[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

‘ঘৃণ্য মিথ্যাচারের’ মাধ্যমে জাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলকে কোণঠাসা করা হয়

প্রকাশঃ
অ+ অ-

জাকসু নির্বাচন কমিশনের কয়েকজন সদস্যের ছত্রচ্ছায়ায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বিরুদ্ধে ঘৃণ্য অপপ্রচার এবং নির্বাচনী অনিয়ম হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম।

শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এক বিবৃতিতে সংগঠনটি এ অভিযোগ তুলেছে। সংগঠনটি বলছে, ‘ঘৃণ্য মিথ্যাচারের’ মাধ্যমে নির্বাচনের আগেই ছাত্রদলকে কোণঠাসা করে ফেলা হয়।

বিবৃতিতে নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিবসহ ৫৮ জন শিক্ষকের নাম রয়েছে। তবে অন্তত পাঁচজন শিক্ষক  জানিয়েছেন, তাঁদের না জানিয়েই বিবৃতিতে তাঁদের নাম যুক্ত করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গত ১০ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ১০টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ঘিরে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অসত্য তথ্য প্রকাশ করা হয়। একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের সদস্য ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্টরা সেটি ফলাও করে প্রচার (ভাইরাল) করে। অথচ বাস্তবতা হচ্ছে এই যে ওই সময় রিটার্নিং কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে শুধু ব্যালট বাক্সসহ অন্যান্য সরঞ্জাম পাঠানো হয়। ব্যালট পেপার বিভিন্ন কেন্দ্রে পাঠানো হয় নির্বাচনের দিন অর্থাৎ পরদিন সকাল সাড়ে আটটার দিকে। এ ধরনের ঘৃণ্য মিথ্যাচারের মাধ্যমে নির্বাচনের আগেই ছাত্রদলকে কোণঠাসা করে ফেলা হয়। এই বিশেষ রাজনৈতিক দল যদিও মুখে মুখে সব সময় সৃষ্টিকর্তার নাম নেয়, কিন্তু একটি নির্বাচনে বিজয়ের জন্য এরা মিথ্যাচারের মতো পাপে লিপ্ত হওয়া থেকে বিরত হয়নি।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের ওই বিশেষ রাজনৈতিক মতাবলম্বী সদস্যদের ও তাঁদের দোসর প্রভোস্টদের অপতৎপরতায় জাকসু ও বিভিন্ন হল সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করে ছাত্রদল। জাল ভোট দেওয়া ও প্রার্থীর প্রতিনিধি/সাংবাদিকদের হয়রানি (মব) করার অভিযোগ ওঠে ১৫ নম্বর ছাত্রী হল, জাহানারা ইমাম হল, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হল ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে। ১৫ নম্বর ছাত্রী হলের প্রভোস্ট সরাসরি একটি প্যানেলের পক্ষে ভোট চেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পর্যবেক্ষক দল ওই হলে ব্যালট পড়ে থাকাসহ নানান অনিয়ম প্রত্যক্ষ করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিস্ময়করভাবে হল সংসদ নির্বাচনের ব্যালটে ক্রমিক নম্বর ও মুড়ি থাকলেও জাকসুর ব্যালটে এগুলো ছিল না। অথচ ক্রমিক নম্বর হলো ভোটের বৈধতা নিশ্চিত করার জন্য ব্যালট পেপারে থাকা একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা, যা গণনার জন্য ব্যবহার করা হয়। এমনকি পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকাও ছবি সংযুক্ত আকারে সরবরাহ করা হয়নি, যা ভোটার শনাক্তকরণে জটিলতা সৃষ্টি করেছে। ভোটার তালিকায় অসংগতি থাকায় অনেক শিক্ষার্থী নিজ হলে ভোট দিতে পারেননি। দ্বৈত ভোটদানের মতো নির্বাচনী জালিয়াতি প্রতিরোধের জন্য নির্বাচনী অমোচনীয় কালি ব্যবহার করা হয়নি অনেক ক্ষেত্রেই। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগের রাতে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো ও নির্বাচনের দিন বিভিন্ন অনিয়ম একই সূত্রে গাঁথা। আমরা একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের জিতিয়ে আনার জন্য আয়োজিত এই প্রহসনের নির্বাচনের তীব্র নিন্দা জানাই ও অভিযোগগুলো সুষ্ঠু সুরাহার মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জোর দাবি জানাই।’

বিবৃতিতে যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের মধ্যে পাঁচজন শিক্ষক জানিয়েছেন, তাঁরা বিবৃতি সম্পর্কে জানেন না।

জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, ‘আমাকে অবগত না করে আমার নাম দেওয়া হয়েছে।’

জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন