[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

আগামী নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বড় চ্যালেঞ্জ: সিইসি

প্রকাশঃ
অ+ অ-

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রংপুর অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন। আজ সকালে রংপুর নগরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখা বড় চ্যালেঞ্জ হবে বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন। তবে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে ভালো হচ্ছে। নির্বাচনের সময়ে আরও ভালো হবে।

আজ শনিবার সকালে রংপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সভাকক্ষে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ কথা বলেন। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রংপুর অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা হয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে যে বিশেষ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে দেশে। তারপরও আমি বলব, গত বছরের জুলাই-আগস্টের পর আইনশৃঙ্খলার অনেক উন্নতি হয়েছে। আমরা ঘুমাতে পারছি। আমাদের পুলিশ ভাইয়েরা ঘুমাতে পারছেন না, তাঁরা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। ইলেকশন আসতে আসতে আরও ভালো হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সবাইকে নিয়ে আমরা এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করতে চাই, মানুষ যাতে নির্ভয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন।’

আইনশৃঙ্খলা রক্ষার চ্যালেঞ্জ নির্বাচন কমিশন মোকাবিলা করতে পারবে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনী সিস্টেম, নির্বাচন কমিশন এবং যাঁরা নির্বাচন পরিচালনা করেন, সেই প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর মানুষের আস্থা নষ্ট হয়ে গেছে। প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রিসাইডিং অফিসার—সবাই মিলে যে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে পারে, এ বিশ্বাস ও আস্থা সৃষ্টি করা বড় চ্যালেঞ্জ। মানুষ ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার অভ্যাস ভুলে গেছে। মানুষকে কেন্দ্রমুখী করা, সবাইকে নিয়ে আসাও চ্যালেঞ্জ হয়ে গেছে।’

দেশে রাষ্ট্র, সরকার, দল, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান একাকার হওয়ার পর সরকারের পতন হলে সব একসঙ্গে ধসে পড়ে বলে মন্তব্য করেন এ এম এম নাসির উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সে ধরনের একটা অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এটা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে হয়েছে। সেসব দেশের সঙ্গে তুলনা করলে আমি বলব, বাংলাদেশে অবস্থা অনেক ভালো।’

অস্ত্রের চেয়ে এআই ও সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার মারাত্মক চ্যালেঞ্জ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন সিইসি। তিনি বলেন, ‘পেশাদার সাংবাদিকেরা নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও জবাবদিহিমূলক করার জন্য ভূমিকা রাখবেন, এটা ভালো দিক। কিন্তু যাঁরা ফেসবুক সাংবাদিক হয়েছেন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে বিভিন্ন খণ্ডিত বক্তব্য প্রকাশ করেন। তাঁদের বিরুদ্ধে কী করা যায়, আমরা ভেবে দেখছি।’

সভায় সভাপতিত্ব করেন রংপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দুলাল তালুকদার। অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, রংপুর বিভাগের আট জেলার নির্বাচন কর্মকর্তা, অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা সভায় অংশ নেন।

আজ বেলা সাড়ে তিনটার দিকে রংপুরের বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলনকক্ষে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনসংক্রান্ত আরেকটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন সিইসি। সভায় রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি, মহানগর পুলিশ কমিশনার, বিভাগের সব জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা অংশ নেবেন।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন