ফ্লাইট এক্সপার্ট–সংশ্লিষ্টদের হিসাব জব্দ ও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিট
নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা
![]() |
বন্ধ হওয়ার খবর শুনে ফ্লাইট এক্সপার্টের কার্যালয়ে ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের ভিড়। শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মতিঝিলে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
উড়োজাহাজের অনলাইন টিকিট বুকিংয়ে দেশের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম ‘ফ্লাইট এক্সপার্ট লিমিটেড’–এর পরিচালক এবং শেয়ারহোল্ডারদের সব আর্থিক হিসাব (ব্যাংক হিসাব, মুঠোফোনে আর্থিক সেবা ও পেমেন্ট গেটওয়ে) জব্দের নির্দেশনা চেয়ে রিট হয়েছে। পাশাপাশি আদালতের অনুমতি ছাড়া ফ্লাইট এক্সপার্ট লিমিটেডের সব পরিচালক, সুবিধাভোগী মালিক ও ব্যবস্থাপনায় যুক্ত ব্যক্তিদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞাও চাওয়া হয়েছে রিটে।
‘শত কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছে ফ্লাইট এক্সপার্ট!’ শিরোনামে ২ আগস্ট একটি সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর সঙ্গে অন্যান্য গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন যুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী পাভেল মিয়া আজ সোমবার রিটটি করেন।
পরে পাভেল মিয়া বলেন, বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আগামী সপ্তাহে রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।
২ আগস্ট প্রকাশিত ওই খবরে বলা হয়, অনলাইনে বিমানের টিকিট কাটার দেশের সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্ট বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছে। তাদের অফিস বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। ওয়েবসাইট হারিয়ে গেছে। কিন্তু বহু এজেন্সি ফ্লাইট এক্সপার্টে শত শত কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
২০১৭ সালের মার্চে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ফ্লাইট এক্সপার্ট। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন এয়ারলাইনসের টিকিট বুকিং, হোটেল রিজার্ভেশন (কক্ষ সংরক্ষণ), ট্যুর প্যাকেজ ও ভিসা প্রক্রিয়াকরণের মতো বিভিন্ন সেবা দিত তারা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন