[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

দ্বিতীয় ম্যাচেই হেরে বসল সিটি

প্রকাশঃ
অ+ অ-

হারের হতাশা ম্যান সিটির ফিল ফোডেনের এএফপি

ম্যান সিটি ০ : ২ টটেনহাম

টটেনহাম তাহলে এখন ম্যানচেস্টার সিটির জন্য এক আতঙ্কের নাম হয়ে উঠেছে। সিটির মাঠ ইতিহাদে গিয়ে ২-০ গোলে জিতে আসা, যেনতেন কথা নয়। প্রিমিয়ার লিগে আজ ঠিক এই ব্যবধানেই সিটিকে হারিয়েছে টটেনহাম।

গত মৌসুমেও ইতিহাদে গিয়ে সিটিকে ৪-০ গোলে হারিয়েছিল টটেনহাম। সব মিলিয়ে ইতিহাদে প্রিমিয়ার লিগে দুই দলের সর্বশেষ ৫ ম্যাচের তিনটিতেই জিতেছে টটেনহাম। গার্দিওলা কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর এত দিন প্রিমিয়ার লিগে সিটিকে সবচেয়ে বেশি হারানোর রেকর্ড ছিল লিভারপুলের, ১০ বার। আজ টটেনহাম লিভারপুলের সেই রেকর্ডেও ভাগ বসাল।

উলভারহ্যাম্পটনের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত জয়ের পর গার্দিওলার নতুনভাবে সাজানো সিটি নিয়ে অনেক হইচই হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল, এবার বুঝি গত মৌসুমের সব সমস্যা গায়েব। কিন্তু টমাস ফ্রাঙ্কের টটেনহামের কাছে আজকের হার আবার সেই সিটির পুরোনো ক্ষত বের করে দিল।

টটেনহামের পরিকল্পনা ছিল সিটির হাইলাইন ডিফেন্সের ফাঁকফোকর কাজে লাগানো। পরিকল্পনা যেমন, বাস্তবায়নও হলো তেমন নিখুঁত। ডান ও বাঁ প্রান্তে মোহাম্মদ কুদুস আর ব্রেনান জনসনের গতির ঝড়, মাঝখানে রিচার্লিসনের উপস্থিতি—সব মিলিয়ে সিটির রক্ষণের হাঁসফাঁস অবস্থা দেখা গেল।
শুরুর আধঘণ্টা দেখে অবশ্য মনে হচ্ছিল, সিটির নিয়ন্ত্রণেই ম্যাচ। তবে নিয়ন্ত্রণ রাখার পাশাপাশি যে গোলের সুযোগও তৈরি করতে হয়—এটা যেন ভুলে গিয়েছিল তারা। উল্টো ৩৫ মিনিটে হঠাৎ করেই জনসনের গোলে এগিয়ে যায় অতিথিরা।

গোলটায় রিচার্লিসনেরও বড় অবদান। অফসাইডের ফাঁদে না পড়ে দারুণ বুদ্ধিমত্তা দেখিয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান। লাইন্সম্যান ভুল করে পতাকা তুললেও পরে ভিএআরে দেখা গেল, গোলটা  বৈধ। রিচার্লিসনের ক্রসে জনসনের শট গেল জেমস ট্রাফোর্ডের জালে।

ট্রাফোর্ডের ইতিহাদ অভিষেকটা মোটেও ভালো হলো না। অথচ সিটির আগের এক নম্বর গোলকিপার এদেরসন বেঞ্চে ছিলেন, কিন্তু তাঁকে রেখে বার্নলি থেকে ফেরত আসা ট্রাফোর্ডকেই প্রথম পছন্দ বানিয়েছেন গার্দিওলা। 

প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই পুরোপুরি ছন্দ হারিয়ে ফেলে সিটি। ট্রাফোর্ড একবার কুদুসকে ঠেকাতে বক্সের বাইরে ছুটে গিয়ে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। কিন্তু কয়েক মিনিট পরই তাঁর বড় ভুল। নিজ বক্সেই নিকো গঞ্জালেসকে পাস দিতে চেয়েছিলেন। সেটা কেড়ে নেন পাপে মাতার সার। বল যায় রিচার্লিসনের কাছে। তাঁর শট ঠেকালেও ফিরতি বলে পালহিনহার শট ঠেকানোর উপায় ছিল না ট্রাফোর্ডের। 

অতিরিক্ত সময়ে সিটির হয়ে ব্যবধান কমানোর দারুণ সুযোগ পান আর্লিং হলান্ড। কিন্তু নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকারের হেড চলে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে।

থমাস ফ্রাঙ্ক দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম ম্যাচে (ইউরোপিয়ান সুপার কাপে) পিএসজির বিপক্ষে দুই গোলের লিড হারিয়েছিল টটেনহাম। কিন্তু এবার তারা সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি হতে দিল না।

বরং সিটি ভুল করে গেল একের পর এক। দ্বিতীয়ার্ধে সিটির আরেকটা বড় সুযোগ নষ্ট করেন হলান্ড, পাসটা ঠিকভাবে দিতে পারেননি রায়ান চেরকিকে। শেষ দিকে অবশ্য ডমিনিক সোলাঙ্কে আর উইলসন ওডোবার্তের শট ঠেকিয়ে ট্রাফোর্ড কিছুটা মান বাঁচিয়েছেন নিজের। নইলে সিটির হারের ব্যবধানটা আরও লজ্জাজনক হতো।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন