[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

আওয়ামী লীগের কেউ যাতে সহজে জামিন না পায় সে চেষ্টা চলছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রকাশঃ
অ+ অ-

চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা যাতে সহজে জামিন না পান, সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

বুধবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে বিভাগের জেলা প্রশাসক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ কথা বলেন।

মতবিনিময় সভার কয়েক ঘণ্টা আগে নগরীর দামপাড়া এলাকায় ‘নিষিদ্ধ’ আওয়ামী লীগের কর্মীরা মিছিল করেন। ওই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এক সাংবাদিক জানতে চান, নির্বাচনকালে পরিস্থিতি কেমন হতে পারে।

জবাবে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আজ শুধু চট্টগ্রাম নয়, ঢাকাতেও মিছিল হয়েছে। অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু আইনের আওতায় আনার পরও অনেকে জামিন পেয়ে যায়। আমরা চেষ্টা করছি, যাতে তারা আর সহজে জামিন না পান।’

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের সময় মিছিলের সংখ্যা বাড়বে। তখন সবার অংশগ্রহণে বড় বড় মিছিল হবে। তবে এখনকার মতো বিচ্ছিন্ন মিছিল আর হবে না।’

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর এক লাখ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘এখন মাঠে প্রায় ৩০ হাজার সেনা আছে। নির্বাচনকালে এক লাখ সেনা থাকবে। তাদের সঙ্গে নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, আনসার, কোস্ট গার্ড, র‌্যাব—সব বাহিনীই মাঠে থাকবে। প্রশাসনও সক্রিয় থাকবে।’

তবে নির্বাচন শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্ভর করে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটা মূলত জনগণের ওপর নির্ভর করে। জনগণ নির্বাচনে মাঠে নেমে গেলে কেউ তাদের আটকাতে পারবে না। আবার রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যদি সমঝোতা হয়, সবার জন্যই সুবিধা হবে।’

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠী দেশের জন্য হুমকি কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা রোহিঙ্গা ইস্যুতে সজাগ আছি। আমাদের লক্ষ্য যত দ্রুত সম্ভব তাদের ফেরত পাঠানো। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এখন সীমান্ত এলাকায় নেই। পুরো অঞ্চল আরাকান আর্মির দখলে। সেখানে সেনা ও আরাকান আর্মির মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এদিকে আমাদের সীমান্তে আরএসও, আরসা সক্রিয় আছে।’

বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সাবেক প্রধান জাহাঙ্গীর আলম সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, ‘মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যা অনেক সময় আমাদের ওপর এসে পড়ে। আরাকান আর্মি টিকে আছে মূলত মাদকের টাকায়। প্রচুর মাদক বাংলাদেশে ঢোকে, আর বিনিময়ে আমাদের দেশ থেকে চাল, সার, ওষুধসহ নানা জিনিস পাচার হয়। এসব ঠেকাতে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

সরকার পরিবর্তনের পর লুটপাট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কিছু অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে, নির্বাচনের আগে আরও উদ্ধার হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত আছে। তাদের প্রশিক্ষণও শুরু হয়ে গেছে।’

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন