{getBlock} $results={3} $label={ছবি} $type={headermagazine}

সুনামগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান পরিবর্তনের দাবিতে ৫টি পরিবেশবাদী সংগঠনের মানববন্ধন

প্রকাশঃ
অ+ অ-
সুনামগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান পরিবর্তনের দাবিতে পরিবেশবাদী কয়েকটি সংগঠনের মানববন্ধন। মঙ্গলবার দুপুরে শহরের আলফাত স্কয়ারে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত স্থান পরিবর্তনের দাবিতে মঙ্গলবার পাঁচটি পরিবেশবাদী সংগঠনের উদ্যোগে মানববন্ধন হয়েছে। শহরের আলফাত স্কয়ারে মঙ্গলবার দুপুরে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

মানববন্ধনে অংশ নেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা); সুনামগঞ্জ পরিবেশ আন্দোলন, জীববৈচিত্র্য ও উন্নয়ন ফোরাম; হাওর, নদী ও পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন; আন্তঃ উপজেলা অধিকার পরিষদের সদস্যরা।

বক্তারা বলেন, সুনামগঞ্জ হাওর এলাকা। এখানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় তা হাওর এলাকার উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। এতে জেলার মানুষ খুশি। কিন্তু হাওর, প্রকৃতি ও পরিবেশের ক্ষতি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান বা কোনো অবকাঠামো নির্মাণ করা যাবে না। তাই শান্তিগঞ্জের দেখার হাওরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত স্থান পরিবর্তন করতে হবে। যেখানে হাওর, কৃষিজমি ও পরিবেশের ক্ষতি হবে না, এমন জায়গা নির্ধারণ করতে হবে।

মানববন্ধনে সুনামগঞ্জ পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি এ কে এম আবু নাছার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হওয়ায় আমরা আনন্দিত। কিন্তু বিগত দিনে এক ব্যক্তির পছন্দে ও ক্ষমতায় শান্তিগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা নির্ধারণ করা হয়। স্থান নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক হচ্ছে। বিতর্কিত এই স্থান পরিবর্তন করতে হবে।’

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বাপার সুনামগঞ্জ জেলার সভাপতি ও সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি তৈয়বুর রহমান, সুনামগঞ্জ আন্তজেলা উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি নুরুল হক আফিন্দী, সুনামগঞ্জ পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি এ কে এম আবু নাছার, উন্নয়নকর্মী সালেহীন চৌধুরী, কলেজশিক্ষক ফজলুল করিম, পরিবেশ আন্দোলনের কর্মী মিজানুর রহমান, জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ উন্নয়ন ফোরাম সিলেটের সভাপতি আবুল হোসেন, হাওর-নদী ও পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি মিজানুর রহমান প্রমুখ।

সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪ সালের ৩ নভেম্বর ১২৮ জন শিক্ষার্থী নিয়ে পাঠদান শুরু হয়। জেলা শহর সুনামগঞ্জ থেকে প্রায় ১৭ কিলোমিটার দূরে শান্তিগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি ভাড়া করা ভবনে এটির প্রশাসনিক ও পাঠদান কার্যক্রম চলছে।

জাতীয় সংসদে ‘সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ আইন পাস হয় ২০২০ সালের ১৮ নভেম্বর। প্রথম দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান ‘শান্তিগঞ্জ’ উল্লেখ করায় বিষয়টি নিয়ে সব মহলে ক্ষোভ দেখা দেয়। জেলার সব সংসদ সদস্য সংসদে কথা বলেন এবং জেলা সদরে স্থাপনের দাবি জানান। পরবর্তী সময়ে সংসদে সুনামগঞ্জের ‘দেখার হাওরপাড়ে’ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হিসেবে আইনে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু এটির কার্যক্রম শুরু হয় শান্তিগঞ্জ উপজেলায়। এখন দাবি উঠেছে জেলা শহরের কাছাকাছি সুবিধাজনক স্থানে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপনের।  

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন