{getBlock} $results={3} $label={ছবি} $type={headermagazine}

শাহজালাল লক্ষ্য আন্তর্জাতিক মাফিয়া চক্রের

প্রকাশঃ
অ+ অ-

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চোরাকারবারিদের প্রধান লক্ষ্য হয়ে উঠেছে। মাদক ও স্বর্ণ পাচারের জন্য দেশি ও আন্তর্জাতিক চক্রগুলো এ পথ ব্যবহার করছে। যদিও মাঝে মাঝে ধরা পড়েন পাচারকারীরা। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বড় চালান নিরাপদে বের হওয়ার কারণে তারা বারবার এই বিমানবন্দরকে বেছে নিচ্ছে।

জানা গেছে, বিমানবন্দরটি ১,৯৮১ একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। দেশি ও বিদেশি ফ্লাইটের প্রায় ৫২ শতাংশ যাত্রী এখানে আসা-যাওয়া করে। বছরে প্রায় ৪০ লাখ আন্তর্জাতিক ও ১০ লাখ অভ্যন্তরীণ যাত্রী বিমানবন্দর ব্যবহার করেন। একই সঙ্গে ১.৫ লাখ টন ডাক ও মালামাল চলাচল করে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা আন্তর্জাতিক মানের। একাধিক বিমান একসঙ্গে অবতরণ করলে যাত্রীদের আগমন ও প্রস্থানের সময় বিশেষ নজরদারি চালানো হয়, যাতে ঝুঁকি কমানো যায় এবং কোনো অনিয়ম প্রতিরোধ করা যায়।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তথ্য থাকলে সংশ্লিষ্টদের আলাদাভাবে তল্লাশি ও নজরদারি করা হয়। এর মাধ্যমে স্বর্ণ, মাদক ও অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী জব্দ করা হয়। এর মধ্যে ২৬ আগস্ট ৮.৫ কেজি কোকেনসহ গায়ানার নাগরিক এম এস কারেন পেতুলা স্টাফেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। জব্দকৃত মাদকের বাজারমূল্য প্রায় ১৩০ কোটি টাকা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, চালানটি ঢাকার মাদক চক্রের কাছে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে এনেছিলেন। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, তিনি আগেও ঢাকায় একাধিকবার এসেছেন।

প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ধরা পড়া কোকেন ব্রাজিল থেকে আনা হয়েছিল। তিনটি দেশ হয়ে ঢাকায় আসার পর অন্য দেশে পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল। এর আগে ২০২৪ সালের ২৪ জানুয়ারি প্রায় ৮.৫ কেজি কোকেনসহ আফ্রিকার দেশ মালাউইর নাগরিক নোমথেনডাজো তাওয়েরা সোকোকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, যার মূল্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা।

স্বর্ণ পাচারের ঘটনাও কম নয়। ৭ আগস্ট বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এক বিমানের মালপত্র ঘর থেকে ৮ কেজি ১২০ গ্রাম স্বর্ণ জব্দ করা হয়েছে। 

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চোরাকারবারিরা যেন বিমানবন্দরকে নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার করতে না পারে, সব সংস্থা সজাগ রয়েছে। নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে, যাতে মাদক ও স্বর্ণ পাচারের চেষ্টা প্রতিরোধ করা যায়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মেহেদি হাসান বলেন, 'চোরাকারবারিরা সবসময় ফাঁকফোকর খোঁজে। কিন্তু আমাদের কঠোর নজরদারি ও সংস্থা সমন্বয়ের কারণে তারা সফল হতে পারছে না।' 

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ নেয়াজুর রহমান বলেন, 'বিমানবন্দরের মাধ্যমে মাদক পাচার রোধে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। আমাদের সব সংশ্লিষ্ট সংস্থা নিয়মিত কাজ করছে।' 

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন