[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ থেকে হাসিবুলের পদত্যাগ, জানা গেলো এক মাস পর

প্রকাশঃ
অ+ অ-
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার মুখ্য সংগঠক হাসিবুল ইসলাম | ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার মুখ্য সংগঠক মো. হাসিবুল ইসলাম পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান। সেখানে তিনি বলেছেন, গত ১৯ আগস্ট তিনি গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়কের কাছে তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন৷

গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ছাত্র সংগঠন হিসেবে পরিচিত। ডাকসুতে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে হাসিবুল ইসলামকে প্রার্থী করেছিল গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ-সমর্থিত ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’। কিন্তু প্যানেল ঘোষণার তিন দিনের মাথায় ‘বিদ্রোহ’ করে বসেন হাসিবুল। তিনি সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।

হাসিবুল ইসলাম ফেসবুক পোস্টে  লেখেন, ‘আমার দায়িত্বকালীন সময়ে আমি সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও প্রচেষ্টা দিয়ে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংগঠনিক কার্যক্রম ও শিক্ষার্থীবান্ধব উদ্যোগগুলো পরিচালনার চেষ্টা করেছি। সাংগঠনিক দায়িত্ব পালনকালে আমার কোনো ভুলভ্রান্তি হয়ে থাকলে, তা সবাই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন, এই প্রত্যাশা করি।’

পোস্টে আরও লেখেন, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ তাঁর কাছে শুধু একটি সংগঠন নয়; বরং আবেগ ও অনুভূতির নাম। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, ভবিষ্যতেও গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ শিক্ষার্থীদের আস্থা, বিশ্বাস ও ভরসার জায়গা হয়ে থাকবে।’

হাসিব লেখেন, ‘সত্য আর ন্যায়ের মিছিলে আমি সব সময় থাকতে ওয়াদাবদ্ধ। গণ-অভ্যুত্থানের বৈপ্লবিক রূপান্তর নিশ্চিতে রাজপথের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। জুলাইয়ে দেশ ও জনতার প্রতি যে কমিটমেন্ট গড়ে উঠেছিল, তা বাস্তবায়নে সামনে আরেও সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে।’

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়কদের একাংশের উদ্যোগে গত ফেব্রুয়ারিতে আত্মপ্রকাশ করে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। এবারের ডাকসু নির্বাচনে তাদের প্যানেলের নাম বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ। কিন্তু প্যানেলের বাইরে এজিএস পদে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হয়েছেন সংগঠনটির চার নেতা। একইভাবে সম্পাদকীয় পদেও সংগঠনটির অন্তত চারজন নেতা ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হয়েছেন। এ ছাড়া সদস্য পদে সংগঠনের প্যানেলের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করেন তিনজন।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন