ভোট গণনা বিলম্বে জাকসু নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

জাকসু নির্বাচনে ভোট গণনা চলছে। আজ শুক্রবার সকাল ১০টার পরে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে  | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন  

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গণনা শুক্রবার সকালেও শেষ হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে এখনও চলছিল গণনার কাজ। দীর্ঘ সময় ধরে গণনা না হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২১টি হল কেন্দ্রের মধ্যে ১১টির হল সংসদের ভোট গণনা সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ১০টি কেন্দ্রে গণনা চলমান। তবে জাকসু ভোটের গণনা এখনও শুরু হয়নি।

এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব অধ্যাপক একেএম রাশিদুল আলম জানিয়েছিলেন, শুক্রবার দুপুরের মধ্যেই আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা সম্ভব হবে।

তবে নির্বাচন কমিশনের সদস্য ড. লুৎফুল এলাহী বলেন, “জাকসুর ফলাফল প্রকাশ সম্ভব হবে শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে। দ্রুত গণনা শেষ করতে অভিজ্ঞ জনবল আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।”

ভোটগ্রহণ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলেছে। তবে কিছু হলে শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত সময়ের পরও ভোট দিতে সক্ষম হন। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর ২১টি হল থেকে ব্যালট বাক্স সিনেট হলে আনা হয় এবং রাত সোয়া ১০টার দিকে গণনা শুরু হয়।

ভোট গণনার ধীরগতিতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী শামীম হোসেন বলেন, 'প্রশাসন আমাদের এক ধরনের হয়রানি করছে। মেশিন ব্যবহার করলে গতরাতেই ফল জানা যেত। আমরা সিনেট হলের সামনে গতকাল বিকেল থেকে অপেক্ষা করছি। ইতোমধ্যেই অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।' 

এদিকে, চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও জাকসুতে পোলিং অফিসারের দায়িত্ব পালনকারী জান্নাতুল ফেরদৌস সকালে সিনেটে এসে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নির্বাচনে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ছাত্রদল ভোট বর্জন করেছে। একই সঙ্গে আরও চারটি প্যানেল—সম্প্রীতির ঐক্য, সংশপ্তক পর্ষদ, স্বতন্ত্র অঙ্গীকার পরিষদ এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট—আংশিকভাবে ভোট বর্জন করেছে। কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা চারটি প্যানেলের পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়েছে।

এবারের নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা ১১,৮৯৭ জন। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১৭৭ প্রার্থী। মোট আটটি প্যানেল অংশ নিয়েছে এবারের জাকসু নির্বাচনে।