নোবিপ্রবির হল ক্যানটিনে তালা, ছাত্রীদের বিক্ষোভ
![]() |
চার দাবিতে হলে ছাত্রীদের বিক্ষোভ। মঙ্গলবার রাতে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হলে | ছবি: এক শিক্ষার্থীর সৌজন্যে |
খাবারের মান বৃদ্ধি, ভর্তুকি প্রদানসহ চার দফা দাবিতে প্রায় এক ঘণ্টা বিক্ষোভ করেছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হলের শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভের সময় তাঁরা হলের ক্যানটিনেও তালা ঝুলিয়ে দেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে হলের ভেতরে ও ফটকের সামনে আবাসিক ছাত্রীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে দাবি পূরণের বিষয়ে হল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে সাড়ে ১০টার দিকে তাঁরা কক্ষে ফিরে যান।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি, ছাত্রী হলটির ক্যানটিনে খাবারের মান ভালো নয়, দামও নেওয়া হয় বেশি। তাই আবাসিক ছাত্রীরা দীর্ঘদিন ধরে হলের খাবারের মান বৃদ্ধি, ভর্তুকি প্রদানসহ বিভিন্ন দাবি হল প্রশাসনকে জানিয়ে আসছিলেন। তবে তাঁদের দাবি পূরণ করা হয়নি। হলের ক্যানটিন পরিচালনা করা হয় পুরুষ কর্মী দিয়ে, যার কারণে তাঁদের অনেক সময় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। তাই এসব সমস্যা নিরসনের দাবিতে তাঁরা বিক্ষোভ করেছেন। শিক্ষার্থীদের দাবি হলো খাবারের মান বৃদ্ধি, ভর্তুকি প্রদান, নারীকর্মী দিয়ে ক্যানটিন পরিচালনা এবং হলেও নারীকর্মী পদায়ন করা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, অনেক ছাত্রী হলের অভ্যন্তরে বৈদ্যুতিক চুলা ব্যবহার করে রান্না করেন। তবে বৈদ্যুতিক চুলা ব্যবহার বন্ধে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত হলে অভিযান চালায় কর্তৃপক্ষ। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন। বিক্ষোভকালে তাঁরা নানা দাবিতে স্লোগানও দেন। বিক্ষোভের পর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জব্দ করা বৈদ্যুতিক চুলা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিক্ষোভ করা শিক্ষার্থীদের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ক্যানটিনে রান্না করা খাবার মুখে নেওয়ার মতো না। খাবারের মান বৃদ্ধি না করে হল প্রভোস্ট বৈদ্যুতিক চুলা নিয়ে গেছেন। তাই বাধ্য হয়ে আমরা বিক্ষোভ করেছি।’
হলটির প্রভোস্ট আবিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, হলে বৈদ্যুতিক চুলার ব্যবহার ঝুঁকিপূর্ণ; যেকোনো সময় এর কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই এসব চুলার ব্যবহার বন্ধে অভিযান চালানো হয়েছে। এতে ছাত্রীদের কেউ কেউ ক্ষুব্ধ হয়ে বিক্ষোভ করেছেন। ঘটনাস্থলে দুজন সহকারী প্রভোস্ট গিয়ে তাঁদের শান্ত করেছেন। তাঁদের চুলাও ফেরত দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীদের দাবিদাওয়া নিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন