চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী-নাটোর রুটে আবারও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ
![]() |
| দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। বৃহস্পতিবার রাতে রাজশাহীর শিরোইল বাস টার্মিনালে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও নাটোর থেকে আবার দূরপাল্লার বাস বন্ধ হয়ে গেছে। এবার বাস বন্ধ করে দিয়েছেন মালিকেরা। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বজলুর রহমান (রতন)।
জানা গেছে, একতা ট্রান্সপোর্টের বাস ও লোকাল বাস ছাড়া অন্য সব পরিবহনের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর আগে চলতি মাসেই বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে দুই দফা বাস বন্ধ করে দিয়েছিলেন চালক, তাঁদের সহকারী ও সুপারভাইজাররা।
মালিকপক্ষের দাবি, শ্রমিকদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। এরপরও তাঁরা অযৌক্তিক দাবি সামনে আনছেন, যা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। শ্রমিকদের সঙ্গে না পেরে তাঁরা নিজেরাই এবার বাস বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন।
বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বজলুর রহমান বলেন, শ্রমিকদের দাবি-দাওয়ার ব্যাপারে গত মঙ্গলবার ঢাকায় তাঁদের সঙ্গে বসা হয়েছিল। তাঁদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সভায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। সভা সুন্দরভাবেই শেষ হয়। এরপর বাস চলাচলও শুরু হয়।
বজলুর রহমান বলেন, ‘এখন শ্রমিকেরা দূরপাল্লার বাস যেখানে–সেখানে থামিয়ে যাত্রী তুলতে চাচ্ছেন। খোরাকি ভাতা দাবি করছেন। যেখানে–সেখানে বাস থামিয়ে যাত্রী তুললে তো ব্যবসা করা যাবে না। এটা নিয়ে তাঁদের সঙ্গে নতুন করে বিরোধ। তাঁরা বাস চালাবেন না বলেছেন। আমরাও বলেছি, ঠিক আছে, এভাবে বাস চালাতে চাই না। কয়দিন বসে থাকবে থাকুক।’
এর আগে বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে ৭ সেপ্টেম্বর রাতে তিন জেলা থেকে দূরপাল্লার বাস চালানো বন্ধ করে দেন শ্রমিকেরা। দুই দিন পর মালিকপক্ষের আশ্বাসে তাঁরা আবার বাস চালানো শুরু করেন। কিন্তু আশ্বাস অনুযায়ী বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করা না হলে ২২ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে আবার কর্মবিরতি শুরু করেন তাঁরা। ২৩ সেপ্টেম্বর বিকেল পর্যন্ত একতা ছাড়া বাকি সব বাস চলাচল বন্ধ ছিল।
এখন আবার তিন জেলা থেকে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেল। এতে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কক্সবাজারসহ দূরের গন্তব্যের যাত্রীরা ভোগান্তির মুখে পড়েছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন