নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা
![]() |
জুলাই গণসমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। আজ শুক্রবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ‘যদি জনগণের ঐক্য থাকে, তাহলে এই দেশে ফ্যাসিবাদ যেমন পালিয়েছে, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থাকেও আমরা কবর দিতে পারব। আর যে লুটপাটের রাজত্ব, দুর্নীতির রাজত্ব কায়েম হয়েছে, সেটাকেও আমরা কবর দিতে পারব।’
আজ শুক্রবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই গণসমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জোনায়েদ সাকি। সমাবেশের আয়োজন করে গণসংহতি আন্দোলন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ জুলফিকার আহমেদ শাকিলের মা আয়েশা বেগম সমাবেশ উদ্বোধন করেন।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, ‘লুটপাট, দুর্নীতি আমরা বন্ধ করতে না পারলে দেশে নতুন ক্ষমতাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা হবে না। শহীদদের স্বপ্নপূরণে নতুন রাজনৈতিক এবং ক্ষমতাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
জোনায়েদ সাকি বলেন, ক্ষমতা দিয়ে টাকাপয়সা ধনসম্পদ আহরণ করা বাংলাদেশে গুম–খুন, অত্যাচার, ত্রাসের রাজত্বের ভিত্তি ছিল ফ্যাসিবাদী শাসন। ক্ষমতা দিয়ে টাকাপয়সা, ধনসম্পদ আহরণ করতে গিয়ে ব্যাংক, বিমা, ব্যবসা-বাণিজ্য, সব উন্নয়ন প্রকল্প—সব খেয়ে ফেলেছিল তারা।
এ সময় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার এবং আহতদের দায়িত্ব নিতে অন্তর্বর্তী সরকার কেন ব্যর্থ হয়েছে, তার ব্যাখ্যা ৫ আগস্টের মধ্যে জানানোর দাবি জানিয়েছেন জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক লক্ষণ দেখছি, যেন পুরোনো ব্যবস্থাই আবার আমাদের মধ্যে জায়গা করে নিচ্ছে। আমরা দেখলাম শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা এখনো হয়নি। আহতদের চিকিৎসা এখনো হয়নি।’
![]() |
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়। আজ শুক্রবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, ‘আপনারা যদি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে যেতে চান, তাহলে প্রথম কাজ দরকার ছিল এই শহীদের মর্যাদা এবং তাদের পরিবারের দায়িত্ব নেওয়া; আহতদের চিকিৎসা এবং তাঁদের দায়িত্ব নেওয়া।’
সমাবেশে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবারের সদস্য ও আহতরা বক্তব্য দেন। তাঁরা দ্রুত সময়ের মধ্যে জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র দেওয়ার দাবি জানান।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দিন, তাসলিমা আক্তার, ফিরোজ আহমেদ, দেওয়ান আবদুর রশিদ প্রমুখ।
গণসংহতি আন্দোলনের এই গণসমাবেশে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।