ছেন। এখানে মোট ভোটার ১ হাজার ২৩০ জন। আর পশ্চিম হল রুমে শাহ মখদুম হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিচ্ছেন। এখানে ভোটার ১ হাজার ৪০৯ জন জন।
নির্বাচন নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ নেই: শিবিরের ভিপি প্রার্থী
![]() |
| রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনে স্থাপিত সৈয়দ আমীর আলী হলের কেন্দ্রে ভোট দেন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
রাকসুতে ভোট গ্রহণের দিনে বেলা ১১টা পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ। তিনি বলেন, ‘আজকের নির্বাচন নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ নেই। আমরা (পরিস্থিতি) পর্যবেক্ষণে রাখছি। তবে প্রশাসনকে বলব, কোনো দলের প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ যেন না করা হয়।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ক্যাম্পাসে জুবেরী ভবনে স্থাপিত সৈয়দ আমীর আলী হলের কেন্দ্রে ভোট দিয়ে বেরিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
মোস্তাকুর রহমান বলেন, ‘আজকে শিক্ষার্থীরা ভোট দিয়ে যে আনন্দটা পাচ্ছে, এই আনন্দটা আমরা আমাদের জীবনে কখনো পাইনি৷ আমরা আশা করছি, আল্লাহ তাআলা আমাদের ভালো ফলাফল দেবেন, ইনশাআল্লাহ৷ শিক্ষার্থীরা আমাদের গ্রহণ করবে৷ শিক্ষার্থীরা আমাদের গ্রহণ করলে আমরা প্রদত্ত ইশতেহার অনুযায়ী সর্বোচ্চ চেষ্টা করে কাজ করব, ইনশাআল্লাহ৷’
নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে বহিরাগতরা যেন কোনোভাবে ক্যাম্পাসে ঢুকতে না পারে, সে আহ্বান জানিয়ে শিবিরের এ প্রার্থী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে বলব, নির্বাচনী যে ধারা, বহিরাগত প্রবেশ নিষেধ, সেটা সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তারা যেন ভূমিকা রাখে।’
নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার প্রত্যাশার কথা জানিয়ে মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, প্রশাসনের বিষয়ে পর্যবেক্ষণ আমরা এখনই দেব না। সুষ্ঠুভাবে ফলাফল না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের ব্যাপারে আমরা কোনো কিছুই বলতে চাই না। তারা কোনো দলের প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ যদি কিছু সময়ের জন্যও করে, সেটার ব্যাপারে আমরা অভিযোগ জানাব এবং পদক্ষেপ নেব।
ভোট দিতে পেরে উচ্ছ্বসিত তাঁরা
![]() |
| ভোট দিতে পেরে উচ্ছ্বসিত তাঁরা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু প্রশাসনিক ভবনের সামনে। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
ঘষা দিলেই উঠে যাচ্ছে কালি, অভিযোগ ভোটারদের
![]() |
| ঘষা দিলেই অমোচনীয় কালি উঠে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ভোটাররা। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট দেওয়ার পর হাতের আঙুলে দেওয়া কালি উঠে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ভোটারেরা।
প্রথম অভিযোগ আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ প্রশাসনিক ভবনের কেন্দ্র থেকে।
এই কেন্দ্রে শিক্ষার্থী আবু আল হেলাল ভোট দিয়ে বেরিয়ে বলেন, ‘ঘষা দিলে কালি উঠে যাচ্ছে। পানি দিয়ে ঘষা দিলে উঠে যাবে। তবে বেশ কয়েকটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ভোট দিতে হচ্ছে। তাই জালিয়াতির সুযোগ থাকবে না।’
ভোট দিয়ে বেরিয়ে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শাহ পরান বলেন, ‘কালিটা উঠে যাচ্ছে। এটা পার্মানেন্ট হলে ভালো হতো। ভোট জালিয়াতির সুযোগ কম। তারপরও এই বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা দরকার ছিল। সবচে ভালো কালিটা আনা দরকার ছিল। আমরা জেনেছি কালিটি আমদানি করা হয়েছে।’
এই কেন্দ্রে ভোট দেন ছাত্রশিবির সমর্থিত 'সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট' প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী ফজলে রাব্বি মো. ফাহিম রেজা। তিনি বলেন, ‘অনেক শিক্ষার্থী অমোচনীয় কালির ব্যাপারে অভিযোগ করছেন। এটা মুছে যাচ্ছে। এটা মুছে যাওয়ার কথা ছিল না। আমরা এ ব্যাপারে কমিশনকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’
শহীদুল্লাহ্ প্রশাসনিক ভবনের শহীদ জিয়াউর রহমান হলের কেন্দ্রের দায়িত্বে আছে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা অধ্যাপক নুরুল ইসলাম। কালি উঠে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা আমরা ভেরিফাই করবো। কালি উঠে যায় কি না এটা চেক করা হয়নি। এটা আমাদের দায়িত্ব না।’
এর আগে গতকাল বুধবার দুপুরে সিনেট ভবনে নির্বাচন কমিশন সংবাদ সম্মেলন করে। সেখানে অমোচনীয় কালির প্রসঙ্গ উঠে।
নির্বাচন কমিশনার মোস্তফা কামাল আকন্দ তখন বলেন, তাঁরা শুধু অমোচনীয় কালির ওপর নির্ভর করছেন না। তাঁরা থ্রিডি লেভেলের (ত্রিমাত্রিক পর্যায়) নিরাপত্তাব্যবস্থা রেখেছেন। যে শিক্ষার্থী পরিচয়পত্র নিয়ে আসবেন, প্রথমে সেটির অথেন্টিসিটি যাচাই করা হবে। শুধু পরিচয়পত্র হলেই হবে না, তাঁর ভোটার আইডির জন্য একটি ইউনিক আইডি দেওয়া হয়েছে। সেটিও যাচাই করা হবে। এরপর তাঁর ছবিযুক্ত ভোটার আইডি আছে। সেটি তাঁরা মিলিয়ে ভোটারের পরিচয় নিশ্চিত করবেন। এ বিষয়ে কোনো ধরনের সন্দেহ তৈরি হলে একটি বিশেষ গোপনীয় কিউআর কোডও আছে। পুরো প্রক্রিয়াকে তাঁরা বলছেন, থ্রি ডাইমেনশনাল সিকিউরিটি (ত্রিমাত্রিক নিরাপত্তা)। এটিকে অগ্রাহ্য করে কোনো অবস্থাতেই ভোট জালিয়াতি করার সুযোগ নেই।
এ ব্যাপারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এফ নজরুল ইসলামকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। তবে শহীদুল্লাহ্ একাডেমিক ভবন পরিদর্শনে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের কয়েকটি লেভেলে চেক করা হচ্ছে। কালি হচ্ছে শেষ ধাপ।
নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল বেশ
![]() |
| নির্বাচনে ভোট গ্রহন শুরু হয়েছে সকাল নয়টা থেকে। ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল বেশ। কয়েকজনকে দেখা যায় মুখে আলপনা করে ভোট উৎসবে যোগ দিতে। বেগম খালেদা জিয়া হল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ১৬ অক্টোবর। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
ছবিসহ ভোটার তালিকা দেখতে পারছেন না এজেন্টরা, অভিযোগ ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থীর
![]() |
| রবীন্দ্র ভবনের সামনে আজ বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দিন আবির। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ভিপি (সহসভাপতি) প্রার্থী শেখ নূর উদ্দিন আবির অভিযোগ করেছেন, ভোটকেন্দ্রে তাঁর পোলিং এজেন্টরা ছবিসহ ভোটার তালিকা দেখতে পারছেন না৷ ছবিসহ ভোটার তালিকা দেখতে না পারলে ভোটের স্বচ্ছতা কীভাবে নিশ্চিত হবে বলেও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল নয়টার একটু পরে ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার পরপর জুবেরী ভবন কেন্দ্রের সামনে আসেন ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী। সেখানে দাঁড়িয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন তিনি। এরপর তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলেন।
শেখ নূর উদ্দিন আবির বলেন, ‘আমার পোলিং এজেন্টরা ফোন করে জানাচ্ছেন, কেন্দ্রগুলোয় তাঁদের ছবিসহ ভোটার তালিকা দেখতে দেওয়া হচ্ছে না। তালিকায় ছবি থাকলেও সেটা শুধু রিটার্নিং কর্মকর্তারা দেখতে পারছেন। ছবিসহ ভোটার তালিকা যদি এজেন্টরা দেখতে না পান, তাহলে তাঁরা কীভাবে ভোটার শনাক্ত করবেন। জাল ভোট হচ্ছে কি না, সেটা কীভাবে শনাক্ত করবেন?’
ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আরও বলেন, ‘বিষয়টা নিয়ে আমি রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার এফ নজরুল ইসলাম স্যারের সঙ্গে কথা বললাম। তিনি বললেন যে, এটা তিনি ব্যবস্থা করছেন।’তিনি আরও বলেন, নির্বাচন ঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর পরও কোনো পক্ষ বা প্রার্থী ক্যাম্পাসে বহিরাগত ঢোকানোর চেষ্টা করলে আমরা অবশ্যই প্রতিহত করব। শিক্ষার্থীরা সেটা মেনে নেবে না।
শেখ নূর উদ্দিন আবির আরও বলেন, ‘দীর্ঘ এক মাস প্রচার করলাম। আমরা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। শিক্ষার্থীরা যথেষ্ট ইতিবাচকভাবে আমাদের সাড়া দিয়েছেন।’
ভোট শুরুর আগেই স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থীর অভিযোগ, আশ্বস্ত করলেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা
![]() |
| জুবেরী ভবনের সামনে ভোট দিতে সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়িয়েছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে শুরু হওয়া এই ভোট চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ভোট দিতে সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়িয়েছেন শিক্ষার্থীরা। প্রথমবারের মতো ভোট দিতে পেরে উচ্ছ্বাসপ্রকাশ করেছেন তাঁরা।
সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে ভোটকেন্দ্র জাবির ইবনে হাইয়ান প্রশাসনিক ভবনের সামনে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সুমন মিয়া। তিনি বলেন, ‘এটাই আমার জীবনের প্রথম ভোট। উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে ভোট দিতে যাচ্ছি, খুবই ভালো লাগছে।’
পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী স্বপ্নীল তালুকদার বলেন, দীর্ঘ ৩৫ বছর ভোট হচ্ছে। আমার জীবনের এটিই প্রথম ভোট। এখনও শিক্ষার্থীরা তেমন আসেনি। আশা করছি, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণ হবে।
জাবির ইবনে হাইয়ান ভবনের ভোট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মোতাহার হোসেন বলেন, নয়টায় ভোট শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ১০ মিনিট পর ভোট শুরু হচ্ছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট গ্রহণ হবে।
ভোট শুরুর আগেই স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থীর অভিযোগ, আশ্বস্ত করলেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা
![]() |
| ভোট শুরুর আগে জুবেরী ভবনে এসে অভিযোগ জানান স্বতন্ত্র এক প্রার্থী। আজ বৃহস্পতিবার সকালে। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরুর আগে সকাল সাড়ে আটটার দিকে জুবেরী ভবন কেন্দ্রের সামনে এসে পুলিশ ও নির্বাচনী দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছিলেন স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী আবদুল্লাহ আল ফাহাদ৷
জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'জুবেরী ভবনে স্থাপিত দুটি কেন্দ্রে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে শুধু কমিউনিটি পুলিশকে দায়িত্বে রাখা হয়েছে৷ বিএনসিসি, রোভার স্কাউটসহ অন্য স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের কাউকে জুবেরী ভবন কেন্দ্রে রাখা হয়নি৷ কমিউনিটি পুলিশ সংগঠনের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ফেরদৌস ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের প্যানেল থেকে শহীদ শামসুজ্জোহা হল সংসদে সদস্য পদে নির্বাচন করছেন৷ ফলে শুধু কমিউনিটি পুলিশের সদস্যরা এই কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করলে নির্বাচন প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা আছে৷ আমরা চাই, এখানে মিশ্র স্বেচ্ছাসেবক দেওয়া হোক৷ অর্থাৎ, বিএনসিসি, রোভার স্কাউট থেকেও স্বেচ্ছাসেবক রাখা হোক৷ এ বিষয়টিই জানাতে এসেছি৷'
পরে সকাল পৌনে নয়টার দিকে জুবেরী ভবনে স্থাপিত শাহমখদুম হল কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সৈয়দ সরওয়ার জাহান ফটকে এলে তাঁর কাছে বিষয়টি তুলে ধরেন আবদুল্লাহ আল ফাহাদ৷ কিছুক্ষণ কথা বলার পর প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এই প্রার্থীকে বলেন, 'আমরা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাই না৷ যাঁরা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে চান, তাঁদের কেন্দ্রের নির্দিষ্ট সীমানার বাইরে থাকতে হবে৷ কেন্দ্রের সীমানার মধ্যে সাংবাদিক, পুলিশ ও নির্বাচনী কর্মকর্তারা ছাড়া অন্য কেউ নির্দিষ্ট সীমানার মধ্যে থাকতে পারবেন না৷' প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কথায় আশ্বস্ত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফাহাদ চলে যান৷
সকাল থেকে দীর্ঘ লাইন
| রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ , হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট দিতে সকাল থেকে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করছেন ভোটাররা। শহীদ হবিবুর রহমান হল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী, ১৬ অক্টোবর । ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
সকাল সকাল ভোট দিতে চান, তাই আগেই এসেছেন রুহুল আমিন
![]() |
| ব্যালট বাক্স সিলগালা করা হচ্ছে। মাদার বখ্শ হল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ১৬ অক্টোবর। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ আর কিছুক্ষণ পরেই শুরু হওয়ার কথা।
ভোর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোট-বড় সব ফটকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সরবরাহ করা পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেটে পুলিশের উপস্থিতি দেখা গেছে।
এই ফটক দিয়ে সকালেই পরিচয়পত্র দেখিয়ে ঢুকছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী রুহুল আমিন। তিনি বলেন, সকাল সকাল ভোট দিতে চান। তাই আগেই যাচ্ছেন।
সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ চলবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টি প্রশাসনিক ভবন এবং একটি গেস্টহাউজের মোট ১৭টি কেন্দ্রে ভোট চলবে। মোট বুথ ৯৯০টি।





































একটি মন্তব্য পোস্ট করুন