{getBlock} $results={3} $label={ছবি} $type={headermagazine}

সাদা পাথর লুট: অভিযুক্তদের খুঁজতে সিআইডি তদন্ত শুরু

প্রকাশঃ
অ+ অ-

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জে এভাবেই পাথর লুটের ঘটনা ঘটছে এখানে  | ফাইল ছবি 

সিলেটের সাদাপাথর লুটপাটের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিষয়ে অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে সিআইডি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিলেটের ‘সাদা পাথর’ লুটপাটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্য এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত একাধিক খবরের পরিপ্রেক্ষিতে ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট, সিআইডি মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে। বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী লুটপাটের ঘটনায় প্রায় ৫০ জনের সংশ্লিষ্টতার প্রাথমিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরপর সিআইডি এই অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়। পরিবেশগত অপরাধ সংঘটন করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার অভিপ্রায়ে সাদাপাথর লুটপাটের ঘটনায় যে বা যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সারা দেশে ৫১টি কোয়ারি (পাথর, বালু ইত্যাদি উত্তোলনের নির্দিষ্ট স্থান) রয়েছে। এর মধ্যে সিলেটের কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুরে রয়েছে আটটি পাথর কোয়ারি। এর বাইরে সিলেটে আরও ১০টি জায়গায় পাথর রয়েছে। যেমন সাদাপাথর, জাফলং, বিছনাকান্দি ও উৎমাছড়া। এসব জায়গা পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।

পাথর আসে সীমান্তের ওপারে ভারতের পাহাড়ি নদী থেকে। বহু বছর ধরে পানির স্রোতের সঙ্গে এসব পাথর এসে কোয়ারি তৈরি হয়েছে। ২০২০ সালের আগে সংরক্ষিত এলাকা বাদে সিলেটের আটটি কোয়ারি ইজারা দিয়ে পাথর উত্তোলনের সুযোগ দেওয়া হতো। তবে পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতির কারণে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কোয়ারি থেকে পাথর ও বালু উত্তোলন বন্ধে নির্দেশনা দেয় সরকার।

স্থানীয় সূত্র বলছে, এর পর থেকে স্থানীয় কিছু আওয়ামী লীগ নেতার পৃষ্ঠপোষকতায় রাতের আঁধারে অবৈধভাবে পাথর ও বালু উত্তোলন চলত। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সিলেটের সব কটি কোয়ারির নিয়ন্ত্রণ নেন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতারা। তাঁদের পৃষ্ঠপোষকতায় কয়েক হাজার পাথরশ্রমিক প্রকাশ্যে পাথর উত্তোলন শুরু করে।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন