কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এল বোটলনোজ প্রজাতির মৃত ডলফিন
প্রতিনিধি কলাপাড়া
![]() |
প্রায় ৯ ফুট দৈর্ঘ্যের ডলফিনটি ৩ থেকে ৪ দিন আগে মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এসেছে বোটলনোজ প্রজাতির একটি মৃত ডলফিন। আজ শুক্রবার দুপুরে সৈকতের মাঝিবাড়ি পয়েন্ট এলাকায় জোয়ারের পানিতে মৃত ডলফিনটি ভেসে আসে।
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় ৯ ফুট দৈর্ঘ্যের ডলফিনটির চামড়া উঠে গেছে। শরীরের কিছু অংশ পচে গেছে। লেজ ও পিঠে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। তিন থেকে চার দিন আগে ডলফিনটি মারা গেছে বলে ধারণা তাঁদের।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় জেলেরা জানান, দুপুরের জোয়ারের সময় সমুদ্র কিছুটা উত্তাল ছিল। এ সময় জোয়ারে ডলফিনটি ভেসে এসে মাঝিবাড়ি এলাকায় আটকা পড়ে।
বন বিভাগের মহিপুর রেঞ্জের কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, কুয়াকাটা পৌরসভার পরিছন্নতাকর্মীদের নিয়ে ডলফিনটিকে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।
পরিবেশ-প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ডফিশের ইকোফিশ-২ অ্যাকটিভিটির পটুয়াখালী জেলার সহযোগী গবেষক মো. বখতিয়ার উদ্দিন বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে ডলফিনের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছি। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিষক্রিয়ার চিহ্ন মেলেনি। ধারণা করা হচ্ছে, গভীর বঙ্গোপসাগরে ট্রলিং জেলেদের অসাবধানতা ও সমুদ্রে প্লাস্টিক বৃদ্ধির কারণে ডলফিনটি মারা গেছে।’
কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতসহ স্থানীয় জেলেদের সচেতনতায় কাজ করছে কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটি। দলনেতা রুমান ইমতিয়াজ বলেন, সৈকত এলাকায় ডলফিন রক্ষায় তাঁরা কাজ করছেন। আগের তুলনায় ডলফিনের মৃত্যুর সংখ্যা কমলেও এখন আবার কিছুদিন ধরে নিয়মিত মৃত ডলফিন ভেসে আসছে। তাঁরা চান, সরকার ও সংশ্লিষ্ট গবেষণা সংস্থা ডলফিনের মৃত্যুর কারণ নিয়ে গভীরভাবে অনুসন্ধান করুক।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন