[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

‘প্রধান সমন্বয়কারী অযোগ্য’, শেরপুরে এনসিপির কমিটি থেকে একযোগে ১৫ নেতার পদত্যাগ

প্রকাশঃ
অ+ অ-

শেরপুরের নকলায় সংবাদ সম্মেলন করে এনসিপির উপজেলা সমন্বয় কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন ১৫ নেতা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন   

শেরপুরের নকলা উপজেলা জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির নবগঠিত উপজেলা সমন্বয় কমিটি থেকে একযোগে ১৫ নেতা পদত্যাগ করেছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজন যুগ্ম সমন্বয়কারী ও ১০ জন সদস্য পদে ছিলেন।

সদ্য ঘোষণা করা নকলা উপজেলা শাখার প্রধান সমন্বয়কারীকে ‘অযোগ্য’ দাবি করে মঙ্গলবার রাতে সংবাদ সম্মেলন করে তারা পদত্যাগ করেছেন।

এ ঘটনাকে ‘ষড়যন্ত্রমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে দাবি করেছেন শেরপুর জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী ইঞ্জিনিয়ার মো. লিখন মিয়া ও নকলা উপজেলার প্রধান সমন্বয়কারী হুমায়ুন কবীর আকাশ।

পদত্যাগকারীরা হলেন- যুগ্ম সমন্বয়কারী মো. মমিনুল ইসলাম আরব, মনিরুল ইসলাম মনির, সিরাজুল ইসলাম সোহাগ, রাশিদুল জামান রাসেল ও জসীম উদ্দীন এবং সদস্য মো. দেলোয়ার হোসেন, সোহেল রানা, জাহাঙ্গীর আলম, সোহাগ মোল্লা, আলামিন মিয়া, রতন মিয়া, নাজমুল হাসান, সুমন মিয়া, আরিফ মিয়া এবং সাদেকুল ইসলাম শান্ত।

সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির নেতারা বলেন, 'জাতীয় নাগরিক পার্টির নকলা উপজেলা শাখার প্রধান সমন্বয়কারী হুমায়ুন কবির আকাশ একজন অযোগ্য, অনাদর্শিক ও সামাজিকভাবে অগ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। এ অবস্থায় আমরা স্বেচ্ছায় ও সম্মিলিতভাবে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব বরাবর আলাদা পদত্যাগপত্র পাঠানো হয়েছে। পদত্যাগপত্রে নকলা উপজেলা সমন্বয় কমিটিকে ‘সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান’ করার কথাও বলা হয়েছে।'

পদত্যাগ করা সিরাজুল ইসলাম বলেন, 'নকলায় যে কমিটি দেওয়া হয়েছে, সেখানে প্রধান সমন্বয়কারীকে নিয়ে নানা অভিযোগ আছে। এ ছাড়া কমিটিতে এনসিপির ত্যাগী নেতাদের সঠিক মূল্যায়ন করা হয়নি। তাই এ কমিটি থেকে ১৫ জন পদত্যাগ করেছি।' 

পদত্যাগ করা আরেক নেতা মমিনুল ইসলাম আরব বলেন, 'প্রধান সমন্বয়কারীর বিরুদ্ধে শহীদ পরিবারের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তার শিক্ষাগত যোগ্যতাও ভালো নয়। এসব গুরুতর অভিযোগের কারণেই আমরা পদত্যাগ করেছি।'

অভিযোগ অস্বীকার করে নকলা উপজেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী মো. হুমায়ুন কবির আকাশ বলেন, 'ষড়যন্ত্রমূলকভাবে পদত্যাগের ঘটনাটি সাজানো হয়েছে। তাদের পদত্যাগ করার কোনো কাগজপত্র আমি পাইনি। সাংগঠনিক নিয়ম অনুযায়ী স্থানীয়ভাবে পদত্যাগপত্র না দিয়ে সরাসরি কেন্দ্রীয় কমিটিকে দেওয়ার বিষয়টিও নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সব কিছু জানানো হবে।' 

এনসিপির শেরপুর জেলার প্রধান সমন্বয়কারী প্রকৌশলী মো. লিখন মিয়া বলেন, 'যারা পদত্যাগ করেছেন বলে শোনা যাচ্ছে, তাদের কোনো লিখিত কাগজপত্রের অনুলিপি হাতে পাইনি।' 

পদত্যাগপত্রে চার থেকে পাঁচজন স্বাক্ষর করলেও বাকিদের স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে বলে দাবি লিখন মিয়ার।

এর আগে ১০ অগাস্ট এনসিপির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের স্বাক্ষর করা বিজ্ঞপ্তিতে হুমায়ুন কবিরকে প্রধান সমন্বয়কারী করে ৩২ সদস্যবিশিষ্ট নকলার উপজেলা সমন্বয় কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন