{getBlock} $results={3} $label={ছবি} $type={headermagazine}

দুদকের তালিকায় দুই নেতা, মানববন্ধন স্থগিত রাখল এনসিপি

প্রকাশঃ
অ+ অ-

সাদা পাথর লুট ঘটনায় দুদকের তদন্ত দল স্থান পরিদর্শনে। ১৩ আগস্ট, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

সিলেটে সাদাপাথর লুটে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিলেটের দুই নেতার নাম উঠে এসেছিল দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রাথমিক প্রতিবেদনে। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এর প্রতিবাদে এনসিপি আগামীকাল বুধবার বিকেলে এক মানববন্ধন কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল। তবে কর্মসূচি শুরুর একদিন আগে সংগঠনটি এক বিজ্ঞপ্তিতে মানববন্ধন স্থগিত করার ঘোষণা দেয়।

সংগঠনটির নেতারা জানান, কোম্পানীগঞ্জের সাদাপাথর ইস্যুতে এনসিপির জেলার প্রধান সমন্বয়নকারী নাজিম উদ্দীন (সাহান) ও মহানগরের প্রধান সমন্বয়কারী আবু সাদেক মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম চৌধুরীর নাম জড়িয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এর প্রতিবাদে বুধবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে নগরের চৌহাট্টা এলাকার সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এক মানববন্ধন কর্মসূচি আহ্বান করা হয়। তবে দলের কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় এ কর্মসূচি আপাতত স্থগিত ঘোষণা করা হয়।

গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে এনসিপির জেলার প্রধান সমন্বয়নকারী নাজিম উদ্দীন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মানববন্ধন কর্মসূচির বিষয়টি জানিয়েছিলেন। তিনি বিজ্ঞপ্তিতে জানান, তাঁদের ওপর মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট খবর প্রচার এবং দুদকের মিথ্যা প্রতিবেদনের প্রতিবাদে কর্মসূচি ডাকা হয়েছে।

পরে আজ বেলা সোয়া দুইটার দিকে এনসিপির সিলেট জেলার সদস্য (প্রচার) ছালিম আহমদ খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে মানববন্ধন কর্মসূচি স্থগিতের বিষয়টি জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, এনসিপি সব সময় সত্য, ন্যায় ও জনগণের স্বার্থে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ও গণতান্ত্রিক চর্চায় বিশ্বাসী। কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হবে।

আজ বেলা তিনটার দিকে যোগাযোগ করলে এনসিপির জেলার প্রধান সমন্বয়নকারী নাজিম উদ্দীন বলেন, সংগঠনের কিছু সদস্যের জরুরি কাজ পড়ে যাওয়ায় সবার সম্মিলিত মতামতের ভিত্তিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পেছানো হয়েছে। পরে পুনর্নির্ধারিত সময় জানানো হবে।

সম্প্রতি জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র থেকে সাদাপাথর লুটের ঘটনা ঘটে। ১৩ আগস্ট সাদাপাথর এলাকায় এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালায় দুদক। দুদক সিলেটের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক রাফী মো. নাজমুস সাদাৎ-এর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল এ অভিযান চালায়। পরে অভিযানে পাওয়া যাবতীয় তথ্য প্রাথমিক প্রতিবেদন আকারে ঢাকায় পাঠানো হয়।

দুদকের পাঠানো ওই প্রাথমিক প্রতিবেদনে লুটপাটে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৪২ জন রাজনীতিবিদ ও প্রভাবশালী ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি উল্লেখ করে। তালিকায় বিএনপি, জামায়াত ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি এনসিপি সিলেট জেলার প্রধান সমন্বয়নকারী নাজিম উদ্দীন ও মহানগরের প্রধান সমন্বয়কারী আবু সাদেক মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম চৌধুরীর নামও আছে।

এদিকে দুদকের তালিকায় এনসিপির দুই নেতার নাম থাকার বিষয়ে ২১ আগস্ট বিকেলে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে এনসিপি এক সংবাদ সম্মেলন করে পাথর লুটে নিজেদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তাঁরা বিষয়টিকে ‘ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিকর ও অসত্য’ বলে দাবি করেন।

এ বিষয়ে এনসিপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সাদাপাথর লুটপাটের ঘটনায় এনসিপির কোনো নেতা-কর্মী জড়িত নন। অথচ কিছু গণমাধ্যমে জেলা ও মহানগরের দুজন শীর্ষ নেতার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এটা ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যমূলক ও দুঃখজনক।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন