জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্যপদ স্থগিত আরও ১৭ সাংবাদিকের
![]() |
জাতীয় প্রেস ক্লাব | ফাইল ছবি |
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে আরও ১৭ জন সাংবাদিকের। বুধবার ক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ ও সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়ার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত প্রেস ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কোন কারণে সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে, তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি।
সদস্যপদ স্থগিত হওয়া সাংবাদিকরা হলেন— মনজুরুল আহসান বুলবুল, ওমর ফারুক, রফিকুল ইসলাম রতন, আবদুল জলিল ভূঁইয়া, শাহেদ চৌধুরী, জিহাদুর রহমান জিহাদ, মোহাম্মদ আবু সাঈদ, মাঈনুল আলম, মুহম্মদ আকতার হোসেন, সিদ্দিকুর রহমান, মোশারফ হোসেন, জাহাঙ্গীর খান বাবু, এ এস এম হানিফ, সেবীকা রানী, শেখ মুহাম্মদ জামাল হোসাইন, মধুসূদন মণ্ডল ও শেখ মামুনুর রশীদ।
এর আগে গত বছরের ২৭ অক্টোবর ৩৭ জন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ছিলেন নূরুল আমিন প্রভাষ, জায়েদুল আহসান পিন্টু, মোজাম্মেল বাবু, আশীষ সৈকত, ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সোহেল হায়দার চৌধুরী, ফারজানা রূপা, অশোক চৌধুরী, আজমল হক হেলাল, আবুল খায়ের, মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম, প্রণব সাহা, নঈম নিজাম, খায়রুল আলম, আবেদ খান, সুভাষ চন্দ বাদল, জহিরুল ইসলাম মামুন (জ.ই মামুন), জাফর ওয়াজেদ, সাইফুল ইসলাম কল্লোল, পাভেল রহমান, আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, শাবান মাহমুদ, মুহম্মদ শফিকুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, শ্যামল সরকার, অজয় দাশগুপ্ত, আলমগীর হোসেন, রমাপ্রসাদ সরকার বাবু, সঞ্জয় সাহা পিয়াল, ফারাজি আজমল হোসেন, আনিসুর রহমান, এনামুল হক চৌধুরী, নাঈমুল ইসলাম খান, মো. আশরাফ আলী, মোল্লা জালাল, ইখতিয়ার উদ্দিন এবং আবু জাফর সূর্য।
গত বছরের ২১ আগস্ট বেসরকারি একাত্তর টেলিভিশনের সাবেক হেড অব নিউজ শাকিল আহমেদ এবং সাবেক প্রিন্সিপাল করেসপনডেন্ট ফারজানা রূপাকে দেশ ছাড়ার আগে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ১৬ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহের ধোবাউড়া সীমান্ত থেকে সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। শ্যামল দত্ত তখন দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
সেই সময় বলা হয়েছিল, জুলাই মাসে ছাত্র–জনতার গণঅভ্যুত্থানে ‘গণহত্যায় উসকানি’ এবং ‘পতিত সরকারের সহযোগী’ হিসেবে কাজ করার অভিযোগে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
প্রবল আন্দোলনের পর শেখ হাসিনার পতনের পর ১০ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদের ও আবদুল হান্নান মাসুদ প্রেস ক্লাব কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠান। সেখানে অন্তত ৫০ জন সাংবাদিকের নাম উল্লেখ করে বলা হয়, তারা নিয়মিত পুলিশ ও আওয়ামী লীগকে সহায়তা করেছেন এবং ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। আন্দোলনের পক্ষ থেকে তাঁদের সাংবাদিকতা থেকে নিষিদ্ধ করারও দাবি তোলা হয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন