[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

গোপালগঞ্জে বিএনপি নেতার বাসা থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার

প্রকাশঃ
অ+ অ-

একটি গুলিসহ অভিযানে উদ্ধার করা দেশি পাইপগান। শুক্রবার দুপুরে গোপালগঞ্জ সদর থানায় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন  

গোপালগঞ্জে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কে এম বাবরের ভাড়া বাসায় যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে দেশি একটি পাইপগান ও একটি গুলি উদ্ধার করেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে গোপালগঞ্জ পৌরসভার থানাপাড়া এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। তবে এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দিবাগত রাত দুইটার দিকে যৌথ বাহিনীর একটি দল থানাপাড়া এলাকার কে এম বাবরের ভাড়া বাসায় প্রবেশ করে তল্লাশি চালায়। এ সময় সেনাবাহিনীর সদস্যরা বাসার একটি বাথরুমের ফ্লাশারের ভেতর থেকে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেন। পরে এগুলো গোপালগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

বিএনপি নেতা কে এম বাবর বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন। তিনি মুঠোফোনে বলেন, ‘আমি ও আমার স্ত্রী দুজনই চিকিৎসক। সকালে কর্মস্থলে যাই এবং রাতে বাসায় ফিরি। বৃহস্পতিবার সকালে আমি ঢাকায় যাই। মা ১৫ দিন আগে গ্রামের বাড়িতে গেছেন। বাসায় তখন আমার স্ত্রী, দুই সন্তান ও গৃহকর্মী ছিল। রাত দুইটার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা বাসায় গিয়ে পরিচয় দেওয়ার পর আমার স্ত্রী গেট খুলে দেয়। তারা বাসায় প্রবেশের কয়েক মিনিটের মধ্যে আমার মায়ের কক্ষের বাথরুমে গিয়ে ফ্লাশারের ভেতর থেকে একটি পলিথিনে মোড়ানো ব্যাগ বের করে। ব্যাগ খুলে দেখা যায়, এর মধ্যে লেড মেশিনে তৈরি দেশি একটি পাইপগান ও একটি গুলি রয়েছে। অথচ আমার বাসায় একটা চাকুও থাকে না। আমাকে ফাঁসাতে প্রতিপক্ষ এই কাজ করেছে।’

কে এম বাবর আরও বলেন, ‘আমার জনপ্রিয়তা দেখে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ঈর্ষান্বিত হয়ে ষড়যন্ত্র করছে। আমি সেনাবাহিনীর সদস্যদের কাছে অনুরোধ করছি, তারা বিষয়টি তদন্ত করলে প্রকৃত সত্য উদ্‌ঘাটিত হবে। যারা এ তথ্য দিয়েছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে বোঝা যাবে আসল ঘটনা।’

গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘কে এম বাবরের বাসার বাথরুম থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় দেশি একটি পাইপগান ও একটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। আমাদের ধারণা, প্রতিপক্ষ তাকে ফাঁসাতে এমনটি করতে পারে বা অন্য কোনো কারণও থাকতে পারে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি। যেহেতু ঘটনার সময় তিনি বাসায় ছিলেন না, আপাতত কোনো মামলা করা হয়নি।’

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন