প্রতিনিধি কুমিল্লা
![]() |
নিহত সাবেক ইউপি সদস্য মো. আলাউদ্দিন | ছবি: সংগৃহীত |
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক এক সদস্যকে হত্যা করেছে মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা।
নিহত মো. আলাউদ্দিনের (৫৫) বাড়ি উপজেলার বক্সগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ আলীয়ারা গ্রামে। রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গ্রামের বাড়ির সামনে থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে হত্যা করা হয়।
স্বজনেরা বলেন, আলাউদ্দিনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, নিহত ব্যক্তির ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ন আছে। ওই আঘাত ছুরিকাঘাতের নাকি গুলির, সেটি ময়নাতদন্তের পর বলা যাবে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দক্ষিণ আলীয়ারা গ্রামের দুই পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে মাঝেমধ্যেই সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষ। ওই গ্রামের ছালেহ আহমদ মেম্বার ও খায়ের আহমেদের পক্ষের মধ্যে সর্বশেষ গত ২৫ জুলাইও সংঘর্ষ হয়। সেদিন দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন ছররা গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হন। এ সময় বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। নিহত আলাউদ্দিন খায়ের আহমেদের পক্ষের।
নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ দুপুরে আলাউদ্দিন তাঁর চাচাতো ভাই আবুল বাশারের জানাজা শেষে বাড়ির সামনে আসামাত্রই মুখোশধারী একদল লোক তাঁকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে নেয়। খবর পেয়ে আলাউদ্দিনের ভাগনে তারেক হোসেন ও স্বজন আনোয়ার হোসেন সিএনজিচালিত অটোরিকশার পিছু ধাওয়া করেন। একপর্যায়ে উপজেলার চাঁন্দাইশ গ্রামের একটি বাড়ির সামনে আলাউদ্দিনকে ফেলে দেওয়া হয়। পরে তারেক-আনোয়ারসহ স্বজনেরা উদ্ধার নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
আলাউদ্দিনের স্বজনদের অভিযোগ, পূর্ববিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ ছালেহ আহমদ মেম্বারসহ একদল মুখোশধারী সন্ত্রাসী তাঁকে তুলে নিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে।
আলাউদ্দিনের ভাতিজার স্ত্রী দেলোয়ারা আক্তার বলেন, দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে আসে সন্ত্রাসীরা। তাঁরা মুখোশ পরা ছিল।
এদিকে ঘটনার পর প্রতিপক্ষ ছালেহ আহমদের পক্ষের আবুল খায়েরের ছেলে শেখ ফরিদের বাড়িঘরে ভাঙচুর ও আগুন দিয়েছেন আলাউদ্দিনের পক্ষের লোকজন।
ঘটনার পর গা ঢাকা দেওয়ায় ছালেহ আহমদের পক্ষের কারও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
নাঙ্গলকোট থানার ওসি এ কে ফজলুল হক বলেন, ‘কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, সেটি নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। আমাদের তদন্ত চলছে। পুলিশ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।’