সাংবাদিকের হাতে কেন হাতকড়া: মনজুরুল আলম
আদালত থেকে নেওয়ার সময় সাংবাদিক মনজুরুল আলম পান্না হাত তুলে হাতকড়া দেখান | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
সাংবাদিক মনজুরুল আলম পান্না কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় উঁচু স্বরে কথা বলতে শুরু করেন। তিনি বলতে থাকেন, ‘মাননীয় আদালত, আমাকে কথা বলতে দিতে হবে। আমরা কী অপরাধ করেছি? সাংবাদিকের হাতে কেন হাতকড়া। আমরা তো সেখানে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করতে যাইনি। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কথা বলতে গিয়েছিলাম। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কথা বলা কি অপরাধ? আমরা কি সন্ত্রাসী...।’
সাংবাদিক মনজুরুল আলম পান্নার বক্তব্য শেষ হওয়ার পর তাঁর আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন বক্তব্য দিতে থাকেন। ফারজানা ইয়াসমিন বলেন, ‘সাংবাদিক মনজুরুল আলম তো সেখানে আলোচক হিসেবে গিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক কথা বলার জন্য। সেখানে মব সৃষ্টি করে মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যারা মব সৃষ্টি করে দেশের খ্যাতিমান অধ্যাপক, সাংবাদিক, লেখকদের হেনস্তা করল, তাদের পুলিশ গ্রেপ্তার না করে নিরীহ ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দিয়ে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেছে। এটিও একধরনের বিচারিক হয়রানি। আসামিদের জামিন দেওয়া হোক।’
আজ শুক্রবার শাহবাগ থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে শুনানির সময় সাংবাদিক মনজুরুল আলম পান্না এ কথা বলেন।
সকাল সাড়ে ১০টায় আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জসহ ১৬ জনকে আদালতে তোলা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার এসআই তৌফিক হাসান তাঁদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পিপি মো. শামসুদ্দোহা সুমন প্রত্যেকের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে দাবি করে তাঁদের কারাগারে আটক রাখার যুক্তি তুলে ধরেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন