প্রতিনিধি হবিগঞ্জ
প্রতীকী ছবি |
হবিগঞ্জের শাহজীবাজার বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের তিন দিন পেরিয়ে গেলেও জেলা সদর ও আশপাশের এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। এতে শহরজুড়ে জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে শাহজীবাজার ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্রের সুইচিং ব্রেকারে আগুন লাগে। এতে ওই কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সঞ্চালন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনায় হবিগঞ্জ জেলা সদরসহ আশপাশের এলাকা প্রায় ১৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল।
বিদ্যুৎ সরবরাহ আংশিক সচল হলেও তা এখনো স্থিতিশীল হয়নি। আজ রোববার বেলা দেড়টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না। এর আগে শনিবার রাত আড়াইটা থেকে রোববার সকাল নয়টার আগপর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল না। টানা তিন দিন দিনে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকতে হচ্ছে শহরবাসীকে। বন্ধ হয়ে গেছে বিদ্যুৎনির্ভর ইজিবাইক ও রিকশা চলাচল। বিদ্যুৎ না থাকায় বাসাবাড়িতে গ্যাস ও পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এতে জনজীবনে দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।
শহরের পিটিআই এলাকার গৃহবধূ শিল্পী সরকার বলেন, ‘পানি ছাড়া কি কোনো মানুষ বাঁচতে পারে? গতকাল থেকে আমরা পানি ছাড়া আছি।’ শহরে অটোরিকশা চালান শাহেদ মিয়া। তিনি বলেন, দুই দিন ধরে বিদ্যুৎ ঠিকমতো না থাকায় গ্যাসপাম্প থেকে তাঁর গাড়িতে গ্যাস নিতে পারছেন না।
হবিগঞ্জ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মঞ্জুরুল মুর্শেদ জানান, শাহজীবাজার উপকেন্দ্রে আগুন লাগার পর ডাবল লাইনের বদলে সিঙ্গেল লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হচ্ছে। আজ বৃষ্টির কারণে ওই লাইনে ত্রুটি দেখা দেয়। পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও দুই থেকে তিন দিন সময় লাগতে পারে।