{getBlock} $results={3} $label={ছবি} $type={headermagazine}

রাজশাহীতে প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

প্রকাশঃ
অ+ অ-

ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

ঢাকায় প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জাবির ইবনে হাইয়ান একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তাঁরা।

মিছিলটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে শিক্ষার্থীরা ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে প্রায় আধা ঘণ্টা বিক্ষোভ করেন। এতে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, গত সোমবার প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থীরা রংপুর নেসকোর কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেন। পরে শিক্ষার্থীরা চলে গেলে নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম হোসেনের কক্ষে সহকারী প্রকৌশলী ও বুয়েটের তড়িৎ কৌশল বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী রোকনুজ্জামানকে ডেকে নেওয়া হয়। সে সময় সেখানে উপস্থিত ২০–২৫ জন ডিপ্লোমাধারী কর্মকর্তা রোকনকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করেন এবং হত্যার হুমকি দেন। এর প্রতিবাদে গতকাল বুধবার ঢাকায় শাহবাগ অবরোধ করেন বুয়েটসহ বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের ওপর কাঁদানে গ্যাসের সেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান থেকে পানি নিক্ষেপ করে পুলিশ। শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আজ বিক্ষোভে অংশ নেন তাঁরা।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী সিফাত আবু সালেহ বলেন, ‘গতকাল লং মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে পুলিশ ন্যক্কারজনকভাবে আমার ভাইদের ওপর হামলা চালায়। আমাদের দাবি যদি ইন্টেরিম মেনে না নেয়, তবে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’

একই বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, নবম গ্রেডে আসতে হলে অবশ্যই নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে আসতে হবে। কোনো প্রকার কোটার মাধ্যমে আসতে পারবে না। গতকাল ঢাকায় পুলিশের হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচার করতে হবে এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে ক্ষমা চাইতে হবে।

শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো, সহকারী ইঞ্জিনিয়ার (নবম গ্রেড) পদের নিয়োগ সরাসরি পরীক্ষার মাধ্যমে হতে হবে এবং কোনো প্রমোশন কোটা থাকবে না; উপসহকারী ইঞ্জিনিয়ার (দশম গ্রেড) পদের শতভাগ ডিপ্লোমা কোটা পরিহার করে বিএসসি ডিগ্রিধারী ব্যক্তিদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে এবং বিএসসি ডিগ্রি ছাড়া কেউ প্রকৌশলী হিসেবে পরিচয় দিতে পারবেন না।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন