[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

সোনামসজিদ স্থলবন্দরে পাথর আসা কমেছে, শ্রমিকরা বিপাকে

প্রকাশঃ
অ+ অ-

দৈনন্দিন কাজ কমে যাওয়ায় শ্রমিকদের দিন কাটছে অলস বসে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর। একসময় এখানে প্রতিদিন শত শত ভারতীয় ট্রাকভর্তি পাথর ও বিভিন্ন পণ্য আসত। কিন্তু গত এক বছরে সেই চিত্র বদলে গেছে। 

ব্যবসায়ীরা বলছেন, দুই দেশের মধ্যে অনেক পণ্যের আমদানির অনুমতি না থাকার কারণে আমদানি কমে গেছে। বিশেষ করে গত ছয় মাসে পাথর আমদানির পরিমাণ অর্ধেকে নেমেছে। 

সম্প্রতি বন্দরে গিয়ে দেখা যায়, আগে যেখানে প্রতিদিন দুই শতাধিক ট্রাক আসত, এখন তা প্রায় অর্ধেক।

পাথরবোঝাই ট্রাক বন্দরে ঢুকছে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

স্থলবন্দরের আমদানিকারক মো. সাঈদী ইসলাম বলেন, 'দেশের সড়ক-মহাসড়ক প্রকল্প কমে যাওয়ায় পাথরের চাহিদা কমে গেছে। আগে যারা নিয়মিত পাথর কিনতেন, তারা এখন নিচ্ছেন না। ফলে আমদানি করে লোকসান হচ্ছে।' 

আরেক ব্যবসায়ী আলি ইকরাম জানান, 'চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে পাঁচ ট্রাক পাথর আমদানি করে ক্ষতির মুখে পড়েছি। তাই আপাতত পাথর আনা বন্ধ রেখেছি।' 

সোনামসজিদ আমদানি-রফতানিকারক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আরিফ উদ্দিন ইতি বলেন, 'নতুন প্রকল্প কমে যাওয়ায় এবং পুরনো কাজ বন্ধ থাকায় বাজারে চাহিদা নেই। ব্যবসায়ীরা লোকসানের কারণে আমদানির পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছেন।' 

এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বন্দরের শ্রমিকরা। সোবহান আলি বলেন, 'আগে দিনে ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা আয় হতো। এখন গাড়ি কম আসায় ৩০০ টাকার বেশি হয় না।' 

আলী হোসেন জানান, 'কাজ নেই, তাই বসে সময় কাটাচ্ছি। আয় না থাকায় অন্য কাজের চিন্তা করতে হচ্ছে।' 

পানামা পোর্ট লিঙ্ক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা টিপু সুলতান বলেন, 'এক মাস আগেও প্রতিদিন গড়ে ২০০ ট্রাক পাথর আসত। এখন তা প্রায় ১০০-এ নেমেছে। এতে শুধু শ্রমিকরা না, সরকারও রাজস্ব হারাচ্ছে।' 

সোনামসজিদ স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট সমিতির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন জানান, 'পদ্মা সেতু চালুর পর বেনাপোল দিয়ে চার ঘণ্টার মধ্যে পণ্য ঢাকায় পৌঁছে যাচ্ছে। ফলে ব্যবসায়ীরা সোনামসজিদের পরিবর্তে বেনাপোল বন্দরের দিকে বেশি যাচ্ছেন। এখানে কিছু প্রযুক্তিগত জটিলতাও রয়েছে। আবার উচ্চ শুল্কযুক্ত পণ্যের খবর প্রকাশ হলে বেনাপোলের শক্তিশালী ব্যবসায়ীরা দ্রুত সমন্বয় করে নেয়। ফলে সোনামসজিদের ব্যবসায়ীরা প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছেন না।' 

বন্দর এলাকায় জমা রাখা হয়েছে পাথর | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

তিনি আরও বলেন, 'কয়েক বছর ধরে সোনামসজিদ দিয়ে ফল আমদানি বন্ধ। এতে অনেক ব্যবসায়ী বেনাপোলে চলে যাচ্ছেন। তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।'

সোনামসজিদ আমদানি-রফতানিকারক সংগঠনের সভাপতি একরামুল ইসলাম বলেন, 'চাল ও টমেটো বন্দরে আসলেও পাথরের ব্যবসা এখন ধসে গেছে। অবকাঠামোগত প্রকল্পের কাজ না বাড়লে এই অবস্থা কাটবে না।' 

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন