যেনতেন নির্বাচন করলে দেশ আরও গভীর সংকটে পড়বে: আনিসুলের সতর্কবার্তা
![]() |
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জাতীয় পার্টির যৌথ সভায় বক্তব্য দেন পার্টির (একাংশ) চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ | ছবি: জাতীয় পার্টির সৌজন্যে |
যেনতেন নির্বাচন করলে দেশ আরও গভীর সংকটে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) তৈরি করতে হবে।
আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে হাওলাদার টাওয়ারে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জাতীয় পার্টির যৌথ সভায় আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এ কথা বলেন।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, সরকার নির্বাচনের কথা বলছে, কিন্তু দেশে বর্তমানে নির্বাচনের পরিবেশ আছে কি না, সে আলোচনা করছে না। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নাজুক। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। সাধারণ মানুষ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে স্বাধীনভাবে তাঁর ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন কি না, তার নিশ্চয়তা নেই।
জাতীয় পার্টির একাংশের এই চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা যদি আগের মতো যেনতেন একটা নির্বাচন করি, তাহলে নির্বাচনের পর দেশ আরও গভীর সংকটে পড়তে পারে। তাই নির্বাচনের আগে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে হবে।’
এ সময় আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘জুলাই–আগস্টের গণ–অভ্যুত্থানে ছাত্র–জনতা জীবন দিয়েছে দেশের সুন্দর একটি পরিবেশের জন্য; স্বাভাবিক জীবন যাপন করার জন্য। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন পূরণে গত এক বছরে আমরা কতটুকু এগোতে পেরেছি, সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোকে তা ভাবতে হবে।’
সভায় জাতীয় পার্টির এই অংশের মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘চারদিকে আজ অস্থিরতা। দেশের মানুষ শান্তি চায়, স্বস্তি চায়। আর সে জন্য অবশ্যই নির্বাচন দরকার। কিন্তু তার আগে দরকার নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ। জাতীয় পার্টি সব সময় নির্বাচনমুখী দল। তাই আমরাও নির্বাচন অংশ নিতে চাই। বর্তমানে দেশে নির্বাচনের সুস্থ পরিবেশ আছে বলে মনে হয় না।’
রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের জন্য মাঠে কাজ শুরু করেছি। এককভাবে নির্বাচন করব, নাকি জোটগতভাবে করব, তা সময় নির্ধারণ করবে। তবে জাতীয় পার্টিকে ছাড়া কেউ সরকার গঠন করতে পারবে না, সেটা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি।’
পার্টির কো–চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার সভাপতিত্বে যৌথ সভায় আরও বক্তব্য দেন নির্বাহী চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নু, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ, কো–চেয়ারম্যান সাহিদুর রহমান, জহিরুল ইসলাম, মোস্তফা আল–মাহমুদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য মাসরুর মওলা প্রমুখ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন