মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি বললেন: ভারত, আওয়ামী লীগ ও জামায়াত দেশের মূল শত্রু
![]() |
| জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেছে। এতে বক্তব্য দেন দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত বলেছেন, এই দেশের মূল শত্রু তিনটি পক্ষ। প্রথমটি হলো ভারত, তারপর আওয়ামী লীগ এবং জামায়াতে ইসলামী। তারা সুযোগ পেলে যে কারও কাঁধে ভর করে। তাদের থেকে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের এ কথা বলেন ইশতিয়াক উলফাত। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে কেন্দ্র করে মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান ও ভূমিকা নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। আয়োজক জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল।
জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের এই নেতা বলেন, ‘এই জামায়াতে ইসলামী দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। যে জামায়াত স্বাধীন দেশ চায়নি, দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। মা–বোনদের পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে, তাদের এখন কত বড় গলা। তাদের কথা আপনারা ভুলবেন না।’
ইশতিয়াক উলফাত বলেন, টাকার বিনিময়ে দেশের প্রায় অর্ধশত জেলায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমিটি দেওয়া হয়েছে। এসব কমিটিতে স্থান পেয়েছে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সদস্য ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা। তিনি উদাহরণস্বরূপ লালমনিরহাট, ঝিনাইদহ ও খুলনা জেলার কমিটির কথা উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অ্যাডহক কমিটি গঠনেও অনিয়মের অভিযোগ তোলেন ইশতিয়াক উলফাত। তিনি বলেন, ‘এই কমিটি গঠনের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো মতামত নেওয়া হয়নি। এই কমিটিই দেশজুড়ে অর্থের বিনিময়ে মুক্তিযোদ্ধা কমিটি দিচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা দলের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নিবন্ধিত প্রথম কমিটি ও বর্তমান অ্যাডহক কমিটি গঠনে অনিয়ম এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অর্থ আত্মসাৎ ও জেলা কমিটিতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সদস্য অন্তর্ভুক্তিসহ ছয়টি অনিয়ম উল্লেখ করা হয়।
এসব অনিয়মের পেছনে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বর্তমান যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ মুনিবুর রহমান ও সদস্যসচিব সাদেক আহমেদ খান জড়িত বলে অভিযোগ করেন ইশতিয়াক উলফাত। তিনি বলেন, জেলা কমিটিতে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের অন্তর্ভুক্ত করায় জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সমর্থকেরা সদস্য পদ থেকে তাঁদের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের এসব অনিয়ম বন্ধ না হলে তাঁরা আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সহসভাপতি এম এ শহীদ, শাহাবুদ্দিন রেজা, মোবারক হোসেন, এম এ হালিম, তরঙ্গ আনোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, শরীফ হোসেন প্রমুখ।

Comments
Comments