৩ দফা দাবিতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ দফায় রেললাইন অবরোধ
![]() |
তিন দফা দাবিতে রেললাইন অবরোধ করেন কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার দুপুরে ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
তিন দফা দাবিতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থীরা দুই দফায় রেললাইন অবরোধ করেছেন। আজ রোববার দুপুর ১২টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী হাওর এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে দেন তাঁরা। এরপর বেলা দেড়টা থেকে বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত ঢাকা থেকে মোহনগঞ্জগামী মহুয়া কমিউটার ট্রেন আটকে রাখা হয়।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, রেললাইন অবরোধের খবরে বেলা তিনটার দিকে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছান ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মুফিদুল আলম ও পুলিশ সুপার (এসপি) কাজী আখতার উল আলম। এরপর তাঁরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে দাবির বিষয়ে কৃষি উপদেষ্টার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের আলোচনার ব্যবস্থার আশ্বাস দেন। এরপর সাড়ে তিনটার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।
কৃষি অনুষদের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ফাহাদ এনাম বলেন, ‘ডিসি ও এসপির সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়। তাঁরা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে আগামী মঙ্গলবার কৃষি উপদেষ্টার সঙ্গে আমাদের প্রতিনিধিদলের আলোচনার ব্যবস্থা করবেন। তাঁদের আশ্বাসে আজকে আমরা ট্রেন অবরোধ তুলে নিয়েছি। এর আগেও আমরা অনেক আলোচনা করেছি, কিন্তু আমাদের দাবি বাস্তবায়িত হয়নি। এবারও এ রকম হলে আমরা কঠোর থেকে কঠোরতর কর্মসূচিতে যাব।’
![]() |
তিন দফা দাবিতে রেললাইন অবরোধ করেন কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার দুপুরে ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় কৃষিবিদ ঐক্য পরিষদের ব্যানারে কৃষি অনুষদ ছাত্র সমিতির সামনে থেকে মিছিল শুরু করেন তাঁরা। মিছিল নিয়ে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বার মোড় সংলগ্ন রেললাইনে যান এবং ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী হাওর এক্সপ্রেস আটকে দেন। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ট্রেনটি অবরোধ করে রেললাইনে অবস্থান করেন তাঁরা। এরপর আবার বেলা দেড়টা থেকে বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত ঢাকা থেকে মোহনগঞ্জগামী মহুয়া কমিউটার ট্রেন আটকে রাখেন তাঁরা।
অবরোধ কর্মসূচি চলাকালীন কৃষিবিদদের অধিকার রক্ষায় তিন দফা দাবি উত্থাপন করেন আন্দোলনকারীরা। দাবিগুলো হলো কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই), বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনসহ (বিএডিসি) সব গবেষণা প্রতিষ্ঠানে ১০ম গ্রেডের (উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা/উপসহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা/সমমান) পদ কৃষিবিদদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে, নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া ছাড়া ৯ম গ্রেডে পদোন্নতির সুযোগ রাখা যাবে না এবং কৃষি বা কৃষিসংক্রান্ত কোনো বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন ছাড়া নামের সঙ্গে ‘কৃষিবিদ’ পদবি ব্যবহার করা যাবে না এবং এ বিষয়ে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।
কৃষি অনুষদের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সানাউল্লাহ বলেন, ‘আমাদের এই তিন দফা দাবি একেবারেই যৌক্তিক। কৃষিবিদদের অধিকার রক্ষায় এই দাবিগুলো নিয়ে আমরা মাঠে নেমেছি। আমারে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হবে। প্রয়োজন হলে আরও কঠোর কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে।’
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন