প্রতিনিধি ফেনী
![]() |
মানবপাচারের অপরাধে গ্রেপ্তার মো. আব্দুল মান্নান | ছবি: পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া |
কক্সবাজারের আশ্রয়শিবির থেকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে দুই রোহিঙ্গা তরুণ-তরুণীকে আনা হয়েছিল ফেনীতে। ভারতে পাচারের উদ্দেশে তাদের সীমান্তবর্তী পরশুরামেও রাখা হয় একদিন। তবে পাচার করতে না পারায় আবার আনা হয় ফেনী শহরে। সেখানেই জনতার হাতে ধরা পড়েন দুই রোহিঙ্গা ও একজন স্থানীয় মানব পাচারকারী দালাল। গতকাল রোববার রাত ১১টার দিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে খবর পেয়ে ফেনীর মহিপাল পাসপোর্ট অফিস–সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
গ্রেপ্তার দালালের নাম মো. আবদুল মান্নান (৩৪)। তিনি ফেনীর পরশুরাম উপজেলার কালিনগর এলাকার নতুন বাড়ির শফিকুর রহমানের ছেলে। আটক রোহিঙ্গা তরুণ-তরুণী হলেন কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মোহাম্মদ আরাফাত (২৫) ও মোসাম্মদ রমিদা (২৬)। তাঁদের আশ্রয়শিবিরে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
পুলিশ জানায়, স্থানীয় দালাল মান্নানের কাছ থেকে ৩টি বাংলাদেশি পাসপোর্ট, ১৭টি এনআইডি ও বেশ কিছু জন্মনিবন্ধন সনদ জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ মানব পাচারকারী দালালের বিরুদ্ধে মানব পাচার প্রতিরোধ ও পাসপোর্ট জালিয়াতি আইনে মামলা করে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটক রোহিঙ্গা শরণার্থীরা জানান, তাঁদের বাংলাদেশি পাসপোর্ট দেওয়ার কথা বলে এবং বিদেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে ক্যাম্প থেকে ফেনীতে আনেন দালাল মান্নান ও তাঁর সহযোগীরা। পরে ভারতে পাচারের জন্য ভারতীয় সীমান্তবর্তী পরশুরামে রেখে আসা হয়। সেখান থেকে আবার ফেনীতে আনা হয় তাঁদের।
পুলিশ আরও জানায়, এ ঘটনায় দালাল আবদুল মান্নানসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে মানব পাচার প্রতিরোধ আইন, পাসপোর্ট ও স্ট্যাম্প জালিয়াতি আইনে মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় মো. আবদুল মান্নানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
ফেনী মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার উপপরিদর্শক মো. গোলাম মোস্তফা জানান, আসামি আবদুল মান্নানকে আজ সোমবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। আটক দুই রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে রোহিঙ্গা শিবিরে ফেরত পাঠানো হবে।