[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

পাবনায় দুই মহল্লাবাসীর সংঘর্ষ, বিএনপি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ

প্রকাশঃ
অ+ অ-

বেড়া পৌর এলাকায় দুই মহল্লাবাসীর সংঘর্ষের সময় বেড়া পৌর বিএনপির ১ নম্বর ওয়ার্ড কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। সোমবার বিকেলে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

পাবনার বেড়া পৌর শহরে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই মহল্লাবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার দুপুরে পৌর এলাকার বৃশালিখা ও সওদাগরপাড়া মহল্লার বাসিন্দাদের মধ্যে এ সংঘর্ষ শুরু হলেও পরে তা রাজনৈতিক রূপ নেয়। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। বেড়া পৌর বিএনপির ১ নম্বর ওয়ার্ড কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ছাড়া একাধিক দোকানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বেড়া পৌর নৌবন্দরে চাঁদাবাজির অভিযোগকে কেন্দ্র করে সওদাগরপাড়া ও বৃশালিখা মহল্লার বাসিন্দাদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। আজ সোমবার দুপুর ১২টার সওদাগরপাড়ার এক বিএনপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ ছড়িয়ে পড়লে দুই মহল্লাবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা দুইটার দিকে বৃশালিখা মহল্লার লোকজন মসজিদের মাইক ব্যবহার করে মানুষ জড়ো করেন। পরে সওদাগরপাড়ার লোকজনও মাইক ব্যবহার করে লোকজন জড়ো করেন। এ সময় বেড়া বাজার ও নিজেদের মহল্লায় সওদাগরপাড়ার লোকজন এবং বেড়া বাজারের ধানিয়াপট্টি মসজিদ মোড়ের কাছে বৃশালিখা মহল্লার লোকজন অবস্থান নেন। একপর্যায়ে বৃশালিখা মহল্লার লোকজন সওদাগরপাড়ায় গিয়ে হামলা চালান। পরে তাঁরা ‘জয়বাংলা স্লোগান’ দিয়ে বেড়া পৌর বিএনপির ১ নম্বর ওয়ার্ড কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এলাকাবাসী জানান, বৃশালিখা মহল্লার বেশির ভাগ লোকজন আওয়ামী লীগের সমর্থক।

বিএনপি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের খবর ছড়িয়ে পড়লে বেড়া পৌর এলাকার অন্যান্য মহল্লার বিএনপি নেতা–কর্মীরা বেড়া বাজারে গিয়ে বৃশালিখা মহল্লার বিপক্ষে অবস্থান নেন। এতে সংঘর্ষ আরও ব্যাপক আকার ধারণ করে। দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হন। এ সময় বেশ কিছু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘরে হামলা, লুটপাটের ঘটনাও ঘটে।

সংঘর্ষের এক পর্যায়ে পুলিশ ও সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নেভান। বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে কথা হয় বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোরশেদুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সেনাবাহিনীকেও অবস্থানের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। প্রয়োজন পড়লে ১৪৪ ধারা জারি করা হবে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বেড়া মডেল থানার ওসি এ কে এম হাবিবুল ইসলাম বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুরো এলাকায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী টহল দিচ্ছে। আর যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে জন্য সবাই সজাগ আছেন।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন