[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

নুরের ওপর হামলায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিবৃতি

প্রকাশঃ
অ+ অ-

গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হককে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী লাঠিপেটা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

বিবৃতিতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা এবং গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও জনগণের অধিকার আদায়ের পক্ষে সাহসী ভূমিকা রাখা রাজনীতিবিদ নুরুল হকের ওপর নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা জানায়।

আজ শনিবার অন্তর্বর্তী সরকার এক বিবৃতিতে এই নিন্দা জানিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস উইং বিকেলে গণমাধ্যমকে নিন্দা জানানোর বিষয়টি জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, এই ধরনের সহিংসতা ন্যায়বিচার ও জবাবদিহি নিশ্চিতের ঐতিহাসিক সংগ্রামে জাতিকে একত্র করা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের স্পিরিটের ওপরেও আঘাত বলে মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার।

এ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বিবৃতিতে বলা হয়, সর্বোচ্চ গুরুত্বসহকারে তদন্তসম্পন্ন করা হবে। প্রভাব বা পদমর্যাদা যা–ই হোক না কেন, জড়িত কোনো ব্যক্তি জবাবদিহি থেকে রেহাই পাবে না। স্বচ্ছতা এবং দ্রুততার সঙ্গে এর বিচার সম্পন্ন করা হবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নুরুল হক এবং তাঁর দলের অন্যান্য আহত সদস্যদের চিকিৎসা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য বিশেষায়িত মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তাঁদের সর্বোচ্চ মানের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রয়োজনে তাঁদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাষ্ট্রীয় খরচে বিদেশে পাঠানো হবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০১৮ সালে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নুরুল হক ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছিলেন। একজন ছাত্রনেতা হিসেবে তিনি তরুণদের সংগঠিত করেছিলেন, বিভিন্ন মত ও কণ্ঠকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে নির্ভীকভাবে দাঁড়িয়েছিলেন। চব্বিশের জুলাইয়ে গণ–অভ্যুত্থান চলাকালে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং হেফাজতে নিয়ে নির্মম নির্যাতন করা হয়েছিল। নুরুল হকের ভূমিকা একটি স্বাধীন, সুষ্ঠু এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য আমাদের জনগণের সম্মিলিত আকাঙ্ক্ষার প্রতীক।

অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সব রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির প্রতি ঐক্যবদ্ধ হওয়ায় আহ্বান জানায়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই অনুষ্ঠিত হবে। জনগণের ইচ্ছা জয়ী হবে, কোনো অশুভ শক্তিকে গণতন্ত্রের পথে অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে দেওয়া হবে না।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন