সিদ্ধেশ্বরীর নারীর ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার পর সেদিন আরও ৩টি ছিনতাই করেছিলেন তাঁরা
নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা
![]() |
ওই নারীকে গাড়িটির সঙ্গে টেনে নিয়ে যেতে দেখা যায় | ছবি ভিডিও থেকে নেওয়া |
প্রতিদিন ভোরে সৌরভ, রাজীব ও রবিউল তিনজন ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে বের হতেন। তাঁদের নিশানা ছিল ভোরের ঢাকায় বের হওয়া নগরবাসী। নগরীতে এ নিয়ে তাঁরা ২৫-৩০টি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়েছেন। প্রতিটি ঘটনার পর ব্যাগে থাকা টাকা, মুঠোফোন ভাগাভাগি করে নেন। আর ব্যাগে থাকা অন্যান্য জিনিস বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেন।
গত ২৬ এপ্রিল রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীর গ্রিনল্যান্ড টাওয়ারের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এক নারীর ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেপ্তার রবিউল এ তথ্য জানান বলে পিবিআই জানিয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে আজ শনিবার রাজধানীর বনশ্রী এলাকায় স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড অর্গানাইজড ক্রাইমের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেন সংস্থাটির বিশেষ পুলিশ সুপার মো. আবদুর রহমান।
পিবিআই জানায়, গত ৩১ জুলাই উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকার টোকিও মার্কেটের সামনে থেকে রবিউল গ্রেপ্তার হন। সেদিন বিকেলেই রবিউল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তিনি এখন কারাগারে। তাঁর কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া মুঠোফোন এবং ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত সাদা রঙের প্রাইভেট কারটি জব্দ করা হয়েছে।
গত ২৬ এপ্রিল সিদ্ধেশ্বরীর গ্রিনল্যান্ড টাওয়ারের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন এক নারী। তাঁর পরনে ছিল শাড়ি, হাতে ভ্যানিটি ব্যাগ এবং পাশেই ছিল একটি ট্রলি ব্যাগ। হঠাৎ সাদা রঙের একটি প্রাইভেট কার তাঁর সামনে আসে। চলন্ত অবস্থাতেই গাড়িটির সামনের অংশের বাঁ পাশের জানালা দিয়ে একজন ঝুঁকে বেরিয়ে ছোঁ মেরে টান দেয় ভ্যানিটি ব্যাগটি। সঙ্গে সঙ্গে ওই নারী মাটিতে পড়ে যান এবং ব্যাগের সঙ্গে ওই নারীকে গাড়ির সঙ্গে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যেতে থাকেন ছিনতাইকারীরা। আলোচিত ওই ঘটনার ভিডিও তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত সেই সাদা প্রাইভেট গাড়িটি দেড় বছর আগে রবিউল কেনেন। পূর্বপরিচিত রাজীব ঘোরাঘুরি করার কথা বলে তাঁর কাছ থেকে প্রাইভেট কারটি ভাড়া নিতেন। গত ২৬ এপ্রিল রাজীব ও সৌরভের সঙ্গে তিনিও ছিলেন। তাঁরা ওই দিন ভোরে পুরান ঢাকার নাজিরাবাজারে খাওয়াদাওয়া করেন। সেখান থেকে ফার্মগেট ও মতিঝিল ঘোরাঘুরি করার একপর্যায়ে এক নারীর হাতে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনতাই করেন তাঁরা। এরপর তাঁরা কারওয়ান বাজার ও মালিবাগ হয়ে ঢাকা মেডিকেলে যাওয়া পর্যন্ত আরও তিনজনের কাছ থেকে তিনটি ব্যাগ ছিনতাই করেন। রবিউলের ভাগে পড়ে সিদ্ধেশ্বরীর ওই নারীর মুঠোফোনটি।
![]() |
রবিউল |
গত ২৬ এপ্রিল সিদ্ধেশ্বরীর গ্রিনল্যান্ড টাওয়ারের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন এক নারী। তাঁর পরনে ছিল শাড়ি, হাতে ভ্যানিটি ব্যাগ এবং পাশেই ছিল একটি ট্রলি ব্যাগ। হঠাৎ সাদা রঙের একটি প্রাইভেট কার তাঁর সামনে আসে। চলন্ত অবস্থাতেই গাড়িটির সামনের অংশের বাঁ পাশের জানালা দিয়ে একজন ঝুঁকে বেরিয়ে ছোঁ মেরে টান দেয় ভ্যানিটি ব্যাগটি। সঙ্গে সঙ্গে ওই নারী মাটিতে পড়ে যান এবং ব্যাগের সঙ্গে ওই নারীকে গাড়ির সঙ্গে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যেতে থাকেন ছিনতাইকারীরা। আলোচিত ওই ঘটনার ভিডিও তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত সেই সাদা প্রাইভেট গাড়িটি দেড় বছর আগে রবিউল কেনেন। পূর্বপরিচিত রাজীব ঘোরাঘুরি করার কথা বলে তাঁর কাছ থেকে প্রাইভেট কারটি ভাড়া নিতেন। গত ২৬ এপ্রিল রাজীব ও সৌরভের সঙ্গে তিনিও ছিলেন। তাঁরা ওই দিন ভোরে পুরান ঢাকার নাজিরাবাজারে খাওয়াদাওয়া করেন। সেখান থেকে ফার্মগেট ও মতিঝিল ঘোরাঘুরি করার একপর্যায়ে এক নারীর হাতে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনতাই করেন তাঁরা। এরপর তাঁরা কারওয়ান বাজার ও মালিবাগ হয়ে ঢাকা মেডিকেলে যাওয়া পর্যন্ত আরও তিনজনের কাছ থেকে তিনটি ব্যাগ ছিনতাই করেন। রবিউলের ভাগে পড়ে সিদ্ধেশ্বরীর ওই নারীর মুঠোফোনটি।
![]() |
জব্দ করা হয় ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত এই গাড়ি |
গত ২৭ এপ্রিল সিদ্ধেশ্বরীর এ ঘটনা আমলে নিয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) কাউসার পারভীন স্বপ্রণোদিত হয়ে ওই ঘটনা তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন।
এর ধারাবাহিকতায় পিবিআই স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন ও অর্গানাইজড ক্রাইমের (এসআইএন্ডও) অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার তানজিনা আক্তারের তত্ত্বাবধানে তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়। তানজিনা আক্তার বলেন, ঘটনার তারিখ ও সময়ের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রবিউলকে শনাক্ত ও আটক করা হয়। আদালতকে ওই তথ্য জানানোর পর আদালতের নির্দেশে রমনা থানায় ছিনতাইকারীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ওই মামলায় রবিউলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। রবিউল রাজধানীর তুরাগ থানার রানাভোলা এলাকায় থাকতেন। তাঁর বাড়ি কুমিল্লার বরুড়ায়। বাকি দুই আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন